img

শিমু হত্যার নেপথ্যে অবৈধ সম্পর্ক!

প্রকাশিত :  ১০:১২, ২০ জানুয়ারী ২০২২

শিমু হত্যার নেপথ্যে অবৈধ সম্পর্ক!

বিনোদন ডেস্ক: অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর হত্যাকাণ্ডের পেছনে অবৈধ সম্পর্কের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। শিমুর হত্যাকারী তার স্বামী খন্দকার সাখাওয়াত আলীম নোবেল পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক থাকার দাবি করেছেন। স্ত্রীকে পথে ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে হত্যাকাণ্ডের পথ বেছে নেয় বলে দাবি করেছেন নোবেল। জিজ্ঞাসাবাদকারী কর্মকর্তাদের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। শিমুর সঙ্গে যার সম্পর্কের কথা বলছেন নোবেল তাকেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে তার সঙ্গে পুলিশ এখনো কথা বলতে পারেনি।
ঢাকা জেলা পুলিশের  একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইত্তেফাককে বলেন, ‘নোবেল দাবি করেছেন, তার স্ত্রীর সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে খুব একটা সংকট হয়নি। কিন্তু বেশ কিছুদিন হলো অন্য একজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে পড়েছেন শিমু। সে পথ থেকে তাকে ফেরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।’ ঐ কর্মকর্তা বলেন, নোবেল সত্যি বলছেন কি না সেটা জানার জন্য যার সঙ্গে শিমুর সম্পর্কের কথা বলেছেন তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুলিশ এখনো তার সঙ্গে কথা বলতে পারেনি।
শিমুর বোন ফাতেমা নিশা বলেছেন, এমন কোনো দিন নেই যে বোনের সঙ্গে আমার কথা হয়নি। আমার বোনের স্বামী তাকে মেরেছে কি না, সেটি আমরা জানি না। ১৮ বছরের সংসারে তাদের মধ্যে পারিবারিক কিংবা অন্য কোনো বিষয় নিয়ে কলহ দেখিনি। হত্যাকাণ্ডটি কেন তিনি করবেন? যদিও শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকনের দাবি, নোবেলই খুন করেছে। সে মাদকাসক্ত। প্রতিদিনই বোনকে নির্যাতন করত।
এদিকে শিমুকে নিজের খুন করার সময়ে ঐ বাসাতে ছিল তার দুই সন্তান। ঘটনার সময়ে তারা নিজেদের কক্ষে ঘুমিয়ে ছিল। এজন্য তারা কিছু বুঝতে পারেনি। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্যই জানিয়েছেন শিমুর স্বামী নোবেল।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মারুফ হোসেন সরদার বলেছেন, দীর্ঘদিনের দাম্পত্য কলহের জেরে শিমুর স্বামী তাকে হত্যা করেন বলে স্বীকার করেছেন। হত্যার পর লাশ গুমে তিনি গাড়ি চালক ফরহাদের সহযোগিতা নেন। নোবেল ও ফরহাদ বর্তমানে পুলিশের রিমান্ডে আছেন। তিন দিনের রিমান্ডের গতকাল ছিল প্রথম দিন।
প্রসঙ্গত, ঢাকার কেরানীগঞ্জে সড়কের পাশ থেকে সোমবার সকাল ১০টার দিকে বস্তাবন্দি অবস্থায় অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাতেই ফিঙ্গার প্রিন্টের সহায়তায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নিশ্চিত হয় অজ্ঞাত নারী হলেন অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু। এরপর রাত ৪টার দিকে পুলিশ তার স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তার গাড়িচালক ফরহাদকে কলাবাগানের ৩৪ গ্রিন রোডের বাসা থেকে আটক করে কেরানীগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। রাতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা খুনের কথা স্বীকার করে।
খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেলের বাড়ি ফরিদপুরের কমলপুর গ্রামে। তাদের ১৫ বছরের এক মেয়ে ও সাত বছরের এক ছেলে আছে।

img

প্রেমের কথা স্বীকার মন্দিরার, প্রেমিক কি রাজ?

প্রকাশিত :  ১৮:৪০, ১৩ মে ২০২৪

নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’ সিনেমাটির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটেছে মন্দিরা চক্রবর্তীর। কাজলরেখার জন্য প্রশংসার পাশাপাশি ব্যক্তি জীবন নিয়েও বেশ আলোচনায় রয়েছেন তিনি। গুঞ্জন চলছে অভিনেতা শরীফুল রাজের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এ অভিনেত্রীর। মন্দিরাও এবার জানালেন তিনি প্রেম করছেন, তবে কার সঙ্গে সে নিয়ে রয়েছে রহস্য।

পরীর ডানা ভেঙে পড়ে যাওয়া শরিফুল রাজ নাকি মন্দিরার তালে তালে সুর তুলেছেন। শোনা যাচ্ছে, তারা নাকি গোপনে চুটিয়ে প্রেম করছেন। সুযোগ পেলেই একান্তে সময় কাটাচ্ছেন।

ঢালিউড অন্দরমহলের খবর, রমজানের ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘কাজলরেখা’ সিনেমায় অভিনয়ের সূত্র ধরেই কাছাকাছি এসেছেন রাজ-মন্দিরা। পর্দার বাইরে তাদের রসায়ন দেখে তেমনটা আন্দাজ করা স্বাভাবিক বটে। ফলে এ নিয়ে হচ্ছে আলোচনা।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে রাজের সঙ্গে প্রেম বিষয়ক প্রশ্নের মুখে পড়েন মন্দিরা। সেখানে প্রেমের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। তবে কার সঙ্গে—সেটা পরিষ্কার করেননি।

রাজ ভালো বন্ধু জানিয়ে মন্দিরা বলেন—আমরা খুবই ভালো বন্ধু। প্রেমটা হওয়ার সুযোগ নেই আসলে। বলতে পারি, সে আমার খুবই ভালো একজন বন্ধু হয়ে উঠেছে। শুটিংয়ের সময় সে আমার বন্ধু ছিল না। কারণ, তখন আমার সঙ্গে তার বেশি কথা হতো না, খুবই কম। আমাদের শুটিং হচ্ছিল ২০২২ সালে। এখন সে যে লাইফটা কাটাচ্ছে, তখন সে এই লাইফে ছিল না। তার তখন সন্তান হয়েছিল, সবকিছু মিলিয়ে সে তার মতো ছিল। তখন মাত্রই আমাদের প্রথম দেখা।

তিনি আরও বলেন—বাস্তব জীবনে প্রেম আছে, প্রেম ছাড়া তো একজন মানুষ থাকতে পারে না। আমার মনে হয়, প্রত্যেক মানুষের জীবনে প্রেম থাকা জরুরি, প্রেম করা উচিত। প্রেম করলে মন ভালো থাকে, শরীর ভালো থাকে। এখন বিয়ে করার কোনো ইনটেনশন একদম নেই, পরিবার থেকেও এখন প্রেশার নেই। এখন কাজে মনযোগ দিতে চাই।

তবে প্রেমিকের পরিচয় প্রকাশ করেননি মন্দিরা। সেই দায়িত্ব দিলেন সাংবাদিকদের ওপর। তিনি বলেন— প্রেম তো করছি, কার সঙ্গে করছি, কীভাবে করছি—এটা সাংবাদিকদের দায়িত্ব খুঁজে বের করার। আপনারাই খুঁজে বের করুন।

চ্যানেল আইয়ের রিয়েলিটি শো ‘সেরা নাচিয়ে’র মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন মন্দিরা। নাচের পাশাপাশি চলচ্চিত্রে মনোযোগী হতে চাইছেন তিনি। আগামী ঈদে ‘নীলচক্র’ নামে একটি চলচ্চিত্র মুক্তির কথা রয়েছে তার। এ ছাড়া নতুন আরেকটি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধও হয়েছেন তিনি।