img

বাড়ছে সাইবার অপরাধ, টার্গেট তরুণরা

প্রকাশিত :  ০৭:৫৭, ০৫ জানুয়ারী ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:৫৬, ০৫ জানুয়ারী ২০২৩

বাড়ছে সাইবার অপরাধ, টার্গেট তরুণরা

দেশে পর্ণগ্রাফি, অপপ্রচার, হুমকি, উগ্রবাদসহ নানা ধরনের সাইবার অপরাধ বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রতি ১শ’ জনের মধ্যে ৮১ জনই কোনো না কোনোভাবে শিকার হচ্ছেন সাইবার অপরাধের। এদের মধ্যে আইনি সহায়তা পাচ্ছেন না ৫৫ শতাংশ ভুক্তভোগী।

সাইবার অপরাধের শীর্ষে সামাজিক মাধ্যম, অনলাইন অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, বুলিং,পর্ণগ্রাফিসহ ১৩ ধরণের অপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে- যা দিন দিন বিষফোঁড়া হয়ে উঠছে। 

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে তরুণরাই যেখানে অগ্রগামী, অপরাধীরা টার্গেট করছে তাদেরকেই। বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে, গেল বছরের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে এইসব হয়রানী ও অপরাধ। 

১৮ থেকে ৩০ বছরের বয়সীদের সঙ্গে গত বছরের তুলনায় অপরাধ সংঘটিত হয়েছে ৫ শতাংশ বেশি। সমস্ত অপরাধের চিত্রে পুরুষ ভুক্তভোগী ৪৩ দশমিক ২২ শতাংশ হলেও নারী ভুক্তভোগী ৫৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আগে এ সংক্রান্ত বিষয় অবগত না হওয়া এবং সামাজিক মাধ্যমসহ ইন্টারনেট ব্যবহারে শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব রয়েছে ব্যবহারকারীদের। 

সাইবার ক্রাইম অ্যাক্টিভিস্ট জেনিফার আলম বলেন, “আমাকে জানতে হবে অনলাইনে আমি কিভাবে নিরাপদে থাকবো। আপনি যদি কোনো অবস্থায় সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছেন বলে মনে করেন তাহলে প্রথমে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যেতে হবে।”

সাইবার অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দিনে ৪০ থেকে ৪৫টি মামলা হচ্ছে। আর অপরাধ দমনে কাজ করছে পুলিশের ৪টি ইউনিট ও দুটি মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অপরাধ প্রবণতার ধরণ নিয়ে বলছেন এই বিশেষজ্ঞ। 

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তপনকান্তি সরকার বলেন, “সবচেয়ে বেশি সাইবার ক্রাইম হয় আমেরিকায়। তাদেরটা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের। অর্থনীতি যতো বড় হবে তার একটা পার্সেন্টেস এর মধ্যে থাকবে। ডিজিটালের সুবিধাগুলো যদি নিতে হয় আমাদেরকে আরও স্মার্ট হতে হবে। প্রোটেকশন ও সিকিউরিটি কন্ট্রোলগুলো আমাদের জানতে হবে।”

সাইবার সচেতনতা বৃদ্ধি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাইবার পাঠ অন্তর্ভুক্ত, গণমাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করাসহ জাতীয় বাজেটে সংশ্লিষ্ট খাতে বরাদ্দ দেয়ার পরামর্শও আছে বিশেষজ্ঞদের। 

তপনকান্তি সরকার বলেন, “যখন গ্লোবাল ওয়ার্ল্ডে বাস করবেন তখন ধরে নিতে হবে এখানে কিছু মিস অ্যাপেলিং হবে। এগুলোর ভয়ে পিছিয়ে থাকলে হবে না। এগুলো ওভারকাম করে এগিয়ে যেতে হবে। প্রান্তিক জনপথের মানুষকে কিভাবে প্রোটেক করতে পারবো এই ট্রেনিংগুলো দিতে হবে।”

ইউটিউবে অশ্লীল ছবি প্রদর্শন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে উগ্র ও বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য প্রচার করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানো বন্ধ করতেও সরকারকে কঠোর হবার তাগাদা সংশ্লিষ্টদের।  

img

বজ্রপাতের সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সুরক্ষায় যা করবেন

প্রকাশিত :  ১১:৫২, ১৩ মে ২০২৪

কালবৈশাখীর সময় হঠাৎ ঝড়, বজ্রপাত আর বৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক। এসময় বজ্রপাতে টিভি, ফ্রিজ, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার নষ্ট হওয়ার অনেক খবর পাওয়া যায়। তাই এই সময়ে আপনার ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে সতর্ক থাকুন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক বজ্রপাত বা বৃষ্টির সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস কীভাবে সুরক্ষায় রাখবেন।

ঝড়বৃষ্টি বা বজ্রপাতের সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সুরক্ষার উপায়সমূহ—

* আপনার বাড়ির সব ধরনের বৈদ্যুতিক সংযোগের সঙ্গে আর্থিং ব্যবস্থা করুন। সম্ভব হলে বজ্রপাতের সময় মেইন লাইনের সঙ্গে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখুন।

* ফ্রিজ বা এসির সঙ্গে সরাসরি বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকলে বজ্রপাতের সময় তা খুলে রাখাই নিরাপদ। এমনকি এ সময় এসি চালানো থেকেও বিরত থাকুন।

* বজ্রপাতের সময় ফোন ব্যবহার বিপজ্জনক নয়। তবে তা ঘরের মধ্যে। ছাদে বা রাস্তায় খোলা জায়গায় থাকলে ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। বজ্রপাতের সময় ফোন ব্যবহার করলে আপনি বজ্রপাতের শিকার হতে পারেন।

* বজ্রপাতের সময় বা বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর টিভি বন্ধ রাখুন। এই সময় ডিশ বা ইন্টারনেটের সংযোগ খুলে রাখতে পারেন।

* ঝড়বৃষ্টির সময় রাউটার বন্ধ রাখুন। এতে অনেক দিন পর্যন্ত রাউটার ভালো থাকবে। এমনকি এর সঙ্গে সরাসরি কোনো ডিভাইস সংযুক্ত থাকলে সেটিও রক্ষা পাবে।

* বজ্রপাতের সময় ল্যাপটপ, স্মার্টফোন কিংবা যে কোনো ডিভাইস চার্জ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। চার্জারের সঙ্গে লাগানো থাকলে তা খুলে দিন।

* বাড়ির ডেস্কটপ বা কম্পিউটারের সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে তা বন্ধ করে দিন। এমনকি এ সময় ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ চালানো থেকেও বিরত থাকুন। যদিও রাউটারের সঙ্গে ওয়াইফাই সংযোগে থাকা মোবাইল বা ল্যাপটপের ক্ষেত্রে তাদের বজ্রাঘাতে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে বাড়ির বিদ্যুতের সঙ্গে ল্যাপটপ বা রাউটারের সংযোগ থাকলে তা বিছিন্ন করে দিন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাতের সময় ঘরের ভেতরে থাকলে স্মার্টফোন ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু এই সময় ইন্টারনেট বন্ধ রাখাই ভালো। তবে যদি মারাত্মক আকারে বজ্রপাত হয় সে ক্ষেত্রে ফোনটি পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারেন। না হলে স্মার্টফোনটির তো বটেই, যিনি সেটি ব্যবহার করছেন, তারও বিপদ হতে পারে।