মসজিদের জুতার বাক্স থেকে নবজাতক উদ্ধার

প্রকাশিত :  ১০:০৭, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

 মসজিদের জুতার বাক্স থেকে নবজাতক উদ্ধার

জনমত ডেস্ক: অর্থনীতি ডেস্ক:  হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ শহরের একটি মসজিদের জুতার বাক্স থেকে জীবিত এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে শহরের ওসমানী রোডের বায়তুন নূর জামে মসজিদের বারান্দার জুতার বাক্স থেকে নবজাতককে (ছেলে) উদ্ধার করা হয়। শিশুটি সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরিয়ার।

জানা যায়, সোমবার এশার আযান দিতে গিয়ে মসজিদের বারান্দায় নবজাতকের কান্না শুনতে পান মুয়াজ্জিন সোহেল আহমেদ। এ সময় জুতা রাখার বাক্সে নবজাতক দেখতে পান তিনি। এরপর তিনি মসজিদের ইমামকে বিষয়টি জানান। ইমাম আসার পর মসজিদ কমিটির লোকজনকে খবর দিলে তারা গিয়ে প্রশাসনে খবর দেন। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। 

নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সের চিকিৎসকরা শিশুটিকে এক দিন বয়সী বাচ্চা হতে পারে বলে অনুমান করেছেন।

মুয়াজ্জিন সোহেল আহমেদ বলেন, এশার আযান দেওয়ার জন্য অজু করতে গিয়েছিলাম। তখনই একটি শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পাই। প্রথমে মনে হয়েছে বাইরে কোথাও হয়তো কারও শিশু কান্না করছে। মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করার পরই কান্নার শব্দ আরও বাড়ে। শব্দটি আসছিল মসজিদের ছাদ থেকে। তারপর মনের মধ্যে একটু ভয় কাজ করে। সব লাইট জ্বালিয়ে খেয়াল করলাম বারান্দায় জুতা রাখার বাক্স থেকে শব্দ আসছে। কাছে গিয়ে দেখি নবজাতক শিশু। তবে শিশুটিকে রেখে যেতে কাউকে দেখিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরিয়ার বলেন, শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে শিশু কল্যাণ কমিটির দায়িত্বে রাখা হয়েছে। অনেকে তাকে নিতে চাচ্ছে। মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কাকে দেওয়া যায়। এছাড়া শিশুটির আসল পরিচয় জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।

সিলেটের খবর এর আরও খবর

সিলেটে র‍্যাবের অভিযানে ১২ ছিনতাইকারী গ্রেফতার

প্রকাশিত :  ০৫:০০, ২৮ মার্চ ২০২৪

সিলেটে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে সক্রিয় থাকা ছিনতাই চক্রের ১২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৯)।

বুধবার (২৭ মার্চ) সিলেট মহানগরীর বন্দর বাজার, চৌহাট্টা পয়েন্ট, মহাজনপট্টি, রেলস্টেশন ও শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

সন্ধ্যায় র‌্যাব-৯ এর সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন অধিনায়ক উইং কমান্ডার মো. মোমিনুল হক।

সংবাদ সম্মেলনে উইং কমান্ডার মো. মুমিনুল হক জানান, পবিত্র রমজান এবং আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজ, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের তৎপরতা বেপরোয়াভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা নিরীহ মানুষকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা, ব্যাগ, মোবাইল, স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলছে। এরই প্রেক্ষিতে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনতে র‍্যাব-৯, সিলেট গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রকে শনাক্ত করে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-৯ সিলেটের একাধিক দল বুধবার সিলেট মহানগরীর বন্দর বাজার, চৌহাট্টা পয়েন্ট, মহাজনপট্টি, রেলস্টেশন ও শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ ছিনতাই চক্রের ১২ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতাররা সিলেট শহরের বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় একাধিক সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র। এসব ছিনতাইকারী সাধারণ পথচারী, রিকশা আরোহী, সিএনজি আরোহী, যানজটে থাকা যানবাহনের যাত্রীদের টার্গেট করে তাদের সুবিধাজনক স্থান ও সময়ে ছিনতাই কার্যক্রম পরিচালনা করে। সিএনজিতে যাত্রী বেশে অবস্থান নিয়ে সুবিধাজনক স্থানে সিএনজি থামিয়ে সিএনজিতে থাকা অন্যান্য যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল, মানিব্যাগ কিংবা পার্স ছিনিয়ে নেয়।