img

গ্রিসে বৈধ হবেন ১৫ হাজারের বেশি বাংলাদেশি

প্রকাশিত :  ১২:৩১, ২১ আগষ্ট ২০২২
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩৪, ২১ আগষ্ট ২০২২

গ্রিসে বৈধ হবেন ১৫ হাজারের বেশি বাংলাদেশি

জনমত ডেস্ক: গ্রিসে অনিয়মিতভাবে বসবাসরত ১৫ হাজারের বেশি বাংলাদেশি তাৎক্ষণিক বৈধ বা নিয়মিত হওয়ার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন এথেন্সে নিযুক্ত বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ। আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে বৈধকরণ কার্যক্রম শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) এথেন্সের বাংলাদেশ দূতাবাসে ব্রিফিং ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমদ, কাউন্সেলর মো. খালেদ ও প্রথম সচিব (শ্রম) বিশ্বজিত কুমার পাল। 

রাষ্ট্রদূত তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। তা বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ হিসেবে গ্রিসে বসবাসরত অনিয়মিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধ করার প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা হয়। এ লক্ষ্যে গ্রিক সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে গ্রিসে অনিয়মিতভাবে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের বৈধ করার কার্যক্রম শুরু হবে।

তিনি বলেন, এজন্য গ্রিক সরকার একটি অনলাইন প্লাটফর্ম চালু করবে। যেখানে শুধু অনিয়মিত বসবাসরত বাংলাদেশিরা আবেদন করবেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে তাৎক্ষণিক বৈধ হতে পারবেন এবং বৈধভাবে চাকরির সুযোগ পাবেন। অনলাইনে আবেদন সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার পরপরই আবেদনকারীর ইমেইলে তার অস্থায়ী রেসিডেন্স পারমিট পাঠানো হবে। বৈধ বা নিয়মিত হওয়ার প্রক্রিয়াটি সহজ ও সংক্ষিপ্ত। এতে জটিলতা না থাকায় কোনো এজেন্ট বা আইনজীবীর শরণাপন্ন হওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। প্রয়োজনে দূতাবাসের সহায়তা নেওয়া যাবে কিংবা বিশ্বস্ত আইনজীবীর সহায়তা নিয়ে আবেদন করা যাবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আবেদন প্রক্রিয়া তিন ধাপে সম্পন্ন হবে। নিয়মিত হতে আগ্রহী বা ইচ্ছুক প্রবাসী বাংলাদেশিরা দূতাবাসে তাদের নাম নিবন্ধন করবেন ও তাদের পাসপোর্টের একটি অনুলিপি সত্যায়িত করে নিয়ে যাবেন। দূতাবাসে নাম নিবন্ধনের সময় যেসব বিষয় থাকতে হবে সেগুলো হলো- ১. দুই বছরের বেশি মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট ২. এ বছরের ৯ ফেব্রুয়ারির আগে গ্রিসে আগমন বা বসবাসের প্রমাণপত্র ৩. একটি ইমেইল অ্যাড্রেস এবং ৪. আবেদনকারীর নামে নিবন্ধিত একটি মোবাইল নম্বর। যারা ইতোমধ্যে তাদের সম্ভাব্য চাকরিদাতা নিশ্চিত করতে পেরেছেন তারা শিগগির দূতাবাসে এসে নাম নিবন্ধন করে এবং তাদের পাসপোর্টটি সত্যায়িত করে নিয়ে যেতে পারেন।

দূতাবাস নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রায় শতাধিক আবেদনকারীর নাম নিবন্ধিত করা হয়েছে। দূতাবাসে নাম নিবন্ধন হলেই শুধুমাত্র গ্রিক সরকারের ঘোষিত অনলাইন প্লাটফর্মে নিয়মিত হওয়ার জন্য মূল আবেদন করা যাবে। নিবন্ধনকারীদের নাম দূতাবাস অনলাইনে যুক্ত করার মাধ্যমে তাদের আবেদনের প্রাথমিক ধাপটি সম্পন্ন করবে। ফলে অন্য কোনো দেশের নাগরিক জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে অনলাইন প্লাটফর্মের নিয়মিতকরণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে বেবুচি বা অস্থায়ী রেসিডেন্স পারমিট সংগ্রহ করতে পারবে না।

আসুদ আহমেদ বলেন, শুধুমাত্র দুই বছরের বেশি মেয়াদ থাকা পাসপোর্টধারীরাই দূতাবাসের নাম নিবন্ধন ও অনলাইনে নিয়মিতকরণের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন। সংশ্লিষ্ট গ্রিক কর্তৃপক্ষ আবেদনটি যাচাই-বাছাই করে গ্রহণের পর পাঁচ বছরের রেসিডেন্ট কার্ড প্রদান করবে। প্রতি পাঁচ বছর পর এটি নবায়ন করা যাবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, নিয়মিতকরণের প্রক্রিয়া অচিরেই লিখিতভাবে বা রুলস আকারে গেজেটে প্রকাশ করা হবে। এছাড়া গ্রিক সরকার ও দূতাবাস একটি ফ্লোচার্টের মাধ্যমে ধাপে ধাপে পুরো প্রক্রিয়াটি বর্ণনা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। আশা করা যাচ্ছে সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখের আগেই গ্রিসের মন্ত্রিসভায় পাস হওয়ার পর তা প্রকাশিত হবে। গ্রিসের মন্ত্রিপরিষদে পাস হওয়ার পর গেজেট আকারে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.২২ শতাংশ

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১৩ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৯, ১৩ মে ২০২৪

মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার সব চেষ্টার মধ্যেও গত এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৩৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে এপ্রিলে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে। এর আগের মাসে অর্থাৎ, মার্চে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে সাত বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৭৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।

আজ সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। হালনাগাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে, গত এপ্রিলে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৩০ বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মার্চে এটি ছিল নয় দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এপ্রিল মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে; গত মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

মার্চ মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ দিকে গত এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে; আগের মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্লেষকেরা বলেন, মূল্যস্ফীতি এক ধরনের কর, যা ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবার চাপ বাড়ায়। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়ে গেলে গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বাড়ে। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ


কমিউনিটি এর আরও খবর