যুক্তরাজ্য: ৮ জনের মধ্যে ১ জনের জ্বালানি বিল দেওয়ার সামর্থ্য নেই
জনমত ডেস্কঃ যুক্তরাজ্যের আটজনের মধ্যে একজন মানুষ জানিয়েছেন, এই বছরে যদি আবারও জ্বালানি বিল বেড়ে যায় তবে তাদের যে বাজেট তাতে তারা কুলিয়ে উঠতে পারবেন না। অর্থ্যাৎ এতে তাদের জ্বালানি বিল পরিশোধ করার সক্ষমতা থাকবে না।
পেনশন জায়ান্ট লিগ্যাল অ্যান্ড জেনারেলের একটি সমীক্ষা অনুসারে, ব্রিটেনের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ মুদ্রাস্ফীতির ১০ শতাংশে পৌঁছানোর আশঙ্কা থেকে ইতিমধ্যেই খরচ কমাতে শুরু করেছে। গত এপ্রিল মাসে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির পর ইউটিলিটি বিল প্রতি বছর গড়ে ৬৯৩ পাউন্ড বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যা যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ। তবে সামনের শীতে জ্বালানির প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যাওয়ার ফলে আরও বাড়বে এর দাম।
জানা গেছে, লিগ্যাল অ্যান্ড জেনারেল ব্রিটেনের ২০ হাজার মানুষকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে তারা কীভাবে তাদের বেড়ে যাওয়া বিলগুলো মোকাবিলা করার পরিকল্পনা করছে। আর এতে ১৩ শতাংশ বা প্রতি আটজনে একজন জানিয়েছেন তারা কোনোভাবেই এই জ্বালানি বিল পরিশোধ করতে পারবেন না। আর ২৮ শতাংশ মানুষ বলেছে যে তারা \'উল্লেখযোগ্য কাটব্যাক\' বা ব্যয় সংকোচন করলেই কেবল তা মোকাবেলা করতে সক্ষম হবেন। যেখানে মাত্র ১৯ পারসেন্ট বলেছেন যে তাদের কোনও কাটব্যাক করতে হবে না। এদিকে যেসব মানুষ বছরে ২০,০০০ পাউন্ডের কম আয় করে তাদের মধ্যে ২৮ শতাংশের মধ্যে জ্বালানি বিল পরিশোধ করা নিয়ে ভীতি ছড়িয়ে পরেছে। সামগ্রিকভাবে, জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় অর্ধেক বলেছেন যে তারা পরের বছর ভাড়া বা বন্ধকী অর্থ প্রদানে পিছিয়ে পড়বেন।
এদিকে এই অবস্থা থেকে রেহাই দিতে সরকার ১৫ বিলিয়ন পাউন্ডের সহায়তা প্যাকেজ বিতরণ শুরু করেছে। যার মধ্যে এককালীন ৬৫০ পাউন্ডের ‘কস্ট অফ পেমেন্ট’ রয়েছে। এছাড়া যারা সর্বজনীন ক্রেডিট পায় এবং অন্যান্য কম আয়ের পরিবারের জন্য রয়েছে আরও ৪০০ পাউন্ড।
লিগ্যাল অ্যান্ড জেনারেলের প্রধান নির্বাহী নাইজেল উইলসন সরকারের এই পদক্ষেপ গুলোকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে জ্বালানি বিলের সংকট মোকাবিলায় ব্রিটিশ সরকারকে তাদের নীতিগুলো আবারও ‘পুনর্বিবেচনা’ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।