দেশে প্রথম দুজনের দেহে মরণোত্তর দানের কিডনি প্রতিস্থাপন

প্রকাশিত :  ০৯:৪৮, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

দেশে প্রথম দুজনের দেহে মরণোত্তর দানের কিডনি প্রতিস্থাপন

দেশে প্রথমবারের মতো মৃত ব্যক্তির দান করা কিডনি অন্য ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪টা পর্যন্ত দুটি কিডনির একটি প্রতিস্থাপন করা হয়।

সারা ইসলাম নামের (২০) এক তরুণীর দান করা কিডনি দুই নারীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ওই তরুণী কর্নিয়াও দান করে গেছেন।

এর মধ্যে একটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এবং অন্যটি প্রতিস্থাপন করা হয় কিডনি ফাউন্ডেশনে। 

প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপনে অস্ত্রোপচারের নেতৃত্ব দেন বিএসএমএমইউর রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগের প্রধান অধ্যাপক হাবিবুর রহমান। 

তিনি জানান, ঢাকার বাসিন্দা সারা ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে মস্তিষ্কে টিউমারসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। তার শিক্ষক মা বলেন, সারা মৃত্যুর আগে তার দেহের সবকিছুই দান করে দিতে বলেছেন। তবে তার কিডনি ও কর্নিয়া নেওয়া হয়েছে। 

হাবিবুর রহমান আরও বলেন, সারা তিন দিন আগে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বিএসএমএমইউতে ভর্তি হন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তাকে ‘ব্রেন ডেথ’ ঘোষণা দেওয়া হয়। 

হাবিবুর রহমান জানান, তার কিডনির সঙ্গে ম্যাচ করতে কয়েকজন কিডনি রোগীর তথ্য মেলানো হয়। এর মধ্যে ৩৪ ও ৩৭ বছর বয়সি দুই নারীর সঙ্গে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মিলে যায়। আত্মীয় না হওয়ায় এর বেশি মেলেনি। বাকিটা ওষুধ প্রয়োগে উপযোগী করা হয়েছে।

বিএসএমএমইউতে কিডনি প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার দলে আরও ছিলেন হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক তৌহিদ মো. সাইফুল হোসাইন, সহযোগী অধ্যাপক ফারুক হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক কার্তিক চন্দ্র ঘোষসহ ১৫ চিকিৎসক। 

তারা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দাতার কাছ থেকে কিডনি নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। অস্ত্রোপচারে সময় লাগে দেড় ঘণ্টা। এরপর কিডনিটিকে প্রতিস্থাপনযোগ্য করতে আধা ঘণ্টা লাগে। কিডনি প্রতিস্থাপনে সময় লাগে আরও দুই ঘণ্টা।

কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের অধ্যাপক একেএম খুরশিদুল আলমের নেতৃত্বে ৩৭ বছর বয়সি নারীর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। মৃত ব্যক্তি বলতে এখানে ‘ব্রেন ডেথ’ ঘোষিত ব্যক্তিদের বোঝানো হয়েছে। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ‘ব্রেন ডেথ’ অনেক রোগী থাকেন। তারা আর বাঁচেন না। তাদের হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুস ফ্লুইডের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে কিছুদিন চালু রাখা যায়।

কোনো ব্যক্তি ‘ব্রেন ডেথ’ ঘোষিত হওয়ার পর কিডনি, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, যকৃৎ বা লিভার, অগ্ন্যাশয় (প্যানক্রিয়াস) ও খাদ্যনালির মতো অঙ্গগুলো দান করলে অন্য ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করা যায়। তবে হৃৎপিণ্ড থেমে গেলেও কর্নিয়া, অস্থি, অস্থিমজ্জা ও চর্ম প্রতিস্থাপন করা যায়। এগুলোকে ক্যাডাভেরিক প্রতিস্থাপন বলা হয়। 

এমন ব্যক্তিদের কিডনি বা অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনে দিকনির্দেশনা, তদারকি ও পরামর্শ দেওয়ার কাজ করে ‘ক্যাডাভেরিক জাতীয় কমিটি’।

বিশ্বের প্রথম সিএনজি-চালিত মোটরসাইকেল আনছে বাজাজ

প্রকাশিত :  ০৪:৫৩, ২৮ মার্চ ২০২৪

এই প্রথম বিশ্বের প্রথম সিএনজি-চালিত মোটরসাইকেল বাজারে আনছে ভারতের বাজাজ অটো। যা বাজারে এলো আলোড়ন তৈরি হবে।  সিএনজি-চালিত মোটরসাইকেল বাজারে আসার খবর অনেক আগে থেকেই শোনা যাচ্ছে। কিন্তু পরিবেশবান্ধব এই বাইক কবে নাগাদ বাজারে আসবে তার দিনক্ষণ জানা যায়নি। এবারে এই মোটর সাইকেল নিয়ে যা জানালো কোম্পানির সিইও।

বাজাজ কোম্পানির সিইও রাজীব সম্প্রতি জানান বিশ্বের প্রথম সিএনজি মোটরসাইকেল লঞ্চ করতে চলেছে তারা।

উচ্চ মাইলেজ সম্পন্ন বাইকের কথা বললে হিরো স্প্লেন্ডর এবং হোন্ডা সাইনের নামই প্রথমে আসে। কম তেল খায় বলে ১০০ সিসির বাইক বেশি কেনেন মধ্যবিত্ত ক্রেতারা। তবে হিরো, টিভিএস এবং হোন্ডাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে শিগগিরই সিএনজি বাইক আনছে বাজাজ অটো। এটি ভারত তথা বিশ্বের প্রথম সিএনজি মোটরসাইকেল হতে চলেছে।

ইতিমধ্যে বাইক নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে ব্যবসায়িক মহলে। আর হবে নাই বা কেন! এতদিন সিএনজি চার চাকা ও তিন চাকা দেখেছে বিশ্ববাসী কিন্তু, সিএনজি বাইক এখনও পর্যন্ত কেউ দেখেনি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই দারুণ প্রত্যাশা লক্ষ্য করা গেছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে বাজাজ সিএনজি বাইকের খবর।

পেট্রোল চালিত বাইকের তুলনায় বেশি মাইলেজ পাওয়া যেতে পারে এই মোটরসাইকেলে। এমনই দাবি করছেন কেউ কেউ। তাছাড়া এই বাইকে পেট্রোলের তুলনায় পরিবেশ দূষণও কম হবে। রাইডার খুব সহজে সুইচ টিপে পেট্রোল থেকে সিএনজি মোডে ট্রান্সফার করতে পারবেন। 

এই মুহূর্তে বাজাজ প্ল্যাটিনা মডেলে সবথেকে বেশি মাইলেজ পাওয়া যায়। প্রতি লিটার জ্বালানিতে ৭০ কিলোমিটার যেতে পারে। তবে সিএনজি বাইক এর থেকে বেশি মাইলেজ দেবে এমনটা মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে হিরো স্প্লেন্ডর, টিভিএস স্পোর্ট এবং হোন্ডা সাইনেও এত মাইলেজ পাওয়া যায় না।

মাইলেজ ভালো হলে তবেই সেই বাইক কেনেন একজন মধ্যবিত্ত ক্রেতা। মাইলেজ যদি খারাপ হয় তাহলে সেই বাইক বেশিদিন বাজারে টিকতে পারে না। এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এতে ১১০ সিসি ইঞ্জিন থাকতে পারে সঙ্গে সিএনজি সিলিন্ডার। যদিও কত ক্যাপাসিটির সিলিন্ডার এবং কীভাবে এটি ব্যবহার করতে হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি সংস্থা।

বাজাজ সিএনজি বাইক শুধু মাইলেজের দিক দিয়ে সেরা হবে না, দামও থাকতে পারে মধ্যবিত্তের নাগালে। ভারতে ১ লাখ রুপি বা তার আশেপাশে থাকতে পারে বাইকের এক্স-শোরুম মূল্য। কোম্পানির সিইও রাজীব বাজাজ জানিয়েছেন, জুনে লঞ্চ করা হবে এই সিএনজি বাইক।

আপনার যদি আগামী কিছুদিনের মধ্যে বাইক কেনার পরিকল্পনা থাকে তাহলে দাঁড়িয়ে যান। জুনে বাইকটি আনুষ্ঠানিক লঞ্চ হওয়ার পর মানুষের কাছে যে কমিউটার বাইক সেগমেন্টে বিকল্প আরও বাড়তে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।