আর-রাহমান ১-১-১

img

অপারেশনে সুরা রাহমান, নিশ্চিত মৃত্যু হতে রক্ষা পেল রোগী

প্রকাশিত :  ১৩:২৩, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট: ১৮:০৫, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

অপারেশনে সুরা রাহমান, নিশ্চিত মৃত্যু হতে রক্ষা পেল রোগী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। ২২ বছর বয়সী হাফিজ আব্বাস ভুলে তীব্র বিষাক্ত পিল খেয়ে ফেলেছিলেন। এরপর তাকে নেয়া হয় লাহোরের সার্ভিসেস হাসপাতালের আইসিইউতে। অবস্থা দেখে ডাক্তার অপর ডাক্তারের কাছে মন্তব্য করলেন, ‘তেমন আশা নেই, বাঁচার সম্ভাবনা ১০ শতাংশেরও কম।’

এরপর মাত্র তিন দিনের মাথায়ই সুস্থ হয়ে হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন হাফিজ। অথচ আইসিইউতে ১৫০ বার হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো তার!

কিভাবে বাঁচলেন হাফিজ? জানাচ্ছেন তার ডাক্তার মোহাম্মদ জাবেদ। তার ভাষায়, ‘৬ ঘণ্টার চেষ্টায় তার হার্ট সচল রাখতে ১৫০ বার ইলেকট্রিক শক দিতে হয়। বারবার তার কিডনি ও পাকস্থলি পরিষ্কার করা হয়। এবং অবশেষে তার চেতনা ফিরে আসে।’তিনি বলেন, ‘আমি জীবনেও শুনিনি ১৫০ বার হৃদযন্ত্র বন্ধ হওয়া কোন রোগী বেঁচে ফিরেছে।’

ডাক্তার জাবেদ নিশ্চিত, আইসিইউতে হাফিজের বিছানার পাশে অনবরত কুরআন তেলাওয়াত বাজানোর কারণেই জীবন রক্ষা হয়েছে তার। কুরআনের আয়াতই অলৌকিকভাবে রক্ষা করেছে হাফিজকে।

ডা. জাবেদ বলেন, ‘হাফিজের চিকিৎসা চলাকালে আমি অনবরত সুরা আর-রহমান বাজাতে থাকি। কোন ওষুধ বা চিকিৎসা নয়, মহিমাময় এই সুরাটির কারণেই রক্ষা পেয়েছে সে।’

এর তিনদিন পর হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ছাড়া পান হাফিজ। তার প্রেসক্রিপশনে সবার ওপরে ডাক্তার জাবেদ লেখেন, ‘সুরা আর-রহমান ১-১-১’, অর্থাৎ প্রতিদিন তিনবার সুরাটি তেলাওয়াত করতে হবে রোগীকে।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ও রোগীরা মনে করেন, নিশ্চয় কুরআনে হচ্ছে সর্ব রোগের শেফা, আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেছেন ‘আমি কুরআনে এমন বিষয় নাযিল করেছি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনদের জন্য রহমত’।

হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেয়া এক ডাক্তার বলেন, আমাদের এই পদ্ধতি প্রয়োগ করার ফলে অনেক ভালো ফলাফল পাচ্ছে। আমাদের এমন অনেক রোগী আছে যারা ভেন্টিলেটরে থাকার পরও কোন উন্নতি হয় না কিন্তু যখন থেকে আমরা সুরা আর-রহমান শুনানো শুরু করেছি তখন থেকে আমরা তাদের মাঝে অনেক উন্নতি দেখেছি।

ডাক্তার আরও বলেন, কুরআনে আছে সর্ব রোগের শেফা, আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেছেন ‘আমি কুরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনদের জন্য রহমত’।

img

শেষ দিনে ভিসার অপেক্ষায় ৩৭ শতাংশ হজযাত্রী

প্রকাশিত :  ১০:৫৯, ১১ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৪, ১১ মে ২০২৪

হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করার জন্য দ্বিতীয় দফায় আবেদনের জন্য বাড়ানো সময় শেষ হচ্ছে আজ শনিবার।  কিন্তু এখন পর্যন্ত ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়নি। 

শনিবার সকালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৮৯৯ হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এ বছর সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনো ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

হজ এজেন্সি মালিক ও ধর্ম মন্ত্রণালয় আশা করছে, শনিবারের মধ্যে বেশিরভাগ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়ে যাবে। অল্প কিছু বাকি থাকলে, সেটাও দু-একদিনের মধ্যে করার জন্য সময় পাওয়া যাবে। তাই ভিসা জটিলতায় কেউ হজে যেতে পারবেন না- এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই।

ধর্ম মন্ত্রণালয় এর আগে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছিল । এরপর সেটি ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সবশেষ ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিন পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন ৬ হাজার ৩৯২ জন যাত্রী। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশ থেকে সাতটি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ২ হাজার ৭৬৯ জন যাত্রী। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ৯টি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ৩ হাজার ৬২৩ জন হজযাত্রী। 

এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৬৬৮ জন, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১টি ফ্লাইটে ৪৪৫ জন, ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৫১০ জন সৌদি আরব গেছেন। দুই দিনে তিন বিমান সংস্থার ১৬টি ফ্লাইটে ৬ হাজার ৩৯২ হজযাত্রী ঢাকা ছেড়েছেন।

বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। কোনো অভিযোগ ছাড়াই যাত্রীরা ঢাকা ত্যাগ করছেন।

এদিকে বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে যাদের ভিসা হয়নি তারা উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। যদিও ধর্মমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন ভিসা নিয়ে জটিলতা কেটে যাবে। ২৫৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সির অনেকেই প্রথম দফার বর্ধিত সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ না করায় দ্বিতীয় দফা সময় বাড়ানো হয়েছে।