ঠান্ডা-ফ্লু নাকি ওমিক্রন, যে লক্ষণগুলো দেখে চিনবেন

প্রকাশিত :  ০৭:০৮, ০৮ জানুয়ারী ২০২২

ঠান্ডা-ফ্লু নাকি ওমিক্রন, যে লক্ষণগুলো দেখে চিনবেন

এ মৌসুমে তিনটি সমস্যা হচ্ছে। কিছু কিছু উপসর্গ দেখে এগুলো আলাদা করা যায়। সেই লক্ষণগুলো কী কী?
শীতের মৌসুমে পরিবারে কারও না কারও ঠান্ডা লাগছেই। তার সঙ্গে এ সময়ে ফ্লু ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তও হয়। সব মিলিয়ে বোঝা দায়, কোনটা সাধারণ ঠান্ডা লাগা, কোনটা ফ্লু, কোনটাই বা কোভিড। কয়েকটি লক্ষণ বা উপসর্গের দিকে নজর দিতে হবে।
এখানে প্রথমেই বলে রাখা দরকার, সাধারণ ঠান্ডা লাগা আর ওমিক্রনের উপসর্গের পার্থক্য খুবই সামান্য। তাই একমাত্র আরটিপিসিআর করেই বোঝা সম্ভব, কোনটি কোভিড
সংক্রমণ। সম্প্রতি ন্যাশনাল জিয়োগ্রাফিক-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নামজাদা চিকিৎসক এবং সংক্রাকম রোগ
বিশেষজ্ঞ জিল ওয়েদারহেড বলেছেন, ‘এ সময়ে নিজেকে এবং অন্যদের বাঁচানোর একটা রাস্তা যে কোনো ধরনের উপসর্গ দেখলেই বাকিদের থেকে সরিয়ে নেওয়া। এবং কোভিড পরীক্ষা করানো। এখনো পর্যন্ত ওমিক্রন সংক্রমণের হার বেশি থাকলেও, করোনার এই রূপটি খুব বেশি বাড়াবাড়ির আকার নেয়নি। ডেল্টার মতো ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রন আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির পরিমাণও কম। তবু বিশেষজ্ঞদের ভাবাচ্ছে অন্য দুটি বিষয়।

এক. করোনা এবং ফ্লুয়ের জীবাণুর যৌথ আক্রমণ কতটা ভয়ের হয়ে উঠতে পারে?

দুই. ওমিক্রন সংক্রমণেও ‘লং কোভিড’-এর মতো সমস্যা হচ্ছে। সেই সমস্যা কতটা বাড়াবাড়ির অবস্থা সৃষ্টি করতে

পারে?

তবে কোনো উপসর্গ দেখলে কতটা সাবধান হবেন, সে

বিষয়ে একটা ধারণা দেওয়া যায়। দেখে নেওয়া যাক সেটি-

উপসর্গ কোভিড ফ্লু ঠান্ডা লাগা

শুকনো কাশি হয় হয় মাঝে মধ্যে

জ্বর হয় হয় খুব কম

নাক বন্ধ খুব কম মাঝে মধ্যে হয়

গলাব্যথা মাঝে মধ্যে মাঝে মধ্যে হয়

শ্বাসকষ্ট মাঝে মধ্যে দেখা যায়নি দেখা যায়নি

মাথাব্যথা মাঝে মধ্যে হয় দেখা যায়নি

গায়ে ব্যথা মাঝে মধ্যে হয় হয়

হাঁচি দেখা যায়নি দেখা যায়নি হয়

ক্লান্তি মাঝে মধ্যে হয় মাঝে মধ্যে

পেট খারাপ খুব কম মাঝে মধ্যে দেখা যায়নি

মোটামুটি এভাবেই লক্ষণগুলো সাজিয়ে নেওয়া যায়। এটা দেখে একটা আন্দাজ পাওয়া যেতে পারে, কোন কোন লক্ষণ বেশি মাত্রায় দেখলে কোভিড নিয়ে সচেতন হতে হবে এবং দ্রুত কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে।

ইনহেলার ব্যবহারে কি রোজা ভাঙ্গে?

প্রকাশিত :  ০৯:৩৯, ২৮ মার্চ ২০২৪

ইজমায়ে উম্মাহ তথা বিশ্বের অনেক মুসলিম স্কলার একটি বিষয়ে এক সভায় একমত হয়েছেন যে, যদি দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের অবস্থা যেমন-অ্যাজমা ও সিওপিডি সমস্যা থাকে এবং সে যখন রোজা রাখে তখন ইনহেলার আকারে নেওয়া অ্যাজমা ও সিওপিডি ওষুধগুলো রোজা ভঙ্গ করে না। 

বিষয়টি মেডিক্যাল জার্নালেও প্রকাশ হয়েছে। যদি কেউ তার রোজার অংশ হিসাবে সঠিকভাবে ওষুধ গ্রহণ না করাকে বেছে নেন, তবে তার অ্যাজমা ও সিওপিডি লক্ষণগুলো আরও খারাপ হতে পারে।

ইনহেলার ব্যবহারে রোজা ভেঙে যায়-রোগীদের এ দ্বিধা মোকাবিলায় সহায়তা করা গুরুত্বপূর্ণ। একটি পদ্ধতি হলো রোগীদের তাদের ইনহেলার ব্যবহারের সময় নিয়ে সাহায্য করা। বেশিরভাগ অ্যাজমা ও সিওপিডি এর প্রতিরোধক ওষুধগুলো দিনে দুবার নির্ধারিত হয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে রোগীরা সেহরির সময় এবং ইফতারের সময় ICS বা ICS+LABA দৈনিক প্রতিরোধক ইনহেলার পুনঃবিন্যাস করতে পারেন।

যেহেতু হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য রোগীদের তাদের প্রতিরোধক ইনহেলার (ICS ও LABA) নির্ধারিত হিসাবে গ্রহণ করা চালিয়ে যেতে হবে। রমজান মাসে প্রতিরোধক থেরাপি মেনে চলার গুরুত্ব সম্পর্কে চিকিৎসকদের কর্তব্য রোগীদের সচেতন করা বা সম্ভাব্য ক্ষতি সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া। রমজান মাসে রোগীদের ধূমপান বন্ধ করার একটি সুবর্ণ সুযোগ হতে পারে। রোগীরা চাইলে এ সময়টা ধূমপান (যারা করেন) পরিহার করে ইনহেলার ব্যবহারজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।