img

ওমিক্রনের আতঙ্কের মধ্যেই নতুন করোনা 'ইহু', ফ্রান্সে আক্রান্ত ১২

প্রকাশিত :  ১৫:০২, ০৪ জানুয়ারী ২০২২
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:০৬, ০৪ জানুয়ারী ২০২২

ওমিক্রনের আতঙ্কের মধ্যেই নতুন করোনা 'ইহু', ফ্রান্সে আক্রান্ত ১২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনার পরিবর্তিত ধরণ ওমিক্রনের থাবা বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত হওয়ার মাঝেই ফের নতুন রূপ ধারণ করেছে ভাইরাসটি। ফ্রান্সের ১২ জন নাগরিকের দেহে এই নতুন ধরনটি ধরা পড়েছে। দেশটির মেডিটেরানি ইনফেকশন নামে সংস্থার গবেষকরা করোনার এই নতুন রূপের নাম দিয়েছেন ইহু।
গবেষকরা বলছেন, অন্তত ৪৬টি মিউটেশন ভাইরাসটি এই নতুন রূপ ধারণ করেছে। ফলে এর সঙ্গে লড়াইয়ে করোনার চলতি টিকাগুলো কার্যকর নাও হতেওপারে বলে মনে করছেন তাঁরা। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
ফ্রান্সের ১২ জন নাগরিক IHU তথা B.1.640.2 স্ট্রেনটিতে ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁরা সবাই আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুনে বেড়াতে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। তবে ওই স্ট্রেনটির উৎস সেখানেই কি না তা নিশ্চিত হওয়া জানা যায়নি।
ফ্রান্সের মার্সেই শহরে অনেকেই নিয়মিত আফ্রিকার দেশগুলোতে যাতায়াত করেন। বিশেষত ক্যামেরুনে তাঁরা বেশি যান। সে দেশ থেকে ভাইরাসের এই নয়া রূপ রোগীর শরীরে প্রবেশ করছে কি না তা বোঝার চেষ্টা করছেন গবেষকরা।
বর্তমানে করোনার ওমিক্রন রূপই বিশ্বে বিভিন্ন প্রান্তে প্রভাবশালী ভূমিকায় রয়েছে। কিন্তু ভাইরাসের এই নয়া রূপ ইহু কতটা সংক্রামক তা এখনো স্পষ্ট করে গবেষকরা কিছু জানাননি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, শুধু ফ্রান্সেই কয়েকজন রোগীর শরীরে এর উপস্থিতির কথা জানা গেছে। তাই একে করোনার নয়া রূপ বলার আগে আরো খতিয়ে দেখতে চাইছেন তারা।
মহামারি বিশেষজ্ঞ এরিক ফেইগল-ডিং এ প্রসঙ্গে একটি দীর্ঘ টুইট করেছেন। তার মতে, এখন করোনার নতুন রূপগুলো একের পর এক আসতে থাকবে। তার মানে এই নয় যে তার প্রতিটিই বিপজ্জনক। সংখ্যা বৃদ্ধি করার ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে এটির বিপজ্জনক হয়ে ওঠা। মূল ভাইরাসটি থেকে কতগুলো মিউটেশন হচ্ছে, তা-ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে তিনি জানিয়েছেন।
গত ২৪ ডিসেম্বর প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খবর মেলে দক্ষিণ আফ্রিকায়। তারপর বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে করোনার এই রূপ। ইতোমধ্যেই ফ্রান্সের ৬০ শতাংশ করোনা সংক্রমণের জন্য দায়ী ওমিক্রন। ফলে নয়া স্ট্রেনের পক্ষে এই মুহূর্তে তাকে প্রতিস্থাপিত করা কার্যত অসম্ভব। গত ১০ ডিসেম্বর এই স্ট্রেনের প্রথম সংক্রমণের খোঁজ মিললেও এত দিনে ১২ জনের খোঁজ মিলল, যারা এর দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন।

img

মিসড কলেই গায়েব হতে পারে ব্যাংকের টাকা

প্রকাশিত :  ১১:২৪, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

মিসড কলেই গায়েব হতে পারে ব্যাংকের টাকা। নানাধর্মী অনলাইন স্ক্যামারের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। এতদিন আপনি নিশ্চয়ই ওটিপি শেয়ার করে বা কোনো অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে স্ক্যামের কথা শুনেছেন। তবে আজকাল আবার স্ক্যামাররা সিম সোয়্যাপ করেও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খালি করে ফেলছে। গত মাসের শুরুতেই নর্থ দিল্লির একজন আইনজীবী সিম সোয়্যাপ স্ক্যামারের শিকার হয়েছেন। আননোন নম্বর থেকে তিনবার মিসডকল পেতেই তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খালি হয়ে যায়।

তিনি জানান, অপরিচিত একটি ফোন নম্বর থেকে পরপর তিনটি মিসড কল আসে। তবে তিনি রিটার্ন ফোন করেননি। তারপরই ওই নারীর ফোনে একটি মেসেজ আসে। সেখানে লেখা অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। তবে চিন্তার বিষয় হলো তিনি কখনও কারো সঙ্গে ওটিপি বা অন্য কোনো ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করেননি। কিন্তু তারপরেও তার অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা গায়েব।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ধরনের প্রতারণার নাম ‘সিম সোয়্যাপ স্ক্যাম’। ফোনে মিসড কল আসা এবং পরবর্তীতে কোনো একবার সেই কল রিসিভ করলেই এই প্রতারণা কাজ করে। চক্রটি এভাবে আপনার ডুপ্লিকেট সিমের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং তা দিয়ে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে অন্য অনেক কিছুই ব্যবহার করে। কীভাবে এই প্রতারণা চক্র কাজ করে, কীভাবেই বা আপনি সুরক্ষিত থাকবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক করণীয়গুলো-

এই প্রতারণা চক্র কাজ করে যেভাবে ?

এই প্রতারণা চক্র কীভাবে কাজ করে, তা জানতে হলে প্রথমে বুঝতে হবে ওই নারীর সাথে ঠিক কী ঘটেছিল? ওই আইনজীবীর অভিযোগ, গত ১৮ অক্টোবর তার সাথে এ ঘটনা ঘটেছিল। স্থানীয় প্রশাসনকে তিনি জানান, কয়েক লাখ টাকা তার অ্যাকাউন্ট থেকে মুহূর্তের মধ্যেই গায়েব হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, মোট তিনবার একই নম্বর থেকে তার ফোনে কল আসে। পরবর্তীতে তিনি যখন অন্য একটি নম্বর থেকে কল ব্যাক করেন, তখন তাকে বলা হয় এটি কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারির নম্বর। ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তিনি অভিযুক্তের সাথে শুধু তার বাড়ির ঠিকানা শেয়ার করেছিলেন। তিনি মনে করেছিলেন, বন্ধু কোনো উপহার পাঠিয়েছে এবং তিনি পেয়েও গিয়েছেন। তারপরেই তার ব্যাংক থেকে একটি মেসেজ আসে, সেখানে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

প্রশাসনের কর্মকর্তা জানান, তদন্তে ওই নারী ফোন থেকে কিছু অস্বাভাবিক ব্রাউজিং হিস্ট্রি লক্ষ্য করা যায়, যা তিনি কখনও করেননি। তিনি কিছু ফিশিং লিঙ্ক এবং কিছু UPI রেজিস্ট্রেশন টেক্স পেয়েছিলেন বলে ওই অফিসার উল্লেখ করেছেন। এখান থেকে একটি বিষয় বোঝা যায়, সিমটি দিয়ে প্রতারকরা ওই নারীর ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়েই যাবতীয় কাজ করে। সেই তথ্য তারা কারো সহযোগিতায় মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহার করে ডুপ্লিকেট সিমের অ্যাক্সেস পেতে পারে।

সুরক্ষিত থাকবেন যেভাবে-

১. কখনও আপনার ব্যক্তিগত তথ্য কারো সাথে শেয়ার করবেন না।

২.বিভিন্ন ব্যক্তিগত নথি ও তার নম্বর অনলাইনে কোনো প্ল্যাটফর্মেই শেয়ার করবেন না।

৩.আপনার সিম কার্ড কাজ না করলে টেলিকম অপারেটরকে বিষয়টি জানান।

৪. ওটিপি কখনো ব্যাংকের কর্মী, ব্যাংকিং এজেন্টের সাথে ফোনে বা অনলাইনে শেয়ার করবেন না।