img

এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে গ্রেফতার করা হচ্ছে: তৈমুর

প্রকাশিত :  ০৮:৫৭, ১৬ জানুয়ারী ২০২২

এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে গ্রেফতার করা হচ্ছে: তৈমুর

এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে গ্রেফতারের অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।
রোববার দুপুর ১টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের ৮নং ওয়ার্ডের আইলপালা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ অভিযোগ করেন।  তিনি বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে ভোটগ্রহণে সমস্যা হচ্ছে।
অভিযোগ করে হাতির মার্কার এই প্রার্থী বলেন, বন্দরের ২০নং ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশনের শীর্ষ ঠিকাদার ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান আমার এজেন্ট মনোয়ার হোসেন শোখনকে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
নগরীর ১১নং ওয়ার্ডের আইইটি সরকারি বিদ্যালয়কেন্দ্রের বাইরে থেকে আমার চার সমর্থককে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে।
এ ছাড়া নগরীর ১২নং ওয়ার্ডে বার একাডেমি কেন্দ্রের কয়েকটি বুথে আমার প্রতীক হাতির মার্কার বাটন নষ্ট করে রাখা হয়েছে।
১১নং ওয়ার্ড এর বিবি মরিয়ম স্কুলকেন্দ্রের পুরুষ কক্ষে, ১৩নং ওয়ার্ডের আমলাপাড়া আদর্শ বালিকা স্কুলের মহিলা কেন্দ্রের ইবিএম মেশিনে সমস্যা করে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকায় থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি ইয়াসিন কেন্দ্রে প্রবেশ করে তার এজেন্টদের বের করে দিয়েছেন।
তৈমুর অভিযোগ করে বলেন, হাতি প্রতীকের ভোট যেসব এলাকায় বেশি সেখানে ভোটগ্রহণ স্লো করা হচ্ছে। এনআইডি কার্ডের অজুহাতে কিংবা ভোটা লিস্টের অজুহাতে ভোটারদের বিলম্ব করিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, জনতা ও হাতির বিজয় নিশ্চিত জেনে সরকারদলীয় লোকজন একদিকে এসব কর্মকাণ্ড করছে, অপরদিকে স্থানীয় প্রশাসন, ইসি কর্মকর্তারা সরাসরি সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে ম্যাকানিজম করছেন। কিন্তু তাদের এখনও সময় আছে বোঝার। আমি জনতার প্রার্থী আর হাতি জনতার প্রতীক। জনতার রায়ের বিরুদ্ধে গেলে জনতার জবাব কাঁধে নেওয়ার শক্তি সামর্থ্য তাদের থাকবে না।


img

২৩ নাবিকসহ কুতুবদিয়ায় নোঙর করল এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত :  ১৪:৫০, ১৩ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:৪৪, ১৩ মে ২০২৪

সোমালিয়ান জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত ২৩ নাবিককে নিয়ে দেশে পৌঁছাল বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। দীর্ঘ যাত্রা শেষে সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে জাহাজটি। বিষয়টি জানিয়েছেন জাহাজের মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ।

কুতুবদিয়ায় চুনাপাথরের কিছু চালান খালাস করে জাহাজটি ১৫ মে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস করার পর বন্দর জেটিতে আসবে এমভি আব্দুল্লাহ। এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকালে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত নাবিকদের চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হবে।

কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, এমভি আবদুল্লাহ বর্তমানে কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে। জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত নাবিকদের লাইটার জাহাজে মঙ্গলবার সরাসরি সদরঘাট কেএসআরএম জেটিতে নিয়ে আসা হবে। সেখানেই তাদের বরণ করা হবে।

তিনি বলেন, নাবিকদের জেটিতে বরণ করার জন্য কেএসআরএমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। নাবিকদের স্বজনদের কেউ কেউ এ সময় জেটিতে উপস্থিত থাকবেন বলেও জানা গেছে। তারা নাবিকদের বরণ করে নেবেন।

জাহাজটির পরিচালনা প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের দায়িত্ব নেবে নতুন একটি নাবিক দল। বর্তমান নাবিকরা দীর্ঘ ভ্রমণ ও জিম্মিদশার ট্রমা কাটিয়ে ওঠার জন্য ছুটিতে যাবেন। তবে তারা মঙ্গলবারই ছুটি পাচ্ছেন কিনা এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর থেকে নানা শঙ্কায় ছিলেন জিম্মি নাবিকদের স্বজনরা। দীর্ঘদিন পর তাদের অপেক্ষার প্রহর ফুরাল।

শিপিং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজের নাবিকরা সুস্থ আছেন। কুতুবদিয়ায় আসার পর নাবিক ও ক্রু সদস্যদের একটি নতুন ব্যাচ জাহাজটিতে পাঠানো হবে। জাহাজে বর্তমানে যে ২৩ জন ক্রু আছেন তাদের আগামীকাল মঙ্গলবার একটি লাইটার জাহাজে করে কেএসআরএম লাইটার জেটি সদরঘাটে আনা হবে। সেখানে তাদের বরণ করবেন স্বজনরা। সেখান থেকে তারা নিজ নিজ বাড়িতে যাবেন।

এমভি আব্দুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি করা ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে এসেছে। কার্গোর কিছু অংশ কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে এবং বাকি পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসবে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, এমভি আবদুল্লাহ ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে গত ৪ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হয়। ১৯ মার্চ আবদুল্লাহ আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছার কথা ছিল।

মাপুতু থেকে রওনা হওয়ার চার দিন পর গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল।    

সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার দীর্ঘ ৩৩ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়। মুক্ত হওয়ার আট দিনের মাথায় গত ২১ এপ্রিল বিকালে নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ দুবাই পৌঁছে। জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়ে ২২ এপ্রিল। এরপর ওই বন্দরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাসের পর নতুন ট্রিপের পণ্য (পাথর) লোড করতে ইউএইর মিনা সাকার বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয় জাহাজ। সেখানে ৫৬ হাজার টন চুনা পাথর নিয়ে এমভি আবদুল্লাহ গত ৩০ এপ্রিল দুবাই মিনা সাকার বন্দর থেকে দেশের পথে রওনা হয়।