img

শীতের বিদায়বেলায় ফ্যাশন

প্রকাশিত :  ০৯:৩২, ১৯ জানুয়ারী ২০২২

শীতের বিদায়বেলায় ফ্যাশন

শীতের শেষে কয়েক ধরনের জ্যাকেট বা সোয়েটার পরলে যেমন স্টাইলও করা যাবে তেমনি ক্যারি করতে সমস্যাও হবে না। মডেল: কনা ও নুসরাত ফারিয়া। ছবি: গোলাম সাব্বির শীতের শেষে কয়েক ধরনের জ্যাকেট বা সোয়েটার পরলে যেমন স্টাইলও করা যাবে তেমনি ক্যারি করতে সমস্যাও হবে না। মডেল: কনা ও নুসরাত ফারিয়া। ছবি: গোলাম সাব্বির
মাঘের শুরুতে শহরে দখিনা বাতাসের আগমনে প্রকৃতিতে শীতের বিদায়বেলার আয়োজন অুনভব করা যাচ্ছে। সময়টা এমন যে, দুপুর গড়াতেই গরম পোশাকে অস্বস্তি বোধ করছেন কেউ কেউ। আবার সন্ধ্যা নামতেই হিম হিম ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে যাচ্ছেন অনেকে। তাই দরকার এমন পোশাক যা ক্যারি করতেও সমস্যা হবে না, স্টাইলও করা যাবে।
এমব্রয়ডারি করা জ্যাকেট: উলের তৈরি সোয়েটার বা জ্যাকেট পরলে অনেকের র‌্যাশ বের হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়, এমনকি গায়ে চুলকুনিও হয়। তারা মেরিনো জ্যাকেট ট্রাই করতে পারেন। কারণ, মেরিনো সাধারণ উলের থেকে আলাদা। এটি ন্যাচারাল ফ্যাব্রিক। ফলে ত্বকে কোনো র‌্যাশ হওয়ার কোনো আশঙ্কা একবারেই থাকে না।

টুইড জ্যাকেট: সিম্পল অথচ স্টাইলিশ শীতপোশাক ফ্যাশন করতে চান তাহলে টুইড জ্যাকেট পরতে পারেন। তবে টুইড জ্যাকেট শুধুমাত্র জিন্স, টপ বা স্কার্টের সঙ্গে না, চাইলে আপনি শাড়ির সঙ্গেও পরতে পারেন। শুধু পোশাক অনুযায়ী মেকআপ, হেয়ারস্টাইল আর সঠিক গয়না বেছে নিতে হবে।
শাল কোট: নাগরিক কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকের পক্ষেই শাল গায়ে দেওয়া আর সেটা ঠিকভাবে ক্যারি করাটা একটা ঝক্কির কাজ। তাই শালের বদলে শাল কোট পরে দেখতে পারেন। শাল গায়ে দেওয়াও হবে আবার একই সঙ্গে বার বার কাঁধ থেকে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকবে না। তাছাড়া এই পোশাকটি আপনাকে ঠাণ্ডায় উষ্ণ রাখবে আবার অন্যদিকে স্টাইলিশ লুকও এনে দেবে। জনমত ডেস্ক:

img

টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে রয়েছে ঘুমের সম্পর্ক

প্রকাশিত :  ১৩:৪৯, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৫৭, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে রয়েছে ঘুমের অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক। প্রতি রাতে যারা ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্যা ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে জামা নেটওয়ার্ক ওপেন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের বরাতে বলা হয়েছে, যারা প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার কম সময় ঘুমান তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৬ শতাংশ। এই ক্ষতি স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেও পূরণ করা যাবে না।

যুক্তরাজ্যের প্রায় দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের উপর গবেষণায় দেখা গেছে, যারা রাতে সাত ঘণ্টার বেশি ঘুমান তাদের তুলনায় যারা তিন থেকে চার ঘণ্টা ঘুমান তাদের ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা ৪১ শতাংশ বেশি। যুক্তরাজ্যে আনুমানিক ৪.৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং ১৩.৬ মিলিয়ন মানুষ তীব্র ঝুঁকিতে রয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাইপ-টু ডায়াবেটিস শরীরের চিনি বা গ্লুকোজ প্রক্রিয়ার ক্ষমতায়কে প্রভাবিত করে এবং শরীরে ইনসুলিন শোষণে বাধা দেয়; যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। সময়ের সাথে সাথে এটি গুরুতর শারীরিক ক্ষতি করতে পারে, বিশেষ করে স্নায়ু এবং রক্তনালির।

 যুক্তরাজ্যের বায়োব্যাঙ্কে সংরক্ষিত ২ লাখ ৪৭ হাজার ৮৬৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুসের চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার ১২ বছরের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণাটি করা হয়েছে।

এতে গবেষকরা দেখেছেন, যারা স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন, সপ্তাহে দুইবারের কম লাল মাংস, প্রতিদিন চার চামচের বেশি শাকসবজি, প্রতিদিন দুই বা তিন টুকরার বেশি ফল গ্রহণ করেন এবং সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মাছ খান, এমন ৭,৯০৫ জনের টাইপ-টু ডায়াবেটিস দেখা দিয়েছে।

সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গবেষক ক্রিশ্চিয়ান বেনেডিক্ট বলেন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস মেনে চলা ব্যক্তিদের টাইপ-টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ২৫ শতাংশ কম এবং যারা এই খাদ্যাভাস মেনে চলেছেন কিন্তু ৬ ঘণ্টার কম ঘুমিয়েছেন তাদের আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা বেশি।