img

ইরানে হিজাববিরোধী বিক্ষোভে নিহত বেড়ে ৫০

প্রকাশিত :  ০৫:৩৮, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

ইরানে হিজাববিরোধী বিক্ষোভে নিহত বেড়ে ৫০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ইরান। পুলিশি হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির (২২) মৃত্যুর প্রতিবাদে পথে নেমে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০।

বিক্ষোভকারীদের রোষানলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ নিরাপত্তারক্ষীরও। এমনটিই দাবি করা হয়েছে অসলোর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ইরান হিউম্যান রাইটস্’-এর পক্ষ থেকে। খবর আল-আরাবিয়ার।

তবে ইরান সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে— এখনো পর্যন্ত সরকারবিরোধী বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সরকারের দেওয়া তথ্য ভুয়া বলেই দাবি করেছে এ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

এ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে, অন্ততপক্ষে ইরানের ৮০ শহরে মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ।

ইতোমধ্যে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, ইরানের রাজধানী তেহরানের জ্বলন্ত ছবি। গত আট দিন ধরে সন্ধ্যা নামার পরই তেহরানের বিভিন্ন এলাকায় জড়ো হচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা।

সরকারবিরোধী স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি কুশপুতুল এবং হিজাব পুড়িয়েও প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে বিক্ষোভকারীদের। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার পাশাপাশি পোড়ানো হয়েছে পুলিশের গাড়িও।

সরকারের পক্ষ থেকে এই বিদ্রোহকে এখনই সমূলে উৎখাতের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও মনে করা হচ্ছে।

প্রতিবাদপ্রবণ এলাকাগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। বহির্বিশ্বের কাছে ইরানের বর্তমান পরিস্থিতির চেহারা ধামাচাপা দিতে ইন্টারনেট ব্যবহারে ওপরও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

শুক্রবার পর্যন্ত পর পর তিন দিন ইরানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছে দেশটির সরকার। বিক্ষোভকারীদের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস এবং গুলিও চালাচ্ছে পুলিশ। সমাজমাধ্যমের সুবাদে সেই দৃশ্য ইতোমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে গিয়ে নিউইয়র্কে একটি সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার বলেন, সরকারকে অবশ্যই বিক্ষোভ দেখানো এবং ভাঙচুর চালানোর মধ্যে পার্থক্য করতে হবে। প্রয়োজনে সঠিক ব্যবস্থাও নিতে হবে।

প্রসঙ্গত হিজাব না পরে রাস্তায় বেরোনোর ‘শাস্তি’ হিসাবে মাহসা নামে তরুণীকে আটক করে পুলিশ। ১৩ সেপ্টেম্বর গাড়িতে চেপে সপরিবারে কুর্দিস্তান থেকে রাজধানী তেহরানে আসছিলেন ২২ বছরের মাহসা।

সেই সময় তাদের গাড়ি আটকায় ইরানের পুলিশ। গাড়িতে মাহসা হিজাব পরেননি বলে পরিবারের সামনেই মাহসাকে গ্রেফতার করে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। পরে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। তার পর থেকে ইরানে দিকে দিকে অসন্তোষের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।

img

ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করবে তুরস্ক: এরদোগান

প্রকাশিত :  ১৪:০২, ০৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:০৫, ০৪ মে ২০২৪

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান জানিয়েছেন, ইসরাইলের সঙ্গে তুরস্কের বাণিজ্য স্থগিত করার মূল লক্ষ্য হলো গাজায় ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করা।

শুক্রবার ইস্তানবুলে একটি জাতীয় ব্যবসায়িক কমিটির আলোচনার সময় তিনি এ কথা বলেন। খবর আনাদোলুর।

এরদোগান বলেন, আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো— ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ও নেতানিয়াহু সরকারকে একটি যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করা, যেটি পশ্চিমাদের নিঃশর্ত সমর্থনের কারণে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

নেতানিয়াহুর সরকারকে সমর্থন করার জন্য আবারও পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করে এরদোগান বলেন, তিনি আশা করেছিলেন যে, এই দেশগুলো তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তুর্কিকে ‘আক্রমণ’ করবে।

তিনি বলেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে আমাদের বাণিজ্য বিধিনিষেধের কারণে পশ্চিমারা কীভাবে আমাদের আক্রমণ করবে তা আমরা ভালোভাবে জানি। তুরস্কসহ অন্যান্য দেশের জন্য এটি একটি উদাহরণ সৃষ্টি করবে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, যখন একটি যুদ্ধবিরতি হয়, তখন গাজায় পর্যাপ্ত সাহায্যের অনুমতি দেওয়া হয়। এটি আমাদের লক্ষ্য।

এরদোগান বলেন, আমরা আমাদের অঞ্চলের কোনো দেশের সঙ্গে শত্রুতা বা সংঘাতের দিকে অগ্রসর হই না। আমরা আমাদের ভূগোলে সংঘর্ষ, রক্ত ও অশ্রু দেখতে চাই না।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক। তারা বলেন, ইসরাইল থেকে তুরস্কে আর কোনো পণ্য আসছে না এবং যাচ্ছেও না।

বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে এ তথ্য জানিয়েছেন তুরস্কের দুই কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের বিরুদ্ধে এক্সে একটি পোস্ট করেছেন। এতে তিনি অভিযোগ করেছেন, বন্দর দিয়ে ইসরাইলি পণ্য আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ করে দিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বাণিজ্যিক চুক্তি ভঙ্গ করছেন।

তিনি এক্সে লিখেছেন— স্বৈরশাসক এমন ব্যবহার করে থাকে। তুরস্কের মানুষ ও বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তিকে উপেক্ষা করেছেন তিনি।