img

শিশুদের হাঁপানি প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

প্রকাশিত :  ০৯:২৯, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

শিশুদের হাঁপানি প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

হাঁপানি এমন একটি রোগ, যা হতে পারে যে কোনো বয়সেই। বড়রা \r\nনিজেদের সমস্যা বুঝতে এবং জানাতে  পারেন সহজেই। কিন্তু ছোট্ট সোনামণির \r\nহাঁপানি হলে তা কীভাবে বুঝবেন? জেনে নিন শিশুর হাঁপানির লক্ষণ এবং হাঁপানির\r\n  প্রকোপ প্রতিরোধ করার উপায়গুলো।

কোন বয়সে ধরা পড়বে হাঁপানি?

বিশেষজ্ঞরা\r\n বলেন, ১২ থেকে ১৮ মাস বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে বাবা-মার পক্ষে সাধারণত \r\nহাঁপানি রোগের লক্ষণ বুঝতে পারা কঠিন। কারণ তখনও বাচ্চাদের শ্বাসনালী সরু \r\nথাকে, তাই শোঁ শোঁ করে শ্বাস নেয়া স্বাভাবিক হিসেবেই ধরা হয়।

কিন্তু \r\nশিশুর বয়স ১৮ মাস পেরুনোর পর হাঁপানির লক্ষণ দেখা দিলে সেটা সহজেই চোখে \r\nপড়ে। সেক্ষেত্রে  দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ। তাহলে ছোট \r\nথেকেই হাঁপানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব।

হাঁপানির লক্ষণগুলো কী কী?

\"\"

ঠান্ডা-সর্দি\r\n ছাড়া কাশি লেগে থাকা, ঠাণ্ডা-সর্দি হলে কাশি অনেক বেড়ে যাওয়া এবং সর্দি \r\nভাল হয়ে যাবার পরও যদি কাশি ভাল না হয়ে চলতে থাকে তাহলে সেটা  হতে পারে \r\nহাঁপানির একটি লক্ষণ। পাশাপাশি বাবু নিঃশ্বাস নেয়ার সময় শোঁ শোঁ শব্দ হওয়া ,\r\n কিংবা নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, এসব লক্ষণও দেখা দিতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা\r\n বলেন, লক্ষ্য করলেই আপনি দেখতে পাবেন আপনার সন্তান নিঃশ্বাস নেয়ার সময় তার\r\n বুক খুব জোরে জোরে ওঠানামা করছে, স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশিই পরিশ্রম \r\nকরতে হচ্ছে তাকে।

হাঁপানি আক্রান্ত বাচ্চাদের নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় \r\nযার ফলে তারা বেশিরভাগ সময়ই ক্লান্ত থাকে । সাধারণত বাবা-মায়েদের চোখে  খুব\r\n সহজেই লক্ষণগুলো ধরা পড়ে। যদি এমন কোনো লক্ষণ আপনার সন্তানের মধ্যে দেখতে\r\n পান তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান বাবুকে।

শিশুদের হাঁপানির চিকিৎসা

একদম\r\n ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে রোগের প্রকোপ বুঝে চিকিৎসা করা হয়। হাঁপানির কষ্ট\r\n লাঘবে এবং হাঁপানির প্রকোপ প্রতিরোধের জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ \r\nসহজলভ্য।

বাচ্চাদের ওষুধ খাওয়াবেন যেভাবে

হাঁপানির\r\n চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধগুলি সাধারণত ইনহেলার বা স্প্রের মাধ্যমে দেয়া হয়। \r\nএই বয়সের বাচ্চাদের জন্য ওষুধ একেবারে নতুন, তাই তাদের ওষুধের সঙ্গে পরিচিত\r\n করাতে হবে ধৈর্যের সঙ্গে। হাঁপানির ইনহেলার বা স্প্রে সরাসরি মুখে না দিয়ে\r\n টেনে একটি স্পেসার ও মাস্কের সঙ্গে লাগিয়ে স্প্রে করার ব্যবস্থা করা যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ফুসফুসে সরাসরি ওষুধ পৌঁছানোর জন্য এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর।

বাচ্চাকে\r\n মাস্কটি নিয়ে খেলতে দিন, তাকে বোঝান এটি খেলনার মতই কিছু। আপনি নিজে মুখে\r\n লাগিয়ে দেখান, তারপর ওর মুখে লাগিয়ে দিন। এভাবে বাবু জিনিসটার সঙ্গে \r\nপরিচিত হবে, পরবর্তীতে স্প্রে করার সময় ভয় পাবে না।

এরপরও \r\nযদি বাচ্চা ভয় পায় কিংবা মাস্ক পড়তে না চায়, তাহলে আপনি স্প্রেসহ মাস্কটি \r\nতার মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। বাচ্চা হয়ত হাত-পা ছোঁড়াছুড়ি করবে, চিৎকার \r\nকরবে, কিন্তু যতক্ষণ স্প্রেসহ মাস্কটি তার মুখে লাগানো আছে সে প্রয়োজনীয় \r\nওষুধ ঠিকই পাবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি জোর করে তিনবার এভাবে ওষুধ \r\nদিলে পরেরবার আপনার বাচ্চা ঠিকই বুঝে যাবে এটার কাজ কী। সে বুঝবে, যখনই তার\r\n কাশি বাড়বে এবং নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হবে, তখন এই মাস্ক লাগালে সে ভাল অনুভব\r\n করবে।

সুখবর হল, যেসব বাচ্চাদের একদম ছোট বয়সে হাঁপানি ধরা পড়ে, অনেক ক্ষেত্রেই ৫-৬ বছর বয়সে রোগ ভাল হয়ে যায়।

বাবা-মায়েরা মনে রাখবেন

কিছু\r\n নির্দিষ্ট কারণে হাঁপানির টান ওঠে। একেকজন মানুষের জন্য কারণগুলো একেক \r\nরকম। শিশুরা যেহেতু নিজেরা বিষয়টি বুঝতে এবং বুঝিয়ে বলতে অক্ষম, তাই এ \r\nবিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে আপনাকেই।

ঠিক কোন সময় বাচ্চার নিঃশ্বাস \r\nনিতে সমস্যা হচ্ছে, কাশি বেড়ে যাচ্ছে, তা কিছুদিনের মধ্যেই টের পাবেন। কোন \r\nনির্দিষ্ট খাবার বা ধুলাবালিতে তার হাঁপানি বেড়ে গেলে এগুলো থেকে দূরে \r\nরাখুন। পাশাপাশি হাঁপানি বেড়ে গেলে সময়মত ওষুধ দিয়ে সন্তানের কষ্ট অনেকটাই \r\nকমানো সম্ভব।

বেশিরভাগ সময় ক্ষেত্রে হাঁপানি রোগের বংশগত ইতিহাস \r\nথাকে। দেখা যায় বাবা কিংবা মায়ের কেউ একজন এই রোগে আক্রান্ত। তাই হাঁপানি \r\nসম্পর্কে অভিজ্ঞ কেউ না কেউ থাকেই বাড়িতে।

সন্তান যখন অন্যের কাছে

বাচ্চার\r\n হাঁপানি উঠলে কী কী করতে হবে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে তার একটি চার্ট তৈরি\r\n করুন। ডে কেয়ার, প্রি স্কুল কিংবা কিন্ডারগাটর্েন - যেখানেই শিশু যাক, \r\nসঙ্গে অবশ্যই চার্টটি দেবেন। তাহলে শিশু চোখের আড়ালে থাকলেও নিরাপদে থাকবে।

img

টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে রয়েছে ঘুমের সম্পর্ক

প্রকাশিত :  ১৩:৪৯, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৫৭, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে রয়েছে ঘুমের অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক। প্রতি রাতে যারা ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্যা ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে জামা নেটওয়ার্ক ওপেন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের বরাতে বলা হয়েছে, যারা প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার কম সময় ঘুমান তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৬ শতাংশ। এই ক্ষতি স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেও পূরণ করা যাবে না।

যুক্তরাজ্যের প্রায় দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের উপর গবেষণায় দেখা গেছে, যারা রাতে সাত ঘণ্টার বেশি ঘুমান তাদের তুলনায় যারা তিন থেকে চার ঘণ্টা ঘুমান তাদের ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা ৪১ শতাংশ বেশি। যুক্তরাজ্যে আনুমানিক ৪.৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং ১৩.৬ মিলিয়ন মানুষ তীব্র ঝুঁকিতে রয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাইপ-টু ডায়াবেটিস শরীরের চিনি বা গ্লুকোজ প্রক্রিয়ার ক্ষমতায়কে প্রভাবিত করে এবং শরীরে ইনসুলিন শোষণে বাধা দেয়; যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। সময়ের সাথে সাথে এটি গুরুতর শারীরিক ক্ষতি করতে পারে, বিশেষ করে স্নায়ু এবং রক্তনালির।

 যুক্তরাজ্যের বায়োব্যাঙ্কে সংরক্ষিত ২ লাখ ৪৭ হাজার ৮৬৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুসের চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার ১২ বছরের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণাটি করা হয়েছে।

এতে গবেষকরা দেখেছেন, যারা স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন, সপ্তাহে দুইবারের কম লাল মাংস, প্রতিদিন চার চামচের বেশি শাকসবজি, প্রতিদিন দুই বা তিন টুকরার বেশি ফল গ্রহণ করেন এবং সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মাছ খান, এমন ৭,৯০৫ জনের টাইপ-টু ডায়াবেটিস দেখা দিয়েছে।

সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গবেষক ক্রিশ্চিয়ান বেনেডিক্ট বলেন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস মেনে চলা ব্যক্তিদের টাইপ-টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ২৫ শতাংশ কম এবং যারা এই খাদ্যাভাস মেনে চলেছেন কিন্তু ৬ ঘণ্টার কম ঘুমিয়েছেন তাদের আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা বেশি।