img

ইউক্রেন ইস্যুতে এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত :  ০৬:৩৮, ১৫ জানুয়ারী ২০২২

ইউক্রেন ইস্যুতে এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

জনমত ডেস্ক: ইউক্রেন ইস্যুতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শুক্রবার ফোনে কথা হয় দুই নেতার। এ সময় ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা সমাবেশ নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানান তারা। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
ব্রিটিশ সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়ান সেনা সমাবেশ নিয়ে দুই নেতা উদ্বেগ জানিয়েছেন। আরও উত্তেজনা এড়াতে ন্যাটোর সম্মিলিত সংকল্পের ওপর জোর দিয়েছেন তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিদ্যমান সংকটের একটি সমাধানে পৌঁছানোর জন্য ন্যাটোর মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যেতে যুক্তরাজ্য ও তুরস্ক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তুর্কি সরকারের যোগাযোগ দফতরের বরাত দিয়ে আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, ফোনালাপে সিরিয়া ও ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে দুই নেতার। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ও শরণার্থী ইস্যু নিয়েও তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ইস্যুর বাইরে ফোনালাপে দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদার করা এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষা নিয়েও কথা বলেন।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

img

ইরানের ওপর ব্রিটেন-আমেরিকার নতুন নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত :  ১৮:২২, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:০৮, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ইহুদিবাদী ইসরায়েলের প্রধান মিত্রদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইরানের ওপর ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশ দুটি। খবর পলিটিকো ইইউ ও আল জাজিরার।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের ইউএভি (ড্রোন) উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ১৬ ব্যক্তি এবং ২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এরা ইরানের শাহেদ ড্রোন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত। ওই ড্রোন ১৩ এপ্রিলের হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যও ইরানের ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত দেশটির সামরিক বাহিনী-সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে।

শনিবার রাতে ইসরাইলে প্রত্যাশিত ও অভাবনীয় হামলা চালায় ইরান। ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ইসরাইলের বিমান হামলায় কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা নিহতের প্রতিশোদ হিসেবে ওই হামলা চালানো হয়।

এ হামলায় তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইরান। এগুলোর বেশির ভাগই আকাশে ধ্বংস করার দাবি করেছে ইসরাইল। এ হামলা রুখতে ইসরাইলকে সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডান।

এ হামলার জবাবে ইরানে পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, নিজেদের সুরক্ষার অধিকার ইসরাইলের রয়েছে।

ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, আজকে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় এবং অংশীদার ও মিত্রদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা ইসরাইলে ইরানের নজিরবিহীন হামলার জবাব দিতে দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছি।

ইরানের মারাত্মক কর্মকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো ব্যাহত ও নস্যাৎ করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক উপকরণগুলো (টুল) ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আগামীতে ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষগুলোর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।