img

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিল পাস

প্রকাশিত :  ০৭:৫৩, ২৪ জুন ২০২২

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিল পাস

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে পাস হয়েছে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিল। এরমধ্য দিয়ে প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আগ্নেয়াস্ত্র আইন হচ্ছে এটি। প্রস্তাবে ১৫ রিপাবলিকান যোগ দিয়েছিলেন ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে। বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ৬৫টি, বিপক্ষে পড়েছে ৩৩টি।

বৃহস্পতিবার রাতে এ বিল পাস হয়। এক প্রতিবেদনে ব্র্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।

নিউ ইয়র্কের বাফালো ও টেক্সাসের উভালডে শহরে দুটি ভয়ংকর বন্দুকহামলার ঘটনায় ৩১ জন নিহত হওয়ার পর এ বিল পাস হলো।

এখন বিলটি হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে তোলা হবে এবং সেখানে পাস হতে হবে। এর পর এতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সই করলে তা পরিণত হবে আইনে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে।

নতুন আইনে ২১ বছরের আগে অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে কঠোরভাবে তথ্য যাচাই বাছাইয়ের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ ছাড়া মানসিক স্বাস্থ্য প্রকল্প এবং বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাড়াতে ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদানের কথা বলা হয়েছে।

এতে রাজ্যগুলোকে ‘লাল পতাকা’ আইন বাস্তবায়নে উৎসাহিত করার জন্য অনুদান দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ আইনের আওতায় হুমকি বিবেচিত ব্যক্তির কাছ থেকে অস্ত্র নিয়ে নেওয়া যায়।

বিলটি গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে, কয়েক দশকের মধ্যে এ প্রথম কোনো অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিল ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের কাছ থেকে এ ধরনের সমর্থন পেল। ঐতিহাসিকভাবে, যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র আইন কঠোর করার পদক্ষেপ আটকে দেয় রিপাবলিকানরা। কিন্তু দলটির প্রায় ১৫ জন তাদের অবস্থান থেকে সরে এসে বিলের পক্ষে ভোট দিলেন। 

এদিকে ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন (এনআরএ) এ বিলের বিরোধিতা করেছে।

গত মাসে জো বাইডেন বলেছিলেন, প্রস্তাবগুলো ‘সঠিক পথের দিকে পদক্ষেপ’ কিন্তু এখনও যথেষ্ট নয়।

সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য ফেডারেল অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন পাস হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। যা এক দশক পরে অকার্যকর হয়ে যায়। পরে ২০১২ সালে এ আইন কঠোর করার পদক্ষেপ নেওয়া হলে কংগ্রেসে তা যথেষ্ট সমর্থন পায়নি।


img

রাশিয়ায় সেতুর রেলিং ভেঙে পানিতে ডুবল বাস, নিহত অন্তত ৭

প্রকাশিত :  ০৫:৩৫, ১২ মে ২০২৪

রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেইন্ট পিটার্সবার্গে সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে বাসডুবির ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন। 

শনিবার সকালের দিকে ঘটেছে এই ঘটনা। রাশিয়ার জরুরি পরিষেবা দপ্তরের সেইন্ট পিটার্সবার্গ শাখা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাসটিতে চালকসহ যাত্রী ছিলেন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে ৯ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার এই ৯ জনের মধ্যে জীবিত ছিলেন মাত্র ২ জন।

পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, নদীতে পড়ার আগে অন্তত  কয়েক জন যাত্রীর বাসের দরজা দিয়ে বেরিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষার সুযোগ ছিল, কিন্তু সম্ভবত পরিস্থিতির আকস্মিকতায় তারা সবাই হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন।

পরে সিসিটিভি ফুটেজেও তার সাক্ষ্য মিলেছে। ফুটেজে দেখা গেছে রাস্তায় মোড় ঘোরার সময় বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন চালক। ওই অবস্থাতে বাসটি এলোমেলোভাবে কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে ব্রিজের দিকে যেতে থাকে এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ে পুরোপুরি ডুবে যায়।

বাসটি ডুবে যাওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের ১৮টি বিশেষায়িত ইউনিটের ৬৯ জন কর্মী উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। তাদের তৎপরতার কারণেই ২ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেতুটির নাম পোটসেলুয়েট ব্রিজ।

জীবিতের মধ্যে গাড়ির চালকও ছিলেন। উদ্ধারের পর তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা পুলিশ করেছে বলে জানিয়েছে আরটি।

আরেক রুশ সংবাদমাধ্যম গেজেটা ডট আরইউ জানিয়েছে, স্বাস্থ্যগত কারণে বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন চালক।


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর