সাফজয়ী আঁখির বাবাকে পুলিশের হুমকি

প্রকাশিত :  ১১:০১, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

সাফজয়ী আঁখির বাবাকে পুলিশের হুমকি

স্পোর্টস ডেস্ক: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা নিয়ে যখন সারাদেশ উৎসবে মেতেছে ঠিত তখনই দুঃসংবাদ শুনতে হল ফুটবলার আঁখি খাতুনকে। সরকার থেকে পাওয়া জমি নিয়ে তার বাবাকে শাসিয়ে গেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মামুন। এমন অভিযোগ করেছেন আঁখি ও তার বাবা।

জানা গেছে, সরকার থেকে একটি জমি পেয়েছে আঁখির পরিবার। এই নিয়ে আরেকজন মামলা করলে আদালত থেকে একটি নোটিশ জারি করা হয়। আঁখির বাবাকে সেটি দিতে যান সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানা পুলিশের এএসআই মামুন। এই নিয়ে আঁখির বাবার সঙ্গে এএসআইয়ের বাগবিতণ্ডা হয়। তখন এএসআই শাসিয়েছেন বলেও দাবি করা হয়। ওই নোটিশে সই করতে রাজি না হওয়ায় তার বাবাকে থানায় উঠিয়ে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আঁখির বড় ভাই নজরুল ইসলাম। একইসঙ্গে বাড়িতে এলে আঁখিকেও থানায় যেতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে আঁখি দাবি করেন, ‘আমার বাবাকে থানা থেকে ধমকিয়েছে একটা পেপার নিয়ে। বলেছে সই করতে হবে। বাবা সই করেননি। তাই বাবাকে থানায় নিয়ে যাবে বলেছে। আমাকে ফোনে জানানো হয়েছে। আমি বাড়িতে যাওয়ার পর আমাকেও থানায় যেতে হবে।’

আঁখির বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি বাদী বা আসামি কোনোটাই না। আমি পুলিশকে বলেছি, আপনারা ইউএনও মহোদয় বা ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেন। তখন আমাকে কটূক্তি করেছে তারা। আর এক পুলিশ সদস্য আমাকে ধরে নিয়ে যাবে বলেছে।’

আঁখির বড় ভাই নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার বিকালে শাহজাদপুর থানা থেকে এএসআই মামুনসহ একটি টিম এসে আমার বাবাকে বলেন, সরকার থেকে আঁখিকে যে জায়গাটা দেওয়া হয়েছে কোর্ট থেকে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আপনারা এখান থেকে চলে যান। তা না হলে থানায় ধরে নিয়ে যাবো।’

ঘটনার সত্যতা শিকার সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আঁখিদের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কোর্ট থেকে একটা নোটিশ এসেছিল। সেই নোটিশে কপিটা এএসআই মামুন আঁখির বাবাকে দিতে গিয়েছিল এবং রিসিভ করে একটা সই দিতে বললে তার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি আমি শোনার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে এএসআই মামুনকে দিয়ে সরি বলানো হয়েছে।’

শাহজাদপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার পারকোলা গ্রামে সরকারের ২৫ শতক খাস জায়গা রয়েছে। সেখান থেকে চলতি বছরের মে মাসে আঁখি খাতুনকে আট শতক জায়গা দেওয়া হয়েছে। সেটা এখন আঁখির পরিবারের দখলে আছে। বাকি জায়গা আমাদের দখলে রয়েছে। কিন্তু কয়েকদিন আগে ওই গ্রামের মোকরাম প্রামাণিক নামের একজন পুরো জায়গায় তার দাবি করে কোর্টে একটা মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কোর্ট থেকে একটা নোটিশ দেওয়া হয়। সেই নোটিশে কপি আঁখির বাবার কাছে দিতে গিয়েই এএসআই মামুনের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়।’

কবে অবসর নেবেন জানালেন মেসি

প্রকাশিত :  ০৯:০৪, ২৮ মার্চ ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:১১, ২৮ মার্চ ২০২৪

ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসি। আগামী জুনে ৩৭ বছর পার করবেন এই ফুটবল জাদুকর। এই বয়সেও খেলে যাচ্ছেন দাপটের সঙ্গে। ২০২২ বিশ্বকাপ জেতার পর সবাই ধরেই নিয়েছিলেন অবসরে যাচ্ছেন এই আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। তবে তিনি জানান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার হয়ে আরও খেলে যেতে চান। তবুও মেসি কবে অবসর নেবেন সেই প্রশ্ন উঠছে নিয়মিত। 

সম্প্রতি এমবিসির ‘বিগ টাইম পডকাস্টে’ মেসি কথা বলেছেন। সেখানে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা বলেন। যখন ফুটবলকে তার আর দেওয়ার কিছু থাকবে না, তখনই ইতি টানবেন ক্যারিয়ারের। অবসর প্রসঙ্গে এমনটিই ভাবছেন মেসি। 

তিনি বলেন, ‘সেই মুহূর্তটা কেমন হবে আমি জানি, যখন টের পাব আর পারফর্ম করতে পারছি না। বুঝতে পারব যে, নিজেকে উপভোগ করছি না, সতীর্থদের কোনো সাহায্য করতে পারছি না, তখন সিদ্ধান্ত নেব।’

মেসি বলেন, ‘আমি ভীষণ আত্মসমালোচক। আমি জানি, কখন আমি ভালো (অবস্থায় থাকি), কখন খারাপ, কখন ভালো খেলি, কখন বাজে খেলি...এবং যখন অনুভব করব পদক্ষেপটা নেওয়ার সময় এসেছে, বয়সের কথা না ভেবেই সেটা নেব। ভালো অনুভব করলে, আমি সবসময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই। কারণ আমি এটাই পছন্দ করি এবং জানি, সেটা কীভাবে করতে হয়।’

ফুটবলের প্রায় সব কিছুই নিজের ক্যারিয়ারে অর্জন করেছেন। আন্তর্জাতিক শিরোপা থেকে ক্লাব ক্যারিয়ার সব কিছুতেই উজ্জ্বল তিনি। ২০২২ সালে নিজের ক্যারিয়ারের একমাত্র এবং দেশের তৃতীয় বিশ্বকাপ জিতে মেসি। তবে কাতার বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে না পারলে সেখানেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানতেন বলে জানিয়েছেন মেসি। 

তিনি বলেন, ‘কাতার বিশ্বকাপে সবকিছু যদি ঠিকঠাক না চলত, তা হলে আমি জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়াতাম।’

এই ফুটবল জাদুকর বলেন, খেলাধুলার দিক থেকে ক্যারিয়ার সবকিছু অর্জনের, স্বপ্নপূরণের সৌভাগ্য হয়েছে আমার। সত্যি বলতে পেশাদার ফুটবলার হিসেবে ও ব্যক্তিগত জীবনে, পরিবার ও বন্ধুবান্ধব মিলিয়ে এর বেশি আমি চাইতে পারতাম না। সৃষ্টিকর্তা আমাকে যা দিয়েছেন, সেটা অনেক এবং আমি সবসময় তা উপভোগের চেষ্টা করি।