হঠাৎ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিজেবল, কী করবেন?

প্রকাশিত :  ০৯:৪৬, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৫০, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১

হঠাৎ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিজেবল, কী করবেন?

জনমত ডেস্ক: ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বহু অ্যাকাউন্ট ডিজেবল করে দিচ্ছে। ছবি: সংগৃহীতফেসবুক কর্তৃপক্ষ বহু অ্যাকাউন্ট ডিজেবল করে দিচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বহু অ্যাকাউন্ট ডিজেবল করে দিচ্ছে। এর কারণ তথ্যগত গড়মিল থাকা। যেসব অ্যাকাউন্ট এখনও সচল আছে, সেগুলো যেকোনও সময় ডিসেবল হয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় অ্যাকাউন্ট সচল রাখতে কী করতে হবে সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশি ইথিকাল হ্যাকিং গ্রুপ- সাইবার ৭১।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) ‌‘সাইবার ৭১’ এর ফেসবুক পেজ থেকে বলা হয়, হঠাৎ করেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষের অসংখ্য অ্যাকাউন্ট ভুয়া মনে হচ্ছে। একই ডিভাইসে অনেক আইডি লগইন করায় সেই আইডিগুলো ডিজেবল করে দিচ্ছে তারা। মূলত স্ক্যামারদের প্রতিহত করার জন্যই এই পদক্ষেপ। বিশেষ করে যাদের নামগুলো সঠিকভাবে নেই, সেই অ্যাকাউন্টগুলোতেই বেশি সমস্যা হচ্ছে।
পোস্টে আরও বলা হয়, এমন অবস্থায় যাদের জাতীয় পরিচয় পত্র ও পাসপোর্টের সঙ্গে ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নাম, জন্মতারিখ মিল নেই দ্রুত ঠিক করে নিন। অ্যাকাউন্টের নাম এবং জন্ম সালগুলো জাতীয় পরিচয় পত্র ও পাসপোর্টের মতো হুবহু আপডেট করে নিন। আর যাদের এখনও পর্যাপ্ত কাগজপত্র নেই তারা জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেটের সঙ্গে অ্যাকাউন্টের আপডেট করে নিন।
এরপও যদি অ্যাকাউন বন্ধ হয়, তাহলে জাতীয় পরিচয় পত্র ও পাসপোর্টে সঙ্গে আপনার নাম এবং জন্ম সাল মিলিয়ে আপিলের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে আনতে পারবেন। যদি তাও না হয়, তাহলে সাইবার ৭১ এর সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

ডিপফেক ভিডিও থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে

প্রকাশিত :  ১০:১৪, ২৮ মার্চ ২০২৪

বিজ্ঞানের উৎকর্ষকালে প্রযুক্তি যেমন মানুষের উপকার করছে, তেমনি কিছু প্রযুক্তি মানুষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি প্রযুক্তি হলো ডিপফেক প্রযুক্তি বা ডিপফেক ইন্টেলিজেন্সি।

অনেকে ডিপফেক এআইকে একুশ শতকের ফটোশপিং বলে থাকে। সহজ ভাষায় ডিপফেক হলো এআই নির্ভর এমন এক প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে যেকোনো ভিডিও, ছবি এবং অডিও রেকর্ডিংয়ে বিশ্বাসযোগ্যভাবে মানুষের মুখমণ্ডল বা কণ্ঠস্বর নকল করা যায়।

দিন দিন বাড়ছে ডিপফেক প্রযুক্তির অপব্যবহারের সংখ্যা। প্রথম প্রথম বিশ্বের নামকরা সেলিব্রিটি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ডিপফেক ইন্টেলিজেন্সি দিয়ে তৈরি নকল ভিডিও দ্বারা হেনস্তার শিকার হন।

ডিপফেক প্রযুক্তি থেকে নিজের ডেটার সুরক্ষার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যায়। সেগুলো উঠে এসেছে এনডিটিভির প্রতিবেদনে। 

১. যতদূর সম্ভব নিজের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য কোনো পাবলিক প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। এসব প্ল্যাটফর্মে প্রাইভেসি সেটিংসগুলো সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে। 

২. শক্তিশালী ও অনন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অনলাইন অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। ফলে ছবি ও ভিডিওগুলোয় অননুমোদিত অ্যাকসেস লাভ করা হ্যাকারদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে এবং ডিপফেক প্রযুক্তি দিয়ে নিজের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের সম্ভাবনা কমে যায়। 

৩. কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ডেটা ও ছবি চুরি করতে পারে। এসব ডেটা ও ছবি দিয়ে ডিপফেক কনটেন্ট তৈরি করে হ্যাকাররা। এজন্য কম্পিউটারে ভালোমানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা উচিত। এভাবে ব্যক্তিগত মিডিয়াতে ক্ষতিকারক টুলগুলোর অ্যাকসেস পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

৪. ডিপফেক কনটেন্টের সাধারণ লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। যদি কোনো ভিডিও, ছবি ও কণ্ঠ খুবই নিখুঁত বা অবাস্তব বলে মনে হয় তবে এটি শেয়ার করা বা বিশ্বাস করার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার মাধ্যমে এ ধরনের কারসাজি ভিডিও শনাক্ত করা যাবে। 

৫. নিজের ছবি ও ভিডিওতে জলছাপ বা ওয়াটারমার্ক যুক্ত করুন। এসব ওয়াটারমার্ক অনেক সময় সম্পূর্ণ মুছে ফেলা যায় না। আর সম্পূর্ণ মুছে ফেলার সময় ছবি ও ভিডিও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফলে এসব ছবি ও ভিডিও দিয়ে ডিপফেক তৈরি কঠিন হয়ে পড়ে। জলছাপ একটি অতিরিক্ত সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে।

৬. নিজের ফাইলগুলোয় মেটাডেটা সঠিকভাবে এম্বেড করা হয়েছে নাকি তা নিশ্চিত করতে হবে। মেটাডেটা হলো ফাইল সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক তথ্য। যেমন- কে তৈরি করেছে, কবে তৈরি করা হয়, কোথায় তৈরি হয়েছে, কবে এডিট করা হয়েছে, টাইটেল ইত্যাদি। মিডিয়া ফাইল ব্যবহার নিয়ে বিরোধ বা দ্বন্দ্বের ক্ষেত্রে এটি মালিকানার প্রমাণ হিসেবে কাজ করতে পারে। 

তবে এসব পদ্ধতি নিজের ডেটা সুরক্ষা দেবে তার শতভাগ নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না।