’ইউসিএএস’র রিপোর্ট

img

ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু বাংলাদেশিদের সংখ্যা বেড়েছে

প্রকাশিত :  ০৮:২৬, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:২৭, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু বাংলাদেশিদের সংখ্যা বেড়েছে

জনমত ডেস্ক ।। যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিচ্ছু বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদনের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।

দ্য ইউনিভার্সিটিজ অ্যান্ড কলেজ অ্যাডমিশন সার্ভিস (ইউসিএএস) নামের প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্রীয়ভাবে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন সমন্বয় করে থাকে।

ইউসিএএস-এর তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ২৯০টি আবেদন জমা পড়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য এসব আবেদন করা হয়েছে।

আগের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে বাংলাদেশ থেকে আবেদনের সংখ্যা ছিল ২৫০টি। যদিও তা ২০১৫ সালের চেয়ে কম ছিল। আর ২০১৫ সালে আবেদন পড়েছিল ৩৪০ টি।

এ বছর যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশিদের আবেদনের হার বেড়েছে ২ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে কমেছে ৪ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের শিক্ষা খাতে এটাকে ব্রেক্সিটের প্রভাব বলে মনে করা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর দেশগুলো থেকে কমেছে ৫ শতাংশ।

ইউসিএএস-এর পর্যালোচনা ও গবেষণা পরিচালক ড. মার্ক কর্ভার জানান, এবার মোট আবেদনের সংখ্যা ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৭০০টি। যা গত বছরের চেয়ে ২৫ হাজার কম। শতকরা হিসেবে কমেছে ৪ শতাংশ। কমেছে ইংল্যান্ড, ওয়েলস ও ইইউ থেকে আবেদনকারীর সংখ্যা।

ব্রিটেনের গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন রাসেল গ্রুপ-এর পলিসি বিভাগের প্রধান সারাহ স্টিভান্স জানান, ইইউ বহির্ভূত দেশগুলো থেকে আবেদনকারীর সংখ্যা সামান্য বৃদ্ধির ঘটনাটি ইতিবাচক। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য নিয়ে আসে আমাদের ক্যাম্পাসগুলোতে। যা থেকে আমাদের সব শিক্ষার্থীরা উপকৃত হয়। এসব বিদেশি শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে ২৫.৮ বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের অবদান রাখে।


img

চবির পঞ্চম সমাবর্তন ৮ ডিসেম্বর

প্রকাশিত :  ১৩:৩০, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের অন্যতম স্বায়ত্তশাসিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। প্রতিষ্ঠার ৫৭ বছরে চবিতে সমাবর্তন হয়েছে মাত্র চারবার। সর্বশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৮ বছরের বেশি সময় আগে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি। 

দেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও নিয়মিত সমাবর্তন আয়োজন করে চলেছে। সেখানে চবিতে গড়ে ১৪ বছরে একবার সমাবর্তন হচ্ছে। এদিকে ৯ বছর পর আগামী ডিসেম্বরে চবির ৫ম সমাবর্তনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।  

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গভবনে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। 

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষাতের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তাব করলে রাষ্ট্রপতি এতে সম্মতি প্রকাশ করেন এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর সমাবর্তনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণের জন্য উপাচার্যকে নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া রাষ্ট্রপতি উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন ও তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস প্রদান করেন। 

উল্লেখ্য, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ৪ বার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি। রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে ৭ হাজার ১৯৪ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে চবির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবর্তন ছিল এটি। এর আগে তৃতীয়বারের মতো সমাবর্তন হয় ২০০৮ সালে। এছাড়া প্রথম সমাবর্তন ১৯৯৪ সালে এবং দ্বিতীয় বার ১৯৯৯ সালে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষা এর আরও খবর