img

দাঁড়িয়ে পানি পান করলে কী ক্ষতি হয়, তা কি জানেন?

প্রকাশিত :  ১৩:২০, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১

দাঁড়িয়ে পানি পান করলে কী ক্ষতি হয়, তা কি জানেন?

জনমত ডেস্ক: পানির ওপর নাম জীবন! পানি অপরিহার্য, কিন্তু যথাযথ ভাবে না পান করলে তা ডেকে আনে অবাঞ্ছিত বিপদ।
আমরা নানা অবস্থায় পানি পান করি। দাঁড়িয়ে, বসে, আধশোয়া অবস্থায়। কিন্তু একেবারে স্বাভাবিক অবস্থায়ই পানি পান করা উচিত। বিশেষত, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পানি পান করা একেবারেই অনুচিত বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা।
এর ফলে কী ক্ষতি হয়?
দাঁড়িয়ে পানি পান শরীরের নানা বিপদ ডেকে আনে। এর ফলে কিডনিতে এবং মূত্রথলিতে অনেক সময়েই টক্সিক সাবস্টান্স জমতে থাকে। যা শরীরে নানা অবাঞ্ছিত বিপদ ডেকে আনে।
শরীরকে শুষ্কতার হাত থেকে বাঁচাতে পানি পানের কোনও বিকল্প নেই। শরীরের বর্জ্য দূষিত পদার্থগুলিকে বের করে দেয় পানি। কোষগুলিকে পুষ্টি জোগায়, অক্সিজেন জোগায়। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে। মস্তিষ্কের কাজকর্ম সম্পাদন করার ক্ষেত্রেও পানির প্রভূত উপযোগিতা আছে।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বলে, ভুল ভাবে পানিপান করলে তা আমাদের পরিপাকচক্রের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
তা হলে কী ভাবে পানিপান করবেন?
কখনও একেবারে একটানা ঢকঢক করে এক গ্লাস বা অনেকটা পরিমাণ পানি পান করা উচিত নয়। এতে গ্যাসট্রিকের তরল লঘু হয়ে যায়। যার ফলে খাদ্যের সারাংশ গ্রহণ করতে অসুবিধা হয় এর। তাই ধীরে ধীরে পানি পান করাটাই উচিত।

img

টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে রয়েছে ঘুমের সম্পর্ক

প্রকাশিত :  ১৩:৪৯, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৫৭, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে রয়েছে ঘুমের অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক। প্রতি রাতে যারা ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্যা ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে জামা নেটওয়ার্ক ওপেন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের বরাতে বলা হয়েছে, যারা প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার কম সময় ঘুমান তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৬ শতাংশ। এই ক্ষতি স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেও পূরণ করা যাবে না।

যুক্তরাজ্যের প্রায় দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের উপর গবেষণায় দেখা গেছে, যারা রাতে সাত ঘণ্টার বেশি ঘুমান তাদের তুলনায় যারা তিন থেকে চার ঘণ্টা ঘুমান তাদের ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা ৪১ শতাংশ বেশি। যুক্তরাজ্যে আনুমানিক ৪.৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং ১৩.৬ মিলিয়ন মানুষ তীব্র ঝুঁকিতে রয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাইপ-টু ডায়াবেটিস শরীরের চিনি বা গ্লুকোজ প্রক্রিয়ার ক্ষমতায়কে প্রভাবিত করে এবং শরীরে ইনসুলিন শোষণে বাধা দেয়; যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। সময়ের সাথে সাথে এটি গুরুতর শারীরিক ক্ষতি করতে পারে, বিশেষ করে স্নায়ু এবং রক্তনালির।

 যুক্তরাজ্যের বায়োব্যাঙ্কে সংরক্ষিত ২ লাখ ৪৭ হাজার ৮৬৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুসের চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার ১২ বছরের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণাটি করা হয়েছে।

এতে গবেষকরা দেখেছেন, যারা স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন, সপ্তাহে দুইবারের কম লাল মাংস, প্রতিদিন চার চামচের বেশি শাকসবজি, প্রতিদিন দুই বা তিন টুকরার বেশি ফল গ্রহণ করেন এবং সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মাছ খান, এমন ৭,৯০৫ জনের টাইপ-টু ডায়াবেটিস দেখা দিয়েছে।

সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গবেষক ক্রিশ্চিয়ান বেনেডিক্ট বলেন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস মেনে চলা ব্যক্তিদের টাইপ-টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ২৫ শতাংশ কম এবং যারা এই খাদ্যাভাস মেনে চলেছেন কিন্তু ৬ ঘণ্টার কম ঘুমিয়েছেন তাদের আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা বেশি।