img

যে ৩১ দেশে পাওয়া গেলো ‘ওমিক্রন’

প্রকাশিত :  ০৯:২৯, ০৩ ডিসেম্বর ২০২১

যে ৩১ দেশে পাওয়া গেলো ‘ওমিক্রন’
জনমত ডেস্ক: করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। প্রত্যেক মহাদেশের অন্তত একটি রাষ্ট্রে এই ধরনের সন্ধান পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতেও গতকাল সন্ধান পাওয়া গেছে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৩১টি দেশে করোনার এই ধরন শনাক্ত হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যে গতিতে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে, শিগগিরই ডেল্টাকে সরিয়ে এটিই বিশ্বে মূল সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট হয়ে উঠবে।
এই ধরন আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে এটি বিশ্বব্যাপী আধিপত্য বিস্তার করতে পারে বলে জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের মাউন্টি এলিজাবেথ নোভেনা হসপিটালের সংক্রামক রোগ চিকিৎসক ডা. লিওং হোয়ে নাম।
ইসিডিসি বিবৃতিতে দাবি করা হয়, আফ্রিকার মহাদেশের বতসোয়ানায় গত ১১ নভেম্বর প্রথম শনাক্ত হয় ওমিক্রন। এখন পর্যন্ত যে ৩১ দেশের ওমিক্রন ছড়িয়েছে-
দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, ঘানা, নাইজেরিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া, হংকং, ইসরায়েল, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, বেলজিয়াম, জার্মানি, ইতালি, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, স্পেন, পর্তুগাল, চেকিয়া, ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ব্রাজিল, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

img

রাশিয়ায় সেতুর রেলিং ভেঙে পানিতে ডুবল বাস, নিহত অন্তত ৭

প্রকাশিত :  ০৫:৩৫, ১২ মে ২০২৪

রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেইন্ট পিটার্সবার্গে সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে বাসডুবির ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন। 

শনিবার সকালের দিকে ঘটেছে এই ঘটনা। রাশিয়ার জরুরি পরিষেবা দপ্তরের সেইন্ট পিটার্সবার্গ শাখা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাসটিতে চালকসহ যাত্রী ছিলেন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে ৯ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার এই ৯ জনের মধ্যে জীবিত ছিলেন মাত্র ২ জন।

পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, নদীতে পড়ার আগে অন্তত  কয়েক জন যাত্রীর বাসের দরজা দিয়ে বেরিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষার সুযোগ ছিল, কিন্তু সম্ভবত পরিস্থিতির আকস্মিকতায় তারা সবাই হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন।

পরে সিসিটিভি ফুটেজেও তার সাক্ষ্য মিলেছে। ফুটেজে দেখা গেছে রাস্তায় মোড় ঘোরার সময় বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন চালক। ওই অবস্থাতে বাসটি এলোমেলোভাবে কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে ব্রিজের দিকে যেতে থাকে এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ে পুরোপুরি ডুবে যায়।

বাসটি ডুবে যাওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের ১৮টি বিশেষায়িত ইউনিটের ৬৯ জন কর্মী উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। তাদের তৎপরতার কারণেই ২ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেতুটির নাম পোটসেলুয়েট ব্রিজ।

জীবিতের মধ্যে গাড়ির চালকও ছিলেন। উদ্ধারের পর তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা পুলিশ করেছে বলে জানিয়েছে আরটি।

আরেক রুশ সংবাদমাধ্যম গেজেটা ডট আরইউ জানিয়েছে, স্বাস্থ্যগত কারণে বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন চালক।


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর