img

মিয়ানমার বাহিনীর গোলার শব্দে এবার কাঁপছে উখিয়া সীমান্ত

প্রকাশিত :  ১৬:৩৬, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:০০, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

মিয়ানমার বাহিনীর গোলার শব্দে এবার কাঁপছে উখিয়া সীমান্ত

জনমত ডেস্ক: বান্দরবান সীমান্তের পর এবার কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্ত কাঁপছে মিয়ানমার বাহিনীর গোলার শব্দে। উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমানপাড়া সীমান্ত এলাকায় নতুন করে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার পর মর্টারশেলের মতো ভারি অস্ত্রের গোলার শব্দে কেঁপে ওঠে পালংখালী এলাকা। থেমে থেমে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর চৌধুরী। তিনি বলেন, ঘুমধুম সীমান্তের পর এবার নতুন করে আমার ইউনিয়নের আঞ্জুমান সীমান্তে মিয়ানমারের ওপারে ভারি গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

নাফ নদী ঘেঁষা সীমান্তের এই অংশে ওপার থেকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে প্রথম গুলির শব্দ শোনা যায়। তবে কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ও সন্ধ্যায় বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। এরপর মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেখানে গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।

পালংখালী আঞ্জুমানপাড়া সীমান্তের বাসিন্দা আব্দুল আজিজ বলেন, গণমাধ্যমে বেশ কয়েক দিন ধরেই খবর পাচ্ছি সীমান্তে গোলাগুলি চলছে। মঙ্গলবার সকালে আমাদের আঞ্জুমান সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে আমাদের এলাকার মানুষের মধ্যে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

তবে এ বিষয়ে বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, গত জুলাই থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সেদেশের বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির মধ্যে চলা সংঘাতে অস্থির হয়ে উঠেছে রাখাইন রাজ্য। সংঘাতের প্রভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চলে। ৩ দফায় মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপিত মর্টারশেল পতিত হয়েছে উখিয়ার পার্শ্ববর্তী বান্দরবানের ঘুমধুমে। সর্বশেষ ১ রোহিঙ্গা নিহত ও ৬ জন আহত হওয়ার ঘটনা উৎকণ্ঠা বাড়িয়েছে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের।

img

ইসরাইল-মিসর সম্পর্কে ফাটল, রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের হুমকি!

প্রকাশিত :  ১২:০২, ১৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৬, ১৪ মে ২০২৪

ইসরায়েল ও মিসরের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের শুরু ৪৫ বছর আগে। এই সময়ের মধ্যে দুই দেশের সম্পর্ক খুক একটা উষ্ণ না হলেও একটি ন্যূনতম সম্পর্ক বজায় ছিল। তবে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল তৈরি হয়েছে। এমনকি তেল আবিব থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও ভাবছে কায়রো।

সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে মিসরীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন, রাফায় দেশটির অভিযানকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে মতভেদের বিষয়টি প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থায় ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করার কথা ভাবছে মিসর। বিশেষ করে, গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে ইসরাইল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করে দেশটি।

মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আলকাহেরা নিউজ শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাফাতে ইসরাইলের ‘অগ্রহণযোগ্য উত্তেজনা বৃদ্ধির’ কারণে ত্রাণ নিয়ে মিসর তাদের সঙ্গে কাজ করবে না।

একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, গাজায় মানবিক পরিস্থিতির বিপর্যয়ের জন্য শুধুমাত্র ইসরাইলকেই দায়ী করে মিসর।

ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন না করে তা সীমিত করার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিসরীয় কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিসরীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কায়রো ইসরাইল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের বিষয়টিও বিবেচনা করে দেখছে।

তিনি আরও বলেন, তবে যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনী রাফাহ ক্রসিংয়ে (মিসর ও গাজার মধ্যকার সংযোগ পথ) অবস্থান করবে ততক্ষণ পর্যন্ত মিসর একটি ট্রাকও (ত্রাণবাহী) রাফাহে পাঠাবে না।’ তবে রাফাহে ত্রাণের ট্রাক পাঠাতে না পারলে সেটির ফলাফল কী হবে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ও মিসরীয় কর্মকর্তা।

গত সপ্তাহে হঠাৎ করে গাজা ও মিসরের সীমান্তবর্তী রাফা ক্রসিং দখল করে নেয় ইসরাইলি সেনারা। এরপর থেকে সীমান্তটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। সেখান দিয়ে এখন কোনো ধরনের ত্রাণ আসছে না। এর আগে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে ত্রাণ আসার একমাত্র পথ ছিল এই রাফা ক্রসিং। এছাড়া গাজা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মিসর যাওয়ার একমাত্র রাস্তাও ছিল এটি।

রাফা ক্রসিং দখল করার পর শনিবার রাফার মধ্যাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। এরপরই সেখানে পূর্ণমাত্রার হামলা চালায় দখলদার ইসরাইলের সেনারা।