img

লন্ডনে সিলেটের ‘গভর্নমেন্ট’ স্কুলের পুনর্মিলনী ২০২২ঃ কিছু কথা

প্রকাশিত :  ১৪:০৩, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:৪২, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

লন্ডনে সিলেটের ‘গভর্নমেন্ট’ স্কুলের পুনর্মিলনী ২০২২ঃ কিছু কথা

স্কুল ছেড়েছি প্রায় পঁয়ত্রিশ বছর হবে। স্কুলের বন্ধু বান্ধব সহ সিনিয়র জুনিয়রদের হারিয়ে বসেছিলাম প্রায় ত্রিশ বছর। এর মধ্যে ফেসবুক, হোয়াটসআপের আবিষ্কার। বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে ফের যোগাযোগ। 

মাঝখানে ২০১২ তে চ্যনেল এস এর ব্যাঙ্কুয়েটিং হল ও ২০১৮ তে রয়েল রেজিন্সিতে সিলেট গভর্নমেন্ট পাইলট স্কুলের দু’টি পুনর্মিলনী হয়েছে। দুটোই সফল এবং দুটোতেই উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হয়েছে আমার।

এবারের লন্ডনের আয়োজক মাহমুদ, আদিল, ইমরান, শুভ, শিপলু, দুলাল, কামরুল, রিঙ্কু, আখলাক, রানা, আব্দুল্লাহ ফাতানি, ইমরান জুনিয়র এদের পুরো টিম এই অনুষ্ঠানকে সফল করে তুলেছেন। বিশেষ করে আয়োজক হাসান স্যারের ছেলে মাহমুদ এর সফল লিডারশীপ অনুষ্ঠানকে সার্থক করেছে বলে আমার বিশ্বাস। বলতে গেলে তার দিন গেছে এই অনুষ্ঠান ঘিরে। 

এই বারের অনুষ্ঠানের সব থেকে বড় দিক হলো অন লাইন বুকিং, রেজিস্ট্রেশন, অনুষ্ঠানে ঢোকার সময় কুয়াড ব্যবহার আমাকে অভিভূত করেছে। প্রবেশস্থলে স্কুলের গেইট এর আদল, অনুষ্ঠান সম্পর্কে মতামত লিখার জন্য মতামত বই, রিক্সা, সোলেমান ভাইয়ের চটপটির দোকানের আদলে মারুফের চটপটির স্টল, চানাচুর এর স্টল খুব ভালো ঠেকেছে। খাবার খুব ভালো হয়েছে। বিশেষ করে সাতকড়ার মোরগ ও ডালের স্বাদ খুব ভালো ছিলো। টেবিল ওয়াইজ পরিচয় পর্ব ভালো আইডিয়া। 

শুরুটা ভালো হলেও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন পুরো গাওয়া উচিত ছিল। অয়োজকদের পক্ষ থেকে পুরো জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার অনুরোধ থাকলেও অন্তত পক্ষে দুটো অন্তরা গাইতে পারতো আমন্ত্রিত শিল্পীরা। আমরা গভর্নমেন্ট স্কুলের এসেম্বলীতে প্রতিদিনই জাতীয় সঙ্গীত গাইতাম। রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এর ফিউনারেল এর আগের দিন এবং যেহেতু এখন আমরা সবাই ব্রিটেনের নাগরিক সে হিসেবে এক মিনিট নীরবতা রাণীর পালন করা হয়েছে সরকারী কর্মসূচি অনুযায়ী রাত ৮ টায়। 


স্টেজে প্রথম পর্ব সুন্দর হলেও দ্বিতীয় পর্ব হয়েছে আনন্দময়। অনেককে প্রতিভা অন্বেষণে ডাকা যেতো যদিও ওয়াটসআপ গ্রুপের মাধ্যমে আগেই আহবান করা হয়েছিল। কিন্তু যারা জমা দিয়েছিলেন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুধু তারাই অংশ গ্রহন করেছেন। শরমের কিছু ছিল না। র‌্যাফেল ড্র এর সংগ্রহের দায়িত্বের ভাইয়েরা এ প্লাস পাবেন তাঁদের ব্যবহার ও পরিবেশনে। 

সব থেকে বড় কথা হলো এ সমস্ত অনুষ্ঠানে হল পাওয়া ও প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত হল ও অনুষ্ঠান চলতে দেওয়া। হলের মালিক আঁকলু ভাইকে এইজন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না।

সিনিয়রদের মধ্যে বাসন ভাই, ম্যানচেস্টারের মিজান ভাই ও সোয়েব আদমজী ভাই, তৌহিদ ফিতরাত, আমার বন্ধু উজ্জ্বল, আকরাম, অনুজ শামসুল করিম টিটুকে এই অর্গানাইজিং টিমকে প্রাথমিক ভাবে সমন্বয় করে দেয়া এবং পূর্বের রিইউনিয়নের অনুপ্রেরণা হওয়ার জন্য ধন্যবাদ। 


এই অনুষ্ঠানে আমার বন্ধু আঞ্জুম আলম এর অভাব অনুভূত হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ থাকায় লন্ডনের একটি হাসপাতালে তিনি শয্যাশায়ী আছেন। লন্ডনে গত পুনর্মিলনীতে তিনি আপ্যায়ন এর দায়িত্বে ছিলেন। আয়োজকরা তার জন্য পুরো একটি প্যাকেজ পাঠিয়েছেন খাওয়া সহ। সময়ের অভাবে সন্ধ্যা সাতটায় চলে আসতে হয়েছে। অনেককে বলে আসতে পারিনি বলে দুঃখিত। পুরো অনুষ্ঠানটি ভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে পরিচালিত হয়। বিভিন্ন ভাগে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আশরাফুল ওয়াহিদ দুলাল। তাকে সহযোগিতা করেন সঞ্জিত দাশ। স্মরনিকা মোড়ক উন্মোচন করা হয় এ পর্যায়ে উপস্থাপন করেন স্মরনিকার সম্পাদক সাংবাদিক এমরান আহমেদ। দেরীতে রেজিষ্ট্রেশন হওয়ায় শুধু মোড়ক উন্মোচন হলেও আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রেজিষ্ট্রেশনকৃত সবার ঘরে ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে স্মরনিকা।


বিভিন্ন স্পন্সরদের প্রতি সম্মাননা ও পরিচিতি পর্বের উপস্থাপনা করেন এটিএন বাংলা ইউকের হেড অফ মার্কেটিং অ্যান্ড বিজনেস আদিল চৌধুরী। ছোটখাটো দোষ ত্রুটি ছাড়া অনুষ্ঠানটি সফল ও সার্থক হয়েছে। 

লেখকঃ সৈয়দ তাহমীমুল হক / ১৯৮৭ ব্যাচ / লেস্টারশায়ার, ইউ.কে। 


কমিউনিটি এর আরও খবর

img

এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.২২ শতাংশ

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১৩ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৯, ১৩ মে ২০২৪

মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার সব চেষ্টার মধ্যেও গত এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৩৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে এপ্রিলে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে। এর আগের মাসে অর্থাৎ, মার্চে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে সাত বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৭৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।

আজ সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। হালনাগাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে, গত এপ্রিলে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৩০ বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মার্চে এটি ছিল নয় দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এপ্রিল মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে; গত মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

মার্চ মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ দিকে গত এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে; আগের মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্লেষকেরা বলেন, মূল্যস্ফীতি এক ধরনের কর, যা ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবার চাপ বাড়ায়। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়ে গেলে গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বাড়ে। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ


কমিউনিটি এর আরও খবর