একসঙ্গে মা-মেয়ে-নাতনির এসএসসি পরীক্ষা
জনমত ডেস্ক ।। মা, মেয়ে ও নাতনি একই সঙ্গে মাধ্যমিক
(এসএসসি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। মা সাবিনা ইয়াসমিন, মেয়ে শাহনাওয়াজ
খাতুন ও সম্পর্কে নাতনি মাসনুহার খাতুন। এ তিনজনই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রেজিনগরের তকিপুর হাই মাদ্রাসায়।
নদিয়া জেলার পলাশি থানার জানকিনগর হাই
মাদ্রাসা থেকে মা, মেয়ে ও নাতনি একই সঙ্গে পড়াশোনা করেছেন। এবার তিনজনই
মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেন।
মা সাবিনা ইয়াসমিনের নদিয়া জেলার পলসন্ডার
বারুইপুরে ছোটবেলা কেটেছে। অষ্টম শ্রেণি পড়া অবস্থায় সাবিনার বিয়ে হয়।
শ্বশুরবাড়ির আর্থিক দৈন্যতার কারণে চাষাবাদ করে তাদের সংসার কোনোভাবে চলত।
মাধ্যমিক পাস না করায় কোনো জায়গায় চাকরির সুযোগ মিলত না।তাই মনের জিদে কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে
পড়াশোনাটা আবার শুরু করলেন। অষ্টম শ্রেণি পাস করার পর মেয়ের সঙ্গে নবম
শ্রেণিতে ভর্তি হন। মায়ের প্রবল আগ্রহ দেখে শিক্ষকরাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে
দেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তার সংসার চলে সমান তালে।
এ ব্যাপারে তার মেয়ে শাহনাওয়াজ বলেন, মায়ের
ইচ্ছা ছিল মাধ্যমিক পাস করা। এ জন্য দুজনে একসঙ্গে স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা
করি। একই সঙ্গে ভাশুরের নাতনি মাসনুহার খাতুন পড়াশোনা করে।
নাতনি জানায়, দিদা তো পড়াশোনা করার এত বেশি সময় পান না। আমরা প্রাইভেট পড়ে আসি, দিদা সেই খাতা দেখে সারারাত পড়াশোনা করেন।
পড়াশোনার ব্যাপারে মা সাবিনা বলেন, মাধ্যমিক পাস না করার ফলে আমি অনেক চাকরি হারিয়েছি। তাই ভাবলাম, একটু চেষ্টা করে দেখি না।
মায়ের এই ইচ্ছাশক্তি দেখে শিক্ষক মহ.
মোতালেব মণ্ডল বলেন, 'সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে মেয়েরা সবচেয়ে বেশি
পিছিয়ে আছে। সে দিক থেকে বিচার করলে সাবিনা সবার কাছে এক উজ্জ্বল
দৃষ্টান্ত।'
মা সাবিনা ইয়াসমিনের নদিয়া জেলার পলসন্ডার বারুইপুরে ছোটবেলা কেটেছে। অষ্টম শ্রেণি পড়া অবস্থায় সাবিনার বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়ির আর্থিক দৈন্যতার কারণে চাষাবাদ করে তাদের সংসার কোনোভাবে চলত। মাধ্যমিক পাস না করায় কোনো জায়গায় চাকরির সুযোগ মিলত না।তাই মনের জিদে কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পড়াশোনাটা আবার শুরু করলেন। অষ্টম শ্রেণি পাস করার পর মেয়ের সঙ্গে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। মায়ের প্রবল আগ্রহ দেখে শিক্ষকরাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তার সংসার চলে সমান তালে।
এ ব্যাপারে তার মেয়ে শাহনাওয়াজ বলেন, মায়ের ইচ্ছা ছিল মাধ্যমিক পাস করা। এ জন্য দুজনে একসঙ্গে স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করি। একই সঙ্গে ভাশুরের নাতনি মাসনুহার খাতুন পড়াশোনা করে।
নাতনি জানায়, দিদা তো পড়াশোনা করার এত বেশি সময় পান না। আমরা প্রাইভেট পড়ে আসি, দিদা সেই খাতা দেখে সারারাত পড়াশোনা করেন।
পড়াশোনার ব্যাপারে মা সাবিনা বলেন, মাধ্যমিক পাস না করার ফলে আমি অনেক চাকরি হারিয়েছি। তাই ভাবলাম, একটু চেষ্টা করে দেখি না।
মায়ের এই ইচ্ছাশক্তি দেখে শিক্ষক মহ. মোতালেব মণ্ডল বলেন, 'সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে মেয়েরা সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে আছে। সে দিক থেকে বিচার করলে সাবিনা সবার কাছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।'