img

ক্যাডার হতে পরীক্ষা দিতে হবে ২৭১ কলেজের শিক্ষকদের

প্রকাশিত :  ১২:১০, ১৪ আগষ্ট ২০১৮
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩৮, ১৪ আগষ্ট ২০১৮

ক্যাডার হতে পরীক্ষা দিতে হবে ২৭১ কলেজের শিক্ষকদের

জনমত প্রতিবেদকঃ দেশের ২৭১টি বেসরকারি কলেজকে সরকারিকরণ করে প্রজ্ঞাপণ জারি করেছে সরকার। একই সঙ্গে সরকারি কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্মীকরণকৃত বিধিমালা ২০১৮’ এর আওতায় এসব কলেজ শিক্ষকদের সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসির)অধীনে পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যাডারভুক্তির সুযোগ রাখা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যেসব উপজেলায় সরকারি কলেজ নেই সেসব উপজেলায় একটি করে কলেজ সরকারিকরণের আওতায় ২৭১টি কলেজকে সরকারি করা হলো। রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপণ জারি করে।

আদেশে বলা হয়েছে, বেসরকারি কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্মীকরণ বিধিমালা-২০১৮’ এর আলোকে জেলা ও উপজেলার ২৭১টি কলেজকে ৮ আগস্ট থেকে সরকারি করা হলো। এ নিয়ে দেশে মোট সরকারি কলেজের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৯৮টি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ২০১০ সালে সরকারি স্কুল ও কলেজবিহীন উপজেলায় একটি করে স্কুল ও কলেজ জাতীয়করণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময়ে ৩২৯টি স্কুল ও ২৯৯টি কলেজ জাতীয়করণে সম্মতি দেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মাউশির (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর) কর্মকর্তারা সরজমিন পরিদর্শন করে স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ, শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত তথ্যসহ আনুষঙ্গিক সব তথ্য সংগ্রহ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। জাতীয়করণের তালিকাভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠনের সব সম্পত্তি সরকারকে ডিড অব গিফট (দানপত্র) দলিল করে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা। স্কুলগুলো ধাপে ধাপে জাতীয়করণ করা হলে বিসিএস সাধারণ শিক্ষক সমিতির চাপে আটকে যায় কলেজ সরকারিকরণ।

এর আগে মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি কলেজ শাখার এক কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিপ্রাপ্ত ২৯৩টি কলেজ সরকারি করতে অর্থ ছাড়ের সম্মতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয় প্রতি বছর ১০০ কলেজ জাতীয়করণের প্রস্তাব দিয়ে গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়েছিল। তিন ধাপে জাতীয়করণ হলে অসম প্রতিযোগিতা ও ঘুষ দুর্নীতির আশঙ্কায় একসঙ্গে জাতীয়করণ করতে পাল্টা চিঠি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত গড়ালে শেষ পর্যন্ত পিছু হটে অর্থ মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের বাজেট শাখার এক কর্মকর্তা জানান, চলতি অর্থবছরের বাজেটে স্কুল-কলেজ জাতীয়করণে অর্থ মন্ত্রণালয় কোনো বরাদ্দ রাখেনি। জাতীয়করণসহ চার হাজার ৯৭১ কোটি ৬০ লাখ টাকা বাড়তি বরাদ্দ চেয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি অর্থমন্ত্রণালয়ে চিঠি লেখেন সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।

চিঠিতে তিনি লেখেন, ৩২৯টি স্কুল ও ২৯৯টি কলেজ সরকারিকরণের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তবে সরকারিকরণ কার্যক্রমের জন্য চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়নি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে নতুন সরকারিকরণকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ শুরু হচ্ছে। এজন্য আগামী অর্থবছরে সরকারিকরণকৃত ৩২৭টি স্কুলের জন্য ৩৪৯ কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার এবং ২৯৯টি কলেজের জন্য ৬২৬ কোটি ৯৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রয়োজন। দেশে বর্তমানে ৩৩৫টি সরকারি কলেজ রয়েছে। ৩১৫টি উপজেলায় কোনো সরকারি কলেজ নেই।

অন্যদিকে হতাশায় আছেন নিবন্ধিত শিক্ষকগণ কারন এভাবে একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি হতে থাকলে নিবন্ধিত শিক্ষকদের নিয়োগের সুযোগ কমে যাচ্ছে। এ বিষয় নিবন্ধিত শিক্ষকদের বিভিন্ন সংঘট নেতাদের সাথে যোগাযোগ করিলে তারা নিবন্ধিত শিক্ষকদের দ্রুত নিয়োগ দিতে সরকারের নিকট জোর দাবি জানান এবং এও দাবি করেন সত্ত জাতীয়করণ স্কুল কলেজে নিবন্ধিত শিক্ষকদের নিয়োগ দিতে হবে যুক্তি হিসাবে তারা রেজিষ্টার্ড প্রাইমারির প্যানেল শিক্ষদের সরিকারি করন সকল প্রাইমারিতে নিয়োগ দেওয়া হয়।  তাই নেতারা জানান সত্ত জাতীয়করণ স্কুল কলেজে নিয়োগ পেতে তাদের যোগ্যতা কোন অংশে কম নয়।

img

একসঙ্গে জন্ম, একসঙ্গে পরীক্ষা, একই নম্বর পেয়ে জিপিএ-৫

প্রকাশিত :  ১২:১১, ১৪ মে ২০২৪

টাঙ্গাইলে একসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া জমজ বোন অর্পিতা সাহা অর্পা ও অর্মিতা সাহা অর্না জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। অর্পিতা ও অর্না একই নম্বর পেয়েছে। তারা প্রত্যেকে ১১২৩ নম্বর করে পেয়েছে। দুই মেয়ের এমন সাফল্যে খুশি তাদের মা সুষ্মিতা ঘোষ ও বাবা অনুপ কুমার সাহা।

টাঙ্গাইলের ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল তারা। একসঙ্গেই বিন্দুবাসিনী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয়।

এমন সাফল্যে খুশি তাদের মা সুস্মিতা ঘোষ ও বাবা অনুপ কুমার সাহা। বাবা অনুপ কুমার সাহা টাঙ্গাইল ওয়ালটন প্লাজায় সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সোমবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে যমজ বোনের প্রত্যেকে ১১২৩ নম্বর পেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

অর্পিতা ও অর্না জানায়, আমরা যমজ বোন। একই স্কুলে পড়েছি একইসঙ্গে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি; তাও জিপিএ-৫ পেয়ে। খুবই খুশি লাগছে আমাদের। বাবা-মা সবসময় আমাদের ভালো রেজাল্ট করার জন্য অনুপ্রেরণা দিতেন। ভবিষ্যতে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার অথবা প্রশাসন ক্যাডার হওয়ার ইচ্ছা আছে।

বাবা অনুপ কুমার সাহা বলেন, আমার যমজ মেয়েরা খুবই মেধাবী। তাদের এই ফলাফলে খুশি আমার পরিবার। দুটি মেয়ে সামনের দিকে আরও ভালো ফলাফল করবে সেই প্রত্যাশা করি।