img

রোহিঙ্গা নারী রাজিয়া পেলেন আন্তর্জাতিক সম্মাননা

প্রকাশিত :  ০৬:০১, ০৯ মার্চ ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:১৩, ০৯ মার্চ ২০১৯

রোহিঙ্গা নারী রাজিয়া পেলেন আন্তর্জাতিক সম্মাননা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। রোহিঙ্গা নারী রাজিয়া সুলতানা যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল ওমেন অব কারেজ (সাহসী নারী) অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন । তার জন্মভূমি মিয়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করার জন্য এই অভিজাত পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে তাকে।

এ বছর এ পুরস্কারের জন্য রাজিয়াসহ বিশ্বের ১০ জন নারীকে বাছাই করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খবর আনাদোলু নিউজ ও দ্য পেনিনসুলার।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত প্রেস রিলিজে জানা গেছে, রাজিয়া সুলতানাসহ পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্যরা হচ্ছেন মিয়ানমারের নাও কনিয়া পাও, জিবুতির মোমিনা হুসেইন দারার, মিসরের মামা ম্যাগি, জর্ডানের কর্নেল খালিদা খালাফ হান্না, আয়ারল্যান্ডের সিস্টার ওরলা ট্রেসি, মন্টেনিগ্রোর ওলিভেরা ল্যাকিচ, পেরুর ডি মারিয়া ভেগা জাপাতা, শ্রীলংকার মারিনি দি লিভেরা ও তানজানিয়ার আন্না আলোয়স হেঙ্গা।

রাজিয়া সুলতানা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ১৯৭৩ সালে জাতিগত রোহিঙ্গা পিতামাতার ঔরসে মিয়ানমারের মংডুতে জন্মগ্রহণ করেন রাজিয়া সুলতানা। মিয়ানমারে নিজের সম্প্রদায় ও সব মানুষের জন্য মানবাধিকারের সেবায় তিনি নিজের ক্যারিয়ারকে উৎসর্গ করেছেন।

পুরস্কারপ্রাপ্তি সম্পর্কে রাজিয়া সুলতানা বলেন, এটি শুধু আমি নই, আমার পুরো সম্প্রদায়ের জন্য একটি বিরাট অর্জন। কারণ আমরা এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন লড়াই করে আসা রোহিঙ্গা পরিচয়েই এ পুরস্কার পেতে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আমরা নিরাপত্তা ও পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিয়ে নিজ দেশে ফিরতে চাই। আমরা উদ্বাস্তু শিবিরে বসবাস করতে চাই না।

আইনজীবী, শিক্ষিকা ও মানবাধিকার বিষয়ক পরামর্শক রাজিয়া রোহিঙ্গাদের জন্য, বিশেষ করে নারী ও কন্যাশিশুদের জন্য ২০১৪ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে মানসিক আঘাত, গণধর্ষণ, রোহিঙ্গা নারী ও বালিকাদের পাচার থেকে রক্ষা করা নিয়ে কাজ করছেন রাজিয়া।

img

ইসরাইল-মিসর সম্পর্কে ফাটল, রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের হুমকি!

প্রকাশিত :  ১২:০২, ১৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৬, ১৪ মে ২০২৪

ইসরায়েল ও মিসরের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের শুরু ৪৫ বছর আগে। এই সময়ের মধ্যে দুই দেশের সম্পর্ক খুক একটা উষ্ণ না হলেও একটি ন্যূনতম সম্পর্ক বজায় ছিল। তবে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল তৈরি হয়েছে। এমনকি তেল আবিব থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও ভাবছে কায়রো।

সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে মিসরীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন, রাফায় দেশটির অভিযানকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে মতভেদের বিষয়টি প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থায় ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করার কথা ভাবছে মিসর। বিশেষ করে, গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে ইসরাইল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করে দেশটি।

মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আলকাহেরা নিউজ শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাফাতে ইসরাইলের ‘অগ্রহণযোগ্য উত্তেজনা বৃদ্ধির’ কারণে ত্রাণ নিয়ে মিসর তাদের সঙ্গে কাজ করবে না।

একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, গাজায় মানবিক পরিস্থিতির বিপর্যয়ের জন্য শুধুমাত্র ইসরাইলকেই দায়ী করে মিসর।

ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন না করে তা সীমিত করার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিসরীয় কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিসরীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কায়রো ইসরাইল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের বিষয়টিও বিবেচনা করে দেখছে।

তিনি আরও বলেন, তবে যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনী রাফাহ ক্রসিংয়ে (মিসর ও গাজার মধ্যকার সংযোগ পথ) অবস্থান করবে ততক্ষণ পর্যন্ত মিসর একটি ট্রাকও (ত্রাণবাহী) রাফাহে পাঠাবে না।’ তবে রাফাহে ত্রাণের ট্রাক পাঠাতে না পারলে সেটির ফলাফল কী হবে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ও মিসরীয় কর্মকর্তা।

গত সপ্তাহে হঠাৎ করে গাজা ও মিসরের সীমান্তবর্তী রাফা ক্রসিং দখল করে নেয় ইসরাইলি সেনারা। এরপর থেকে সীমান্তটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। সেখান দিয়ে এখন কোনো ধরনের ত্রাণ আসছে না। এর আগে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে ত্রাণ আসার একমাত্র পথ ছিল এই রাফা ক্রসিং। এছাড়া গাজা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মিসর যাওয়ার একমাত্র রাস্তাও ছিল এটি।

রাফা ক্রসিং দখল করার পর শনিবার রাফার মধ্যাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। এরপরই সেখানে পূর্ণমাত্রার হামলা চালায় দখলদার ইসরাইলের সেনারা।