img

ট্রাম্পের সাবেক সহযোগীর ৪ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত :  ০৬:২০, ০৮ মার্চ ২০১৯

ট্রাম্পের সাবেক সহযোগীর ৪ বছরের কারাদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার শিবিরের সাবেক ব্যবস্থাপক পল ম্যানাফোর্টকে প্রায় চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। একই সঙ্গে ম্যানাফোর্টকে ৫০ হাজার ডলার জরিমানাও করা হয়েছে।

কর ফাঁকি ও ব্যাংক জালিয়াতির মামলায় তাকে এ সাজা দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের আলেকজান্দ্রিয়ার আদালত শুনানি শেষে তাঁকে ৪৭ মাসের কারাদণ্ড দেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অবৈধভাবে লবি করার অভিযোগে ম্যানাফোর্টের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলার রায় হওয়ার কথা রয়েছে আগামী সপ্তাহে।

আদালতে ৬৯ বছর বয়সী ম্যানাফোর্ট শাস্তি না দেওয়ার অনুরোধ করলেও তাঁর কর্মের জন্য কোনো অনুতাপ প্রকাশ করেননি।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে ম্যানাফোর্ট বলেন, গত দুই বছর ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়। আমি অপমানিত ও লজ্জিত হয়েছি। তিনি পেশাগত ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানান।

ইউক্রেইনে রাজনৈতিক পরামর্শক হিসেবে কাজ করে পাওয়া কয়েক কোটি ডলারের তথ্য গোপন করার ঘটনায় ভার্জিনিয়ার এই আদালত গত অগাস্ট মাসে কর ফাঁকি, ব্যাংক জালিয়াতি এবং বিদেশি ব্যাংক হিসাবের তথ্য দিতে ব্যর্থ হওয়ার আট দফা অভিযোগে ম্যানাফোর্টকে দোষী সাব্যস্ত করে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী করতে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে তদন্তের সূত্র ধরে ম্যানাফোর্টের অপরাধের তথ্যগুলো বেরিয়ে আসে।

৬৯ বছর বয়সী ম্যানাফোর্ট ছিলেন ট্রাম্পের কাছের মানুষদের একজন। পরে দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার সম্পৃক্ততা নিয়ে বিশেষ কাউন্সেল রবার্ট মুলারের ২২ মাসের তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে, যা ট্রাম্পের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েক মাস আগে তিনি ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।

img

ইসরাইল-মিসর সম্পর্কে ফাটল, রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের হুমকি!

প্রকাশিত :  ১২:০২, ১৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৬, ১৪ মে ২০২৪

ইসরায়েল ও মিসরের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের শুরু ৪৫ বছর আগে। এই সময়ের মধ্যে দুই দেশের সম্পর্ক খুক একটা উষ্ণ না হলেও একটি ন্যূনতম সম্পর্ক বজায় ছিল। তবে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল তৈরি হয়েছে। এমনকি তেল আবিব থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও ভাবছে কায়রো।

সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে মিসরীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন, রাফায় দেশটির অভিযানকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে মতভেদের বিষয়টি প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থায় ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করার কথা ভাবছে মিসর। বিশেষ করে, গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে ইসরাইল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করে দেশটি।

মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আলকাহেরা নিউজ শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাফাতে ইসরাইলের ‘অগ্রহণযোগ্য উত্তেজনা বৃদ্ধির’ কারণে ত্রাণ নিয়ে মিসর তাদের সঙ্গে কাজ করবে না।

একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, গাজায় মানবিক পরিস্থিতির বিপর্যয়ের জন্য শুধুমাত্র ইসরাইলকেই দায়ী করে মিসর।

ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন না করে তা সীমিত করার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিসরীয় কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিসরীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কায়রো ইসরাইল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের বিষয়টিও বিবেচনা করে দেখছে।

তিনি আরও বলেন, তবে যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনী রাফাহ ক্রসিংয়ে (মিসর ও গাজার মধ্যকার সংযোগ পথ) অবস্থান করবে ততক্ষণ পর্যন্ত মিসর একটি ট্রাকও (ত্রাণবাহী) রাফাহে পাঠাবে না।’ তবে রাফাহে ত্রাণের ট্রাক পাঠাতে না পারলে সেটির ফলাফল কী হবে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ও মিসরীয় কর্মকর্তা।

গত সপ্তাহে হঠাৎ করে গাজা ও মিসরের সীমান্তবর্তী রাফা ক্রসিং দখল করে নেয় ইসরাইলি সেনারা। এরপর থেকে সীমান্তটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। সেখান দিয়ে এখন কোনো ধরনের ত্রাণ আসছে না। এর আগে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে ত্রাণ আসার একমাত্র পথ ছিল এই রাফা ক্রসিং। এছাড়া গাজা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মিসর যাওয়ার একমাত্র রাস্তাও ছিল এটি।

রাফা ক্রসিং দখল করার পর শনিবার রাফার মধ্যাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। এরপরই সেখানে পূর্ণমাত্রার হামলা চালায় দখলদার ইসরাইলের সেনারা।