img

এশিয়ার সর্ববৃহৎ মসজিদ ইস্তাম্বুলের তাশামালিজা মস্ক

প্রকাশিত :  ১৩:১৬, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

এশিয়ার সর্ববৃহৎ মসজিদ ইস্তাম্বুলের তাশামালিজা মস্ক

জনমত প্রতিবেদক ।। তাশামালিজা মসজিদের মিনারা আকাশ ছুঁই ছুঁই। মিনারা থেকে ইস্তাম্বুলের মেঘমালা খুব কাছ থেকে দেখা যাবে। মনে হবে সুদীর্ঘ মিনারাটি যেন আকাশকে আলিঙ্গন করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বারান্দা ও জানালা দিয়ে পুরো ইস্তাম্বুল নগরীর দুপাশ দেখে নেয়া যায় এক নজরে । প্রবহমান সুদৃশ্য বসফরাস প্রণালীকে তখন খুব আপন মনে হয়।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে নির্মিত এশিয়ার সর্ববৃহৎ মসজিদটি আগামী মাসে উদ্বোধন করা হবে। গত ছয় বছর আগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান এ মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। আগামী ৭ মার্চ মসজিদটি নামাজের জন্য খুলে দেওয়া হবে। খবর তুর্কি প্রেসের।

তুরস্কের সংবাদ মাধ্যম তুর্কি প্রেস জানায়, ৬৩ হাজার মুসল্লি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন মসজিদ কমপ্লেক্সেটিতে ইসলামি ইতিহাস সংরক্ষক নয়নাভিরাম জাদুঘর, আর্ট গ্যালারি, মনোরম লাইব্রেরি, সুবিশাল কনফারেন্স হল, বিস্তৃত পার্কিং লটসহ নতুন নতুন বিশেষ সুবিধা রাখা হয়েছে।

আয়তনগত দিক বিবেচনায় এশীয় অঞ্চলে এটিকে বলা হচ্ছে এশিয়ার সর্ববৃহৎ মসজিদ। বিগত প্রায় এক শতাব্দীতে আধুনিক তুরস্ক প্রতিষ্ঠার পর এটিই তুরস্ক নির্মিত সর্ববৃহৎ মসজিদ।

তুরস্কের বৃহত্তম মসজিদটি নির্মাণের তত্ত্বাবধানপ্রেসিডেন্ট এরদোগান নিজেই করেছিলেন, যা নিয়ে দেশে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। দেশটির সেক্যুলারদের একটি অংশ রাষ্ট্রীয় টাকায় এত বড় মসজিদ নির্মাণ নিয়ে এরদোগানের সমালোচনায় লিপ্ত হন।

তাশামালিজার সবুজ পাহাড়ের চূড়ায় নির্মিত হওয়ায় মসজিদটির নাম দেওয়া হয়েছে তাশামালিজা মসজিদ। মসজিদে সর্বমোট ছয়টি মিনারা রয়েছে। বড় মিনারা দুটির উচ্চতা ১০৭.১ মিটার যা মসজিদে নববীর মিনারা হতেও লম্বা। একটি বিশেষ তাৎপর্যের দিকে লক্ষ রেখে ১০৭.১ সংখ্যাটি নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সংখ্যার মাধ্যমে ১৭০১ সালের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। সেলজুকী সুলতান আলাব আরসালান ১৭০১ সালে মালাযিকারদের যুদ্ধে বাইজান্টাইনকে পরাজিত করেছিলেন।

তুরস্কের সর্ববৃহৎ এ মসজিদটি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের অন্যতম সফলতা বলেই মনে করছেন অনেকে। তবে এর জন্য অনেক সমালোচনাও শুনতে হয়েছে।

img

শেষ দিনে ভিসার অপেক্ষায় ৩৭ শতাংশ হজযাত্রী

প্রকাশিত :  ১০:৫৯, ১১ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৪, ১১ মে ২০২৪

হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করার জন্য দ্বিতীয় দফায় আবেদনের জন্য বাড়ানো সময় শেষ হচ্ছে আজ শনিবার।  কিন্তু এখন পর্যন্ত ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়নি। 

শনিবার সকালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৮৯৯ হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এ বছর সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনো ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

হজ এজেন্সি মালিক ও ধর্ম মন্ত্রণালয় আশা করছে, শনিবারের মধ্যে বেশিরভাগ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়ে যাবে। অল্প কিছু বাকি থাকলে, সেটাও দু-একদিনের মধ্যে করার জন্য সময় পাওয়া যাবে। তাই ভিসা জটিলতায় কেউ হজে যেতে পারবেন না- এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই।

ধর্ম মন্ত্রণালয় এর আগে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছিল । এরপর সেটি ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সবশেষ ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিন পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন ৬ হাজার ৩৯২ জন যাত্রী। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশ থেকে সাতটি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ২ হাজার ৭৬৯ জন যাত্রী। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ৯টি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ৩ হাজার ৬২৩ জন হজযাত্রী। 

এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৬৬৮ জন, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১টি ফ্লাইটে ৪৪৫ জন, ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৫১০ জন সৌদি আরব গেছেন। দুই দিনে তিন বিমান সংস্থার ১৬টি ফ্লাইটে ৬ হাজার ৩৯২ হজযাত্রী ঢাকা ছেড়েছেন।

বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। কোনো অভিযোগ ছাড়াই যাত্রীরা ঢাকা ত্যাগ করছেন।

এদিকে বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে যাদের ভিসা হয়নি তারা উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। যদিও ধর্মমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন ভিসা নিয়ে জটিলতা কেটে যাবে। ২৫৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সির অনেকেই প্রথম দফার বর্ধিত সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ না করায় দ্বিতীয় দফা সময় বাড়ানো হয়েছে।