img

সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ বাংলাদেশে : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

প্রকাশিত :  ১২:০৬, ২৪ জুন ২০২২

সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ বাংলাদেশে : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

জনমত ডেস্ক: দেশে করোনা সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ সাপ্তাহিক হিসাব বলছে, বিশ্বে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে। এক সপ্তাহে বাংলাদেশে সংক্রমিত ব্যক্তি বেড়েছে ৩৫০ শতাংশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শুক্রবার (২২ জুন) এই তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২২ জুন সকাল আটটা থেকে  বৃহস্পতিবার সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ২১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৩১৯ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। অর্থাৎ করোনার উপসর্গ নিয়ে ১০০ জন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালে ১৪ জনের বেশি মানুষ করোনা রোগী বলে শনাক্ত হচ্ছে।

করোনায় বৃহস্পতিবারও একজনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই নিয়ে পরপর চার দিন একজন করে মৃত্যুর তথ্য দিল অধিদপ্তর। এর মধ্যে একজন চিকিৎসক।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) বলছে, করোনাভাইরাসের অমিক্রন ধরনই দেশে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। সবাই অমিক্রনেই আক্রান্ত হচ্ছে। এর একটি নতুন উপধরনও দেশে শনাক্ত হয়েছে। এই উপধরনে কতজন আক্রান্ত হয়েছে, তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে একটি সূত্র বলছে, কমপক্ষে সাতজনের নমুনায় এই উপধরন শনাক্ত হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গত সপ্তাহে দেশে নতুনভাবে আক্রান্ত হয়েছিল ২ হাজার ২১২ জন।

তার আগের সপ্তাহে ৪৯২ জন। এক সপ্তাহে বাংলাদেশে সংক্রমণ বেড়েছে ৩৫০ শতাংশ। একই সময়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ৬৫ শতাংশ। শতাংশের হিসাবে বাংলাদেশের পর সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধির হার পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ ফিজিতে। এক সপ্তাহে ফিজিতে সংক্রমণ বেড়েছে ২৯৮ শতাংশ। ইউরোপ, আমেরিকা, পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ বেড়েছে। তবে বাংলাদেশের মতো কোথাও বাড়েনি।

এক সপ্তাহ আগে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি সংক্রমণ বৃদ্ধির ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল। কমিটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে জোর দিয়েছিল। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা জোরদার করার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছিল। বলেছিল, করণীয় নির্ধারণে আন্তমন্ত্রণালয় সভা ডাকা দরকার। এর কোনো কিছু হয়েছে বলে জানা যায়নি।

জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, সংক্রমণ বাড়লে মৃত্যুও বাড়বে। জনস্বাস্থ্যবিদ ও আইইডিসিআরের পরামর্শক মুশতাক হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। যাঁরা টিকা নেননি, এখনো বুস্টার ডোজ নেননি, তাদের দ্রুত তা নিয়ে নিতে হবে। অন্যদিকে হোটেল-রেস্তোরাঁ, গণপরিবহনে মাস্ক পরার ব্যাপারে জোর দিতে হবে।

img

২৩ নাবিকসহ কুতুবদিয়ায় নোঙর করল এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত :  ১৪:৫০, ১৩ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:৪৪, ১৩ মে ২০২৪

সোমালিয়ান জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত ২৩ নাবিককে নিয়ে দেশে পৌঁছাল বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। দীর্ঘ যাত্রা শেষে সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে জাহাজটি। বিষয়টি জানিয়েছেন জাহাজের মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ।

কুতুবদিয়ায় চুনাপাথরের কিছু চালান খালাস করে জাহাজটি ১৫ মে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস করার পর বন্দর জেটিতে আসবে এমভি আব্দুল্লাহ। এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকালে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত নাবিকদের চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হবে।

কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, এমভি আবদুল্লাহ বর্তমানে কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে। জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত নাবিকদের লাইটার জাহাজে মঙ্গলবার সরাসরি সদরঘাট কেএসআরএম জেটিতে নিয়ে আসা হবে। সেখানেই তাদের বরণ করা হবে।

তিনি বলেন, নাবিকদের জেটিতে বরণ করার জন্য কেএসআরএমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। নাবিকদের স্বজনদের কেউ কেউ এ সময় জেটিতে উপস্থিত থাকবেন বলেও জানা গেছে। তারা নাবিকদের বরণ করে নেবেন।

জাহাজটির পরিচালনা প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের দায়িত্ব নেবে নতুন একটি নাবিক দল। বর্তমান নাবিকরা দীর্ঘ ভ্রমণ ও জিম্মিদশার ট্রমা কাটিয়ে ওঠার জন্য ছুটিতে যাবেন। তবে তারা মঙ্গলবারই ছুটি পাচ্ছেন কিনা এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর থেকে নানা শঙ্কায় ছিলেন জিম্মি নাবিকদের স্বজনরা। দীর্ঘদিন পর তাদের অপেক্ষার প্রহর ফুরাল।

শিপিং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজের নাবিকরা সুস্থ আছেন। কুতুবদিয়ায় আসার পর নাবিক ও ক্রু সদস্যদের একটি নতুন ব্যাচ জাহাজটিতে পাঠানো হবে। জাহাজে বর্তমানে যে ২৩ জন ক্রু আছেন তাদের আগামীকাল মঙ্গলবার একটি লাইটার জাহাজে করে কেএসআরএম লাইটার জেটি সদরঘাটে আনা হবে। সেখানে তাদের বরণ করবেন স্বজনরা। সেখান থেকে তারা নিজ নিজ বাড়িতে যাবেন।

এমভি আব্দুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি করা ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে এসেছে। কার্গোর কিছু অংশ কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে এবং বাকি পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসবে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, এমভি আবদুল্লাহ ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে গত ৪ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হয়। ১৯ মার্চ আবদুল্লাহ আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছার কথা ছিল।

মাপুতু থেকে রওনা হওয়ার চার দিন পর গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল।    

সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার দীর্ঘ ৩৩ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়। মুক্ত হওয়ার আট দিনের মাথায় গত ২১ এপ্রিল বিকালে নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ দুবাই পৌঁছে। জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়ে ২২ এপ্রিল। এরপর ওই বন্দরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাসের পর নতুন ট্রিপের পণ্য (পাথর) লোড করতে ইউএইর মিনা সাকার বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয় জাহাজ। সেখানে ৫৬ হাজার টন চুনা পাথর নিয়ে এমভি আবদুল্লাহ গত ৩০ এপ্রিল দুবাই মিনা সাকার বন্দর থেকে দেশের পথে রওনা হয়।