img

ডিমের খোসা না ফেলে রুপচর্চায় কাজে লাগান

প্রকাশিত :  ০৮:০৩, ২৪ জুন ২০২২

ডিমের খোসা না ফেলে রুপচর্চায় কাজে লাগান

পুষ্টিকর খাবার বলতে সবার প্রথমে ডিমের কথাই মাথায় আসে। ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন, গুড ফ্যাট এবং বিভিন্ন পুষ্টিতে ভরপুর ডিম। তাই, সস্তায় স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে ডিমই সেরা। তবে ডিমের পাশাপাশি এর খোসাও কিন্তু কম উপকারি নয়। ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে ডিমের খোসার বিকল্প হয় না বললেই চলে!

ত্বক টানটান করা থেকে ত্বকের বলিরেখা দূর করা, ডিমের খোসার ফেস প্যাকেই আছে সকল সমাধান! কী করে বানাবেন এই ফেস প্যাক? জেনে নিন -

উপকরণ 

একটি ডিমের খোসা, ডিমের সাদা অংশ, এক টেবিল চামচ মধু, এক টেবিল চামচ দুধ ও গোলাপ জল

তৈরির পদ্ধতি

একটি ডিম ভেঙে খোসা আলাদা করুন। ডিমের সাদা অংশ থেকে কুসুম আলাদা করুন। অন্য একটি পাত্রে চামচের সাহায্যে ডিমের খোসাটিকে একেবারে মিহি করে টুকরো করে নিন। এতে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল দিন। ডিমের সাদা অংশটি ভালো করে চটকান, যতক্ষণ না ফেনা হচ্ছে। তারপর ডিমের সাদা অংশের মধ্যে ডিমের খোসার মিশ্রণটি ঢেলে দিন। এতে মধু এবং দুধ দিয়ে ভালোভাবে মেশান। খেয়াল রাখুন, মিশ্রণটি একটু থকথকে হবে। খুব টলটলে হলে মুখে বসবে না। পেস্টটি যদি ঘন না হয়, তাহলে তাতে এক চামচ বেসন মিশিয়ে নিতে পারেন। প্যাকটি লাগানোর আগে এক ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন। ঠাণ্ডা মাস্ক লাগালে মুখেও আরাম লাগবে।

কী ভাবে লাগাবেন?

প্রথমে একটি ফেস স্ক্রাব দিয়ে মুখটা ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। পারলে বরফ পানি দিয়ে মুখ ধোবেন। এরপর ডিমের খোসার ফেস প্যাকটি ফ্রিজ থেকে বের করে সামান্য গুলে নিয়ে পুরো মুখে সমানভাবে লাগান। শুকিয়ে গেলে মুখে সামান্য পানি ছিটিয়ে ম্যাসাজ করে প্যাকটি তুলুন। তার পর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।


img

বৃষ্টির সময় নিরাপদে থাকতে যা করবেন

প্রকাশিত :  ১২:৩২, ১৩ মে ২০২৪

ঝড়-বৃষ্টির কাল গ্রীষ্মে বৃষ্টি হবেই। এতে প্রশান্তির পরশ যেমন রয়েছে, তেমনই মুখোমুখি হতে হয় নানা অসুবিধারও। তাই বলে তো নিজের অফিস আর বাসার কাজ থেমে থাকে না। তবে বাসা থেকে কোথাও যাওয়ার লক্ষ্যে বের হওয়ার পর বৃষ্টি শুরু হলে তা মহাবিপদের। না হয় সঠিক সময়ে কাজে পৌঁছানো, না থাকে নিজের পোশাক ঠিক। আবার বৃষ্টির মধ্যেই যত দুর্ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সুরক্ষা রাখা জরুরি।

বৃষ্টির সময় নিরাপদে থাকার উপায়সমূহ-

১. বাসা বা বাড়ির বাইরে থাকলে নিরাপদ কোনো জায়গায় থাকা প্রয়োজন। রাস্তায় কিংবা খোলা কোনো জায়গায় কখনোই থাকা যাবে না। প্রয়োজনে নিকটবর্তী কোনো নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিন।

২. বৃষ্টি বা ঝড় হলে তখন গাড়ি চালানো একদমই উচিত নয়। এ সময় রাস্তার পাশে নিরাপদ জায়গা দেখে গাড়ি থামিয়ে সেখানে আশ্রয় নিন। আর অবশ্যই গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখুন।

 ৩. রাস্তায় যদি বৃষ্টির সময় কোনো খোলা তার বা রাস্তায় তার পড়ে থাকতে দেখেন তাহলে তার আশপাশে যাবেন না। সেই তার যদি পানির স্পর্শে থাকে তাহলে সেই পানি থেকেও সাবধান। সম্ভব হলে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দিন। আর এ সময় যদি রাস্তা পারাপার হতে হয় তাহলে অবশ্যই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করবেন।

৪. বাড়ির ছোট সন্তানদের ভেতরে রাখুন। তাদের কোনোভাবেই বাইরে যেতে দিবেন না।

৫. বৃষ্টির সময় কোনো গাছের নিচে দাঁড়ানো উচিত নয়। এ সময় গাছের ডাল ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

৬. বাসায় বা বাড়ি থাকলে টর্চ লাইট, হারিকেন বা আলোর বিকল্প উপায় রাখুন। বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ বিপর্যয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৭. গ্রীষ্ম বা বর্ষার সময় মোবাইল ফোনে সব সময় যথেষ্ট চার্জ রাখুন। যাতে করে যেকোনো প্রয়োজনে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

৮. বাসা বা বাড়ির বাইরে থাকলে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না। কেননা, মোবাইল ফোন থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার শঙ্কা থাকে।