img

আর্থিক সঙ্কটে স্থগিত ইভিএম প্রকল্প : ইসি সচিব

প্রকাশিত :  ১৩:২৯, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

আর্থিক সঙ্কটে স্থগিত ইভিএম প্রকল্প : ইসি সচিব

দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) প্রকল্পটি সরকারের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় আপতত প্রক্রিয়াকরণ না করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি জানান, পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং আর্থিক মন্দার কারণে আপাতত ইভিএম প্রকল্পটি প্রক্রিয়াকরণ হচ্ছে না। আমাদের কাছে যে ইভিএম আছে সেগুলো নিয়ে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

বর্তমান কমিশন আগামী নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

এর মধ্য দিয়ে ১৫০ আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোট হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে ইসির কাছে যা আছে তা দিয়ে ৭০-৮০ আসনে ইভিএমে প্রস্তুতি চলবে।

উল্লেখ্য, ১৫০ আসনের ইভিএমের জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় তারা। যদিও ইভিএমে ভোট গ্রহণ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে। আবার অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে বিপুল অর্থ ব্যয়ে ইভিএম কেনা ও এর পেছনে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন ছিল।


img

মিসড কলেই গায়েব হতে পারে ব্যাংকের টাকা

প্রকাশিত :  ১১:২৪, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

মিসড কলেই গায়েব হতে পারে ব্যাংকের টাকা। নানাধর্মী অনলাইন স্ক্যামারের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। এতদিন আপনি নিশ্চয়ই ওটিপি শেয়ার করে বা কোনো অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে স্ক্যামের কথা শুনেছেন। তবে আজকাল আবার স্ক্যামাররা সিম সোয়্যাপ করেও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খালি করে ফেলছে। গত মাসের শুরুতেই নর্থ দিল্লির একজন আইনজীবী সিম সোয়্যাপ স্ক্যামারের শিকার হয়েছেন। আননোন নম্বর থেকে তিনবার মিসডকল পেতেই তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খালি হয়ে যায়।

তিনি জানান, অপরিচিত একটি ফোন নম্বর থেকে পরপর তিনটি মিসড কল আসে। তবে তিনি রিটার্ন ফোন করেননি। তারপরই ওই নারীর ফোনে একটি মেসেজ আসে। সেখানে লেখা অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। তবে চিন্তার বিষয় হলো তিনি কখনও কারো সঙ্গে ওটিপি বা অন্য কোনো ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করেননি। কিন্তু তারপরেও তার অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা গায়েব।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ধরনের প্রতারণার নাম ‘সিম সোয়্যাপ স্ক্যাম’। ফোনে মিসড কল আসা এবং পরবর্তীতে কোনো একবার সেই কল রিসিভ করলেই এই প্রতারণা কাজ করে। চক্রটি এভাবে আপনার ডুপ্লিকেট সিমের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং তা দিয়ে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে অন্য অনেক কিছুই ব্যবহার করে। কীভাবে এই প্রতারণা চক্র কাজ করে, কীভাবেই বা আপনি সুরক্ষিত থাকবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক করণীয়গুলো-

এই প্রতারণা চক্র কাজ করে যেভাবে ?

এই প্রতারণা চক্র কীভাবে কাজ করে, তা জানতে হলে প্রথমে বুঝতে হবে ওই নারীর সাথে ঠিক কী ঘটেছিল? ওই আইনজীবীর অভিযোগ, গত ১৮ অক্টোবর তার সাথে এ ঘটনা ঘটেছিল। স্থানীয় প্রশাসনকে তিনি জানান, কয়েক লাখ টাকা তার অ্যাকাউন্ট থেকে মুহূর্তের মধ্যেই গায়েব হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, মোট তিনবার একই নম্বর থেকে তার ফোনে কল আসে। পরবর্তীতে তিনি যখন অন্য একটি নম্বর থেকে কল ব্যাক করেন, তখন তাকে বলা হয় এটি কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারির নম্বর। ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তিনি অভিযুক্তের সাথে শুধু তার বাড়ির ঠিকানা শেয়ার করেছিলেন। তিনি মনে করেছিলেন, বন্ধু কোনো উপহার পাঠিয়েছে এবং তিনি পেয়েও গিয়েছেন। তারপরেই তার ব্যাংক থেকে একটি মেসেজ আসে, সেখানে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

প্রশাসনের কর্মকর্তা জানান, তদন্তে ওই নারী ফোন থেকে কিছু অস্বাভাবিক ব্রাউজিং হিস্ট্রি লক্ষ্য করা যায়, যা তিনি কখনও করেননি। তিনি কিছু ফিশিং লিঙ্ক এবং কিছু UPI রেজিস্ট্রেশন টেক্স পেয়েছিলেন বলে ওই অফিসার উল্লেখ করেছেন। এখান থেকে একটি বিষয় বোঝা যায়, সিমটি দিয়ে প্রতারকরা ওই নারীর ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়েই যাবতীয় কাজ করে। সেই তথ্য তারা কারো সহযোগিতায় মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহার করে ডুপ্লিকেট সিমের অ্যাক্সেস পেতে পারে।

সুরক্ষিত থাকবেন যেভাবে-

১. কখনও আপনার ব্যক্তিগত তথ্য কারো সাথে শেয়ার করবেন না।

২.বিভিন্ন ব্যক্তিগত নথি ও তার নম্বর অনলাইনে কোনো প্ল্যাটফর্মেই শেয়ার করবেন না।

৩.আপনার সিম কার্ড কাজ না করলে টেলিকম অপারেটরকে বিষয়টি জানান।

৪. ওটিপি কখনো ব্যাংকের কর্মী, ব্যাংকিং এজেন্টের সাথে ফোনে বা অনলাইনে শেয়ার করবেন না।