img

তৈমুর কাকার যৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করব: আইভী

প্রকাশিত :  ১৭:২৭, ১৬ জানুয়ারী ২০২২
সর্বশেষ আপডেট: ১৮:০৪, ১৬ জানুয়ারী ২০২২

তৈমুর কাকার যৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করব: আইভী

জনমত ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বেসরকারিভাবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকে জনগণের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন সেলিনা হায়াত আইভী।
নির্বাচনে বেসরকারিভাবে বিজয়ের খবর আসার পর রোববার রাত সোয়া ৯টায় নগরীর নিজ বাসা চুনকা কুটিরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আবারো প্রমাণ হয়েছে এই নারায়ণগঞ্জের মাটি নৌকার ঘাঁটি। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের জয় এই নারায়ণগঞ্জেই হয়েছিল, তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পেরেছি বলে নিজেকেও গর্বিত মনে করি। শেখ হাসিনার একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আমি আজীবন এই দল করতে চাই।
জয় বাংলা বলব; কিন্তু সব কিছুর ঊর্ধ্বে থেকেই আমি নারায়ণগঞ্জের মানুষের সেবা করব। দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে জনকল্যাণে কাজ করব।  
তৃতীয়বারের মতো বিজয়ী করায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আইভী বলেন, তারা আমাকে আগামী ৫ বছরের জন্য কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এজন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি আগামী ৫ বছর নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করতে চাই। তাদের জন্য জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত উৎসর্গ করতে চাই। সব ধরনের বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে আমি জনগণের জন্য কাজ করতে চাই।
তিনি বলেন, এই জয় জনগণের। আমৃত্যু নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য কাজ করব। এই জয় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার। এই জয় উৎসর্গিত আমার নেত্রীর জন্য। এই জয় উৎসর্গিত আমার নিবেদিতপ্রাণ নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য; যারা আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন। এ জয় মুক্তিযোদ্ধাদের জয়।
প্রধান প্রতিপক্ষ তৈমুর আলম খন্দকারের অভিযোগের জবাবে আইভী বলেন, আপনারা সাংবাদিকরা সারাদিন ছিলেন। প্রশাসন ছিল। ফলে এরকম কিছু হয়ে থাকলে আপনাদের চোখে পড়ত। আমি মনে করি- ইভিএম ভোটিং স্লো না হলে ভোট কাস্টিং বেশি হতো এবং লক্ষাধিক ভোটে জয়ী হতাম।
তিনি বলেন, আমার সব নির্বাচনই ছিল চ্যালেঞ্জিং। এটাও তার চেয়ে কম নয়। নির্বাচন মানেই প্রতিযোগিতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা। সব কিছু ওভারকাম করে জয় নিয়ে আসার মধ্যেই আমাদের সাফল্য। তবে আমি মনে করি যত কিছুই এখানে হোক না কেন, তবুও নৌকার বিজয় হয়েছে এর মূলেই আমার জনগণ। জনসমর্থন যদি না থাকত তাহলে আমি নারায়ণগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতাম না।
তিনি আরও বলেন, তবে এটা সত্য- মানুষকে আস্থায় আনার জন্য কখনো তাদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেইনি। কখনো অযথা আশ্বাস দেইনি। আমি গতানুগতিকের বাইরে গিয়ে এ শহরের মানুষের সঙ্গে সাধারণভাবে মিশেছি। কাজ করেছি। আমি যেটা পেরেছি সেটাই বলেছি। সেটা পারি নাই, সেটা বলি নাই। নি:স্বার্থভাবে মানুষকে ভালোবেসেছি। মানুষও তা ফিরিয়ে দিয়েছে। আমার দল ও নেত্রী আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। আমার হাতে নৌকা তুলে দিয়েছিলেন। নারায়ণগঞ্জবাসীও তাকে নিরাশ করেননি।
এ সময় তিনি বিগত বছরের মতো তার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ তৈমুরের বাসায় মিষ্টি নিয়ে যাবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাব। তৈমুর কাকা চাইলেও যাব, না চাইলেও যাব এবং তার যৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো দুজনে মিলে বসে বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।
শামীম ওসমান তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কিনা- জানতে চাইলে আইভী বলেন, জানাননি। হয়তো জানাবেন।


img

মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হলেও যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করেনি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত :  ১৮:২৯, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হলেও যুক্তরাষ্ট্রের মানবাবিধকার প্রতিবেদনে তা স্বীকার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহলী সাবরীন। এ বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেন, ২০২৩ সালের যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন নোট করেছে বাংলাদেশ। আমরা যতই আকাঙ্ক্ষা করি না কেন, বিশ্বের কোথাও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিখুঁত নয়। কারণ একটি দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় বিভিন্ন ধরনের সীমাবদ্ধতা থাকে।‘বাংলাদেশ সরকার তার নাগরিকদের মানবাধিকার সমুন্নত রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লে­খযোগ্য উন্নতি হয়েছে, তবে যেসবের আরও উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে সেগুলোর প্রতি লক্ষ্য রেখে বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে কাজ করে যাচ্ছে।’
মুখপাত্র বলেন, ‘সরকারের প্রচেষ্টার ফলে নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা, শিশুদের অধিকার, বয়স্ক ব্যক্তিদের অধিকার, শ্রমিকদের অধিকার, অভিযোগ নিষ্পত্তি, ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, বাক-স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক সমাবেশ করার ক্ষেত্রে উল্লে­খযোগ্য স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। সরকারের এত অর্জন সত্ত্বেও দুঃখের বিষয় মার্কিন প্রতিবেদনে সরকারের অনেক উন্নতি ও অর্জন স্বীকার করা হয়নি। এছাড়া কিছু বিচ্ছিন্ন এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে। প্রতিবেদনে স্পষ্ট যে, এটি পৃথক রিপোর্ট করা বা অভিযুক্ত ঘটনার রেফারেন্স দিয়ে পরিপূর্ণ নয়।’
সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘এটাও স্পষ্ট যে, প্রতিবেদনে বেশিরভাগ স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বেসরকারি বেনামি সংস্থা থেকে অনুমাননির্ভর তথ্য নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে। সে কারণে প্রতিবেদনে সহজাত এবং পক্ষপাতদুষ্ট বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়েছে।’
মার্কিন প্রতিবেদনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ‘খালেদা জিয়া গৃহবন্দি নন।’
মুখপাত্র বলেন, ‘প্রতিবেদনে কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে এটি সঠিক নয়। প্রতিবেদনে বিএনপি এবং এর রাজনৈতিক মিত্রদের দ্বারা সংঘটিত সহিংসতা ও ভাঙচুর তুলে ধরা হয়নি। তাদের সহিংসতা প্রায়ই সাধারণ মানুষের জীবনকে ব্যাহত করে এবং সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতি করে। এতকিছুর পরও বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অত্যন্ত সংযম প্রদর্শন করেছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, মানবাধিকার এবং শ্রম অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিক সংলাপ থাকা সত্ত্বেও প্রতিবেদনে এই বিষয়ে রাষ্ট্র-সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ছাড়িয়ে বারবার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। অনুরূপ শ্রম অধিকারসংক্রান্ত বিষয়গুলো বিশেষ করে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন এবং ক্রিয়াকলাপের বিষয়ে প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি কেস উলে­খ করা হয়েছে, যেগুলো নিয়ে একাধিক দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’
সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘প্রতিবেদনটি স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং কিছু সংবিধিবদ্ধ সংস্থাসহ বেশ কয়েকটি মূল্যবান রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রশংসা করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার সামগ্রিক প্রতিবেদনটি নোট করেছে এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদার ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সব নাগরিকের মানবাধিকারের সম্পূর্ণ উপভোগ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি বজায় রাখার জন্য যে কোনো পরিস্থিতিতে জড়িত থাকার জন্য উন্মুখ।’