সাদ অনুসারীদের পর্ব

img

শান্তিপূর্ণভাবে বিশ্ব ইজতেমা সম্পন্ন

প্রকাশিত :  ০৬:৩২, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:০৭, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

শান্তিপূর্ণভাবে  বিশ্ব ইজতেমা সম্পন্ন

জনমত ডেস্ক ।। নানা শঙ্ক ও আশঙ্কার মধ্যেও শান্তিপূর্ণভাবে টঙ্গীর তুরাগ তীরে দ্বিতীয় পর্বের (সাদ অনুসারীদের পর্ব) বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও মুসলিম উম্মাহ'র শান্তি ও কল্যাণ কামনায় এ মোনাজাতে অংশ নেন দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লি।


মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়, শেষ হয় দুপুর ১২টায়। মোনাজাত পরিচালনা করছেন সাদ অনুসারীদের মুরব্বি দিল্লির মাওলানা শামীম আহমদ। 

এর মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ উপমহাদেশের মুসলমানদের বৃহত্তম মাহফিল এবারের ৫ দিনের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হয় হলো। এদিন আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ভোর থেকেই লাখো মুসল্লি হেঁটে, ট্রেনে, ট্রাক-বাস-পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে ঢাকা ও এর আশপাশের অঞ্চল থেকে ইজতেমা ময়দানে সমবেত হন।

সোমবার আখেরি মোনাজাত হওয়ার কথা থাকলেও সাদপন্থি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একদিন বাড়ানো হয়। সোমবার বাদ ফজর থেকেই ইজতেমা ময়দানে শুরু হয় ধর্মীয় বয়ান। বাদ ফজর বয়ান করেন দিল্লির হজরত মাওলানা মুরসালিন। বাংলায় তরজমা করে শোনান বাংলাদেশের মাওলানা আবদুল্লাহ মনসুর। জোহর থেকে মাগরিব পর্যন্ত তাবলিগ জামাতের শীর্ষ পর্যায়ের মুরব্বি দিল্লির হজরত মাওলানা শাহজাত, বাংলাদেশের মাওলানা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ও মাওলানা শওকত হোসাইন বয়ান করেন। 

ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে নিয়ে বিভক্ত দাওয়াতে তাবলিগ। একাধিকবার তারা পরস্পর সংঘাতেও জড়িয়েছে। হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। দুই পক্ষই পরস্পরকে যেকোনো মূল্যে প্রতিহতের ঘোষণা দেয়। ফলে এবারের ইজতেমা নিয়ে মুসল্লিদের মাঝে নানা শঙ্কা ছিল। 

গত ১১-১৩ এবং ১৮-২০ জানুয়ারি ইজতেমার কথা থাকলেও তাবলিগের বিবদমান দুই পক্ষের আপত্তিতে ইজতেমা বাতিল করা হয়। পরে সরকারের মধ্যস্থায় তাদের উপয় পক্ষের সম্মতিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এক সঙ্গে দুই পর্ব ‍শুরু হয়। ইজতেমা ময়দানে বয়ান ও আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে একসঙ্গে অনুষ্ঠিত এ ইজতেমাও দুই ধাপে আলাদা আলাদা বয়ান ও মোনাজাতের ব্যবস্থা করা হয়।

প্রথম দু’দিন অর্থাৎ ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি তাবলিগের মুরুব্বি মাওলানা মো. যুবায়েরের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। পরবর্তী দু’দিন ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি (বাড়তি ১৯ ফেব্রুয়ারি) ইজতেমার কার্যক্রম পরিচালিত হয় সা’দপন্থি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে। 

এদিকে প্রশাসন দুই পক্ষের সাথেই সমন্বয় করে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করার জন্য সবধরনের প্রস্তুতি নেয়। ইজতেমা মাঠ ঘিরে নেয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছিল প্রশাসন। পুলিশ, র‌্যাবসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা রক্ষায় সক্রিয় ছিলেন। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর মোতায়েনের কথাও জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তবে ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হওয়া সেটা প্রয়োজন হয়নি।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মানুষের দুর্ভোগ সংকট কাটাতে ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে ভাগ করে আয়োজন করা হয়।
img

শেষ দিনে ভিসার অপেক্ষায় ৩৭ শতাংশ হজযাত্রী

প্রকাশিত :  ১০:৫৯, ১১ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৪, ১১ মে ২০২৪

হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করার জন্য দ্বিতীয় দফায় আবেদনের জন্য বাড়ানো সময় শেষ হচ্ছে আজ শনিবার।  কিন্তু এখন পর্যন্ত ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়নি। 

শনিবার সকালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৮৯৯ হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এ বছর সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনো ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

হজ এজেন্সি মালিক ও ধর্ম মন্ত্রণালয় আশা করছে, শনিবারের মধ্যে বেশিরভাগ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়ে যাবে। অল্প কিছু বাকি থাকলে, সেটাও দু-একদিনের মধ্যে করার জন্য সময় পাওয়া যাবে। তাই ভিসা জটিলতায় কেউ হজে যেতে পারবেন না- এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই।

ধর্ম মন্ত্রণালয় এর আগে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছিল । এরপর সেটি ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সবশেষ ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিন পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন ৬ হাজার ৩৯২ জন যাত্রী। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশ থেকে সাতটি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ২ হাজার ৭৬৯ জন যাত্রী। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ৯টি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ৩ হাজার ৬২৩ জন হজযাত্রী। 

এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৬৬৮ জন, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১টি ফ্লাইটে ৪৪৫ জন, ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৫১০ জন সৌদি আরব গেছেন। দুই দিনে তিন বিমান সংস্থার ১৬টি ফ্লাইটে ৬ হাজার ৩৯২ হজযাত্রী ঢাকা ছেড়েছেন।

বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। কোনো অভিযোগ ছাড়াই যাত্রীরা ঢাকা ত্যাগ করছেন।

এদিকে বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে যাদের ভিসা হয়নি তারা উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। যদিও ধর্মমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন ভিসা নিয়ে জটিলতা কেটে যাবে। ২৫৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সির অনেকেই প্রথম দফার বর্ধিত সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ না করায় দ্বিতীয় দফা সময় বাড়ানো হয়েছে।