img

যুক্তরাজ্য: ৮ জনের মধ্যে ১ জনের জ্বালানি বিল দেওয়ার সামর্থ্য নেই

প্রকাশিত :  ১৮:২৫, ০৪ আগষ্ট ২০২২

যুক্তরাজ্য: ৮ জনের মধ্যে ১ জনের জ্বালানি বিল দেওয়ার সামর্থ্য নেই

জনমত ডেস্কঃ যুক্তরাজ্যের আটজনের মধ্যে একজন মানুষ জানিয়েছেন, এই বছরে যদি আবারও জ্বালানি বিল বেড়ে যায় তবে তাদের যে বাজেট তাতে তারা কুলিয়ে উঠতে পারবেন না। অর্থ্যাৎ এতে তাদের জ্বালানি বিল পরিশোধ করার সক্ষমতা থাকবে না।

পেনশন জায়ান্ট লিগ্যাল অ্যান্ড জেনারেলের একটি সমীক্ষা অনুসারে, ব্রিটেনের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ মুদ্রাস্ফীতির ১০ শতাংশে পৌঁছানোর আশঙ্কা থেকে ইতিমধ্যেই খরচ কমাতে শুরু করেছে। গত এপ্রিল মাসে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির পর ইউটিলিটি বিল প্রতি বছর গড়ে ৬৯৩ পাউন্ড বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যা যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ। তবে সামনের শীতে জ্বালানির প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যাওয়ার ফলে আরও বাড়বে এর দাম।

জানা গেছে, লিগ্যাল অ্যান্ড জেনারেল ব্রিটেনের ২০ হাজার মানুষকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে তারা কীভাবে তাদের বেড়ে যাওয়া বিলগুলো মোকাবিলা করার পরিকল্পনা করছে। আর এতে ১৩ শতাংশ বা প্রতি আটজনে একজন জানিয়েছেন তারা কোনোভাবেই এই জ্বালানি বিল পরিশোধ করতে পারবেন না। আর ২৮ শতাংশ মানুষ বলেছে যে তারা \'উল্লেখযোগ্য কাটব্যাক\' বা ব্যয় সংকোচন করলেই কেবল তা মোকাবেলা করতে সক্ষম হবেন। যেখানে মাত্র ১৯ পারসেন্ট বলেছেন যে তাদের কোনও কাটব্যাক করতে হবে না। এদিকে যেসব মানুষ বছরে ২০,০০০ পাউন্ডের কম আয় করে তাদের মধ্যে ২৮ শতাংশের মধ্যে জ্বালানি বিল পরিশোধ করা নিয়ে ভীতি ছড়িয়ে পরেছে। সামগ্রিকভাবে, জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় অর্ধেক বলেছেন যে তারা পরের বছর ভাড়া বা বন্ধকী অর্থ প্রদানে পিছিয়ে পড়বেন।

এদিকে এই অবস্থা থেকে রেহাই দিতে সরকার ১৫ বিলিয়ন পাউন্ডের সহায়তা প্যাকেজ বিতরণ শুরু করেছে। যার মধ্যে এককালীন ৬৫০ পাউন্ডের ‘কস্ট অফ পেমেন্ট’ রয়েছে। এছাড়া যারা সর্বজনীন ক্রেডিট পায় এবং অন্যান্য কম আয়ের পরিবারের জন্য রয়েছে আরও ৪০০ পাউন্ড।

লিগ্যাল অ্যান্ড জেনারেলের প্রধান নির্বাহী নাইজেল উইলসন সরকারের এই পদক্ষেপ গুলোকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে জ্বালানি বিলের সংকট মোকাবিলায় ব্রিটিশ সরকারকে তাদের নীতিগুলো আবারও ‘পুনর্বিবেচনা’ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। 


যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে চান না ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১৯:০৯, ১২ মে ২০২৪

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী রাফায় ইসরায়েল পূর্ণ মাত্রায় অভিযান পরিচালনা করলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে অস্ত্রের চালান স্থগিতের যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তার সঙ্গে একমত নয় যুক্তরাজ্য সরকার।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন মনে করেন, ইসরাইলের ওপর যুক্তরাজ্যের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা হামাসকে আরও শক্তিশালী করবে। খবর বিবিসির

ক্যামেরন জানান, গাজার রাফাহ শহরে বড় ধরনের স্থল অভিযানকে সমর্থন করেন না তিনি। তবে দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পথে হাঁটার পক্ষে না তিনি। 

এদিকে দেশটির প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জনাথন অ্যাশওয়ার্থ বলেছেন, তিনি চান না যুক্তরাজ্যের তৈরি অস্ত্র রাফায় ব্যবহার হোক।

ইসরাইল প্রতিবছর যে অস্ত্র কেনে তার মাত্র ১ শতাংশ যুক্তরাজ্য থেকে যায় বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামেরন।

যু্ক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা আরও কয়েকটি দেশ ইসরাইলকে সতর্ক করে বলেছে, যদি তারা রাফায় সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে তবে সেখানে গণহারে বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা নিহত হবে এবং বড় ধরণের মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে।

এদিকে সব সতর্কবার্তা এবং হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফায় স্থল অভিযান পরিচালনা করবেন।

ইসরাইলের দাবি, রাফায় হাজারের বেশি হামাস যোদ্ধা অবস্থান করেছে। তাই সেখানে পূর্ণমাত্রায় অভিযান ছাড়া গাজায় হামাসকে নির্মূল করার তাদের লক্ষ্য পূরণ হবে না।

সোমবার থেকে রাফায় আকাশ হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। মিশর সীমান্তবর্তী এই নগরীতে স্থল অভিযানের প্রস্তুতিও নিচ্ছে তারা। এজন্য রাফার বাসিন্দা এবং সেখানে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১৪ লাখ ফিলিস্তিনিকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।

গাজায় ইসরাইলের আকাশ হামলায় তিন ব্রিটিশ ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার পর ক্যামেরন নিজেই ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

সে কথা উল্লেখ করে ক্যামেরন আরও বলেন, শেষবার আমি যখন ইসরাইলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে বলেছিলাম তার মাত্র কয়েকদিন পর ইরান নিষ্ঠুরভাবে ইসরাইলে হামলা করে বসে। তাই আমি আজ খুব সাধারণ ভাবে ঘোষণা দিতে চাই যে, আমরা আমাদের অস্ত্র রপ্তানির কৌশল পরিবর্তন করলে সেটা হামাসকে আরও শক্তিশালী করবে এবং এটা জিম্মিদের মুক্ত করে আনার চুক্তিকে আরও কঠিন করে তুলবে।