রয়টার্স এর প্রতিবেদন

img

পাক হামলা ঠেকাতে ভারতের ১৪ হাজার বাঙ্কার নির্মাণ

প্রকাশিত :  ১০:০৮, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট: ১০:১৫, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

পাক হামলা ঠেকাতে ভারতের ১৪ হাজার বাঙ্কার নির্মাণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।কেবল প্রতিবেশি পাকিস্তানের হামলা মোকাবেলায় সীমান্তে ১৪ হাজারেরও বেশি বাঙ্কার নির্মাণ করেছে ভারত। পাকিস্তান হামলা করলে ওইসব বাঙ্কারে সীমান্তবর্তী লোকজনকে আশ্রয় দেয়া হবে। পাকিস্তানের পরমাণু হামলার হুমকির মুখে বাঙ্কার নির্মাণকে ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতি হিসেবেই দেখা হচ্ছে। এই খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স, ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল ও দ্য মিরর।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত সপ্তাহ থেকেই বাঙ্কার নির্মাণের সিদ্ধান্তের কথা জানায় সরকার। ইতিমধ্যে বাঙ্কার নির্মাণের কাজও চলছে। দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা ও হামলার ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে, তা কমাতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। জম্মু-কাশ্মীরে বাঙ্কার নির্মাণের ছবিও প্রকাশ করেছে রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার দুই দেশের সীমান্তরেখায় পাল্টাপাল্টি হামলা ও বিমান ভূপাতিত হওয়ার ঘটনায় সীমান্তবর্তী লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন। তাদের মধ্যে যুদ্ধাশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমতাবস্থায় তাদের নিরাপদে রাখতে এসব বাঙ্কার তৈরি করছে ভারত।

পুনাচ জেলার ডেপুটি কমিশনার রাহুল যাদব এ তথ্য নিশ্চিত করে রয়টার্সকে বলেন, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সীমান্ত এলাকায় গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীত কাজ করছে। তাই পাকিস্তানের হামলা সত্ত্বেও যেন লোকজন ভীত হয়ে না পড়ে এবং ছোটাছুটি শুরু না করে সে জন্য এসব বাঙ্কার নির্মাণ করা হচ্ছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে এসব বাঙ্কার নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে রাখতে বাঙ্কার তৈরি করছে। ভারতের হামলার পর পাকিস্তান পাল্টা হামলা করলে দুই দেশ থেকেই প্রতিরোধের ঘোষণা আসে। এমন পরিস্থিতিতে ভারত যে কোনো সময় পাকিস্তানের হামলার আশঙ্কা করছে।

এদিকে পাকিস্তানের দৈনিক ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীর থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ নিয়ে তারা একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রসঙ্গত গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় দেশটির আধাসামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে হামলায় অন্তত ৪৪ সেনা নিহত হন। এই আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ। ভারত এ হামলার পেছনে পাকিস্তানের মদদ রয়েছে বলে দাবি করে আসছে।

এই হামলার জেরে গত মঙ্গলবার কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা চালায় ভারতীয় বাহিনী। হামলায় ২০০ থেকে ৩০০ জঙ্গি নিহত হয় বলে দাবি করেছে দেশটি।

এখানেই থেমে নেই, গত বুধবার পাকিস্তান সীমান্তে ভারতীয় দুই যুদ্ধবিমানকে ভূপাতিত করেন পাকিস্তানি সেনারা। জবাবে ভারত পাকিস্তানের দুটি যুদ্ধবিমানকে ভূপাতিত করে।


img

ইসরাইল-মিসর সম্পর্কে ফাটল, রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের হুমকি!

প্রকাশিত :  ১২:০২, ১৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৬, ১৪ মে ২০২৪

ইসরায়েল ও মিসরের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের শুরু ৪৫ বছর আগে। এই সময়ের মধ্যে দুই দেশের সম্পর্ক খুক একটা উষ্ণ না হলেও একটি ন্যূনতম সম্পর্ক বজায় ছিল। তবে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল তৈরি হয়েছে। এমনকি তেল আবিব থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও ভাবছে কায়রো।

সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে মিসরীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন, রাফায় দেশটির অভিযানকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে মতভেদের বিষয়টি প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থায় ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করার কথা ভাবছে মিসর। বিশেষ করে, গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে ইসরাইল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করে দেশটি।

মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আলকাহেরা নিউজ শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাফাতে ইসরাইলের ‘অগ্রহণযোগ্য উত্তেজনা বৃদ্ধির’ কারণে ত্রাণ নিয়ে মিসর তাদের সঙ্গে কাজ করবে না।

একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, গাজায় মানবিক পরিস্থিতির বিপর্যয়ের জন্য শুধুমাত্র ইসরাইলকেই দায়ী করে মিসর।

ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন না করে তা সীমিত করার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিসরীয় কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিসরীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কায়রো ইসরাইল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের বিষয়টিও বিবেচনা করে দেখছে।

তিনি আরও বলেন, তবে যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনী রাফাহ ক্রসিংয়ে (মিসর ও গাজার মধ্যকার সংযোগ পথ) অবস্থান করবে ততক্ষণ পর্যন্ত মিসর একটি ট্রাকও (ত্রাণবাহী) রাফাহে পাঠাবে না।’ তবে রাফাহে ত্রাণের ট্রাক পাঠাতে না পারলে সেটির ফলাফল কী হবে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ও মিসরীয় কর্মকর্তা।

গত সপ্তাহে হঠাৎ করে গাজা ও মিসরের সীমান্তবর্তী রাফা ক্রসিং দখল করে নেয় ইসরাইলি সেনারা। এরপর থেকে সীমান্তটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। সেখান দিয়ে এখন কোনো ধরনের ত্রাণ আসছে না। এর আগে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে ত্রাণ আসার একমাত্র পথ ছিল এই রাফা ক্রসিং। এছাড়া গাজা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মিসর যাওয়ার একমাত্র রাস্তাও ছিল এটি।

রাফা ক্রসিং দখল করার পর শনিবার রাফার মধ্যাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। এরপরই সেখানে পূর্ণমাত্রার হামলা চালায় দখলদার ইসরাইলের সেনারা।