img

কথায় কথায় মিথ্যা বলছে শিশু? সমাধান জানুন

প্রকাশিত :  ০৮:১৫, ৩১ জুলাই ২০২২

কথায় কথায় মিথ্যা বলছে শিশু? সমাধান জানুন

শিশুদের প্রতি অতিব ভালোবাসার কারণে অনেক সময় তাদের ছোট ছোট কিছু ভুল চোখ এড়িয়ে যায়। তাই হঠাৎ যদি খেয়াল করেন শিশু মিথ্যা বলতে শিখছে, তাহলে শুরুতেই সতর্ক হতে হবে। শিশুকে যেমন শেখাতে হবে যে সত্যি বলা প্রয়োজন, তেমনই বুঝতে হবে কেন সত্য গোপন করছে সে।

স্কুলে যেতে ইচ্ছা করছে না। বলে দিল, পেট ব্যথা করছে। দুধ খেতে ইচ্ছা করছে না। বলে দিল গা গোলাচ্ছে।

এই লক্ষণগুলি চেনা চেনা লাগছে কি?

বড় হওয়ার সময়ে অনেক শিশুই বাবা-মায়ের কাছে ছোট ছোট মিথ্যা বলে। তা নিয়ে অনেকে মজাও করেন। কিন্তু বিষয়টি মোটেও মজার নয়।

সাধারণত ৪-৫ বছর বয়স থেকে শিশুরা মিথ্যা বলা শুরু করে। খেয়াল করলে দেখা যাবে যে, এই সময় সমাজ এবং আশপাশের মানুষের বিষয়ে সচেতন হচ্ছে শিশুটি।

 কার কোন কথা খারাপ লাগবে, কোনটি ভালো লাগতে পারে এ সব ভাবনাও আসে সেখান থেকেই। আর যা বড়দের অপছন্দের বলে তার ধারণা হবে, সে সব কাজের বিষয়ে মিথ্যা বলতে শিখতে পারে সে।

কিন্তু এই প্রবণতা বাড়তে দিলেই মুশকিল। তাতে মিথ্যা বলা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যেতে পারে। আর পরে এ স্বভাবই বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।

যদি দেখেন শিশু মিথ্যা বলছে, তবে প্রথমেই বকাবুকি করবার প্রয়োজন নেই। বরং তাকে বোঝাতে হবে যে, মিথ্যা বলাও খারাপ লাগার কারণ হতে পারে।

যদি সে এমন কিছু কাজ লুকাতে চায়, যা তার বাবা-মায়ের পছন্দের নয়, তবে তাকে সে কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে শিখতে হবে। কিন্তু মিথ্যা বলা যে আসলে কোনও সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে না, ছোট থেকেই বোঝানো জরুরি সন্তানকে।

আর একটি বিষয়ও বোঝানো দরকার। ছোট ছোট কথায় মিথ্যা বলা থেকে বড় বিষয়ও এই প্রবণতা তৈরি হয়ে যায়। আর তা ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ।

img

কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ এড়াতে যা করবেন

প্রকাশিত :  ১০:৩১, ০৯ মে ২০২৪

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কেবল বয়স্কদের থাকে এ ধারণাটি সঠিক নয়। অল্প বয়সের মানুষের মধ্যে রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে। অপেক্ষাকৃত ২০ থেকে ৪০ বছরের কমেও এটি হতে পারে। দেশের অল্প বয়সী জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তাদের মধ্যে ১৭ শতাংশ পুরুষ আর ৯ শতাংশ নারী। 

অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ার পেছনে তরুণ প্রজন্মের কিছু বদভ্যাস দায়ী। অতি লবণযুক্ত ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ, ওজন বৃদ্ধি ও কায়িক শ্রমের অভাব অল্পবয়সী মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই তরুণদের ৬৮ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপের কোনো উপসর্গ নেই।

চিকিৎসকেরা বলেন, রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে মানেই একই সঙ্গে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকিও। অল্প বয়সেই কোনও গুরুতর রোগের আশঙ্কা এড়িয়ে চলতে যে নিয়মগুলো মেনে চলতে পারেন: 

ব্যস্ততার মধ্যে কিছুটা সময় বের করে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত চার দিন সাইকেল চালানো, সাঁতার বা যে কোনও খেলাধুলো করতে পারলে ভালো। এছাড়া, সকালে ঘুম থেকে উঠে, বিকেলে ও রাতে খাবার পরে হাঁটাহাঁটি করতে পারলে স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী। 

ছোট থেকেই প্রোটিন, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকা ভালো। পাশাপাশি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। না হলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এই উপাদানগুলি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।  

বয়স কম হলেও নিয়মিত রক্তচাপ মাপতে হবে। বিশেষ করে যদি পরিবারে এমন কোনও রোগ থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে সময় থাকতেই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। 

তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।