img

ট্রান্স ফ্যাটের কারণে বছরে ৫ লাখ মানুষ অকালে মারা যায় : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

প্রকাশিত :  ০৫:৫৮, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩

ট্রান্স ফ্যাটের কারণে বছরে ৫ লাখ মানুষ অকালে মারা যায় : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

জনমত ডেস্ক: ট্রান্স ফ্যাট সম্পূর্ণ বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এটি এমন একটি কৃত্রিম বিষাক্ত রাসায়নিক, যা সাধারণত প্যাকেটজাত খাবার, সেঁকা পণ্য, রান্নার তেল এবং স্প্রেডগুলোতে পাওয়া যায়। প্রতি বছর প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী এই ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড বা হাইড্রোজেনেটেড অয়েল।

ডব্লিউএইচও রিপোর্ট করেছে, ৫ বিলিয়ন অর্থাৎ ৫০০ কোটি মানুষ এই বিষাক্ত পণ্যের সংস্পর্শে আসছে, যা তাদের হৃদরোগ এবং মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়েছে।

জনস্বাস্থ্য বিষয়ক উদ্যোগ, রেজলভ টু সেভ লাইভস-এর সভাপতি এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টম ফ্রাইডেন বলেছেন, বিশ্বব্যাপী খাদ্য থেকে ট্রান্স ফ্যাট নির্মূল করা গেলে, ২০৪০ সালের মধ্যে কার্ডিওভাসকুলার বা হৃদরোগ রোগের হাত থেকে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু রোধ করা সম্ভব।

তিনি বলেন, সরকার ডব্লিউএইচও-র বেস্ট প্র্যাক্টিস নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে এই প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু বন্ধ করতে পারে।

তিনি উল্লেখ করেছেন, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ, বিশেষ করে মেক্সিকো, নাইজেরিয়া এবং শ্রীলঙ্কা, এই জীবন রক্ষাকারী নীতিগুলো পাস করার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। তার মতে, এখন এই কাজ সম্পন্ন করতে দরকার কেবল একটা মৃদু বল প্রয়োগ।

ফ্রাইডেন উল্লেখ করেছেন, কোনো একটি দেশে এ বিষয়ে নীতি প্রয়নন করা হলে, তা অন্য দেশকেও একই পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করতে পারে। আমরা আশা করছি, ভারত, বাংলাদেশ এবং ফিলিপাইনের মতো দেশের নেতারা সমস্ত দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের জন্য উদাহরণ হয়ে উঠবে।

ফ্রাইডেন বলেন, কেবল কয়েকটি বড় কোম্পানি আছে, যারা এই বিষাক্ত পণ্যটি তৈরি করে চলেছে।

তিনি আরো বলেন, এই সংস্থাগুলো নিয়ন্ত্রণে আসবে, যখন তারা দেখবে যে ট্রান্স ফ্যাটের দিন ফুরিয়ে আসছে।

ডব্লিউএইচও রিপোর্ট করেছে, বেশিরভাগ ট্রান্স ফ্যাট নির্মূল বিষয়ক নীতিমালা আমেরিকা এবং ইউরোপসহ কেবল ধনী দেশগুলোতেই প্রয়োগ করা হয়েছে এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে, ক্রমবর্ধমান সংখ্যক তা অনুসরণ করছে। তবে এখন পর্যন্ত নিম্ন আয়ের কোনো দেশ তা করেনি।

img

আওয়ামী লীগের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি

প্রকাশিত :  ১০:৪১, ১৪ মে ২০২৫

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সব ধরনের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ওয়েবসাইট, ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, টেলিগ্রাম এবং এক্স (সাবেক টুইটার)সহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট ‘ব্লক’ করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) চিঠি পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বিটিআরসিকে এই সংক্রান্ত চিঠি দেয় জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি–বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

এর আগে, গত সোমবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এক প্রজ্ঞাপনে আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এসব সংগঠনের যেকোনো সভা-সমাবেশ, মিছিল, প্রচারণা ও গণমাধ্যমে উপস্থিতি নিষিদ্ধ থাকবে।

এ নির্দেশনার আলোকে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধনও স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোকে শিগগিরই অ্যাকাউন্ট ও লিংক ‘ব্লক’ করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হবে।

তবে বিষয়টি সহজ নয় বলে জানিয়েছেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, \'সরকার চাইলে ওয়েবসাইট ব্লক করতে পারে, তবে ফেসবুক বা ইউটিউবের কনটেন্ট সরানো বা অ্যাকাউন্ট বন্ধের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ সরকারের নেই। এসবের জন্য মেটা, গুগল বা সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মগুলোকে অনুরোধ করা হয়। তারা নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী যাচাই করে পদক্ষেপ নেয়।\'

মেটার সর্বশেষ স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে ২ হাজার ৯৪০টি কনটেন্টের অ্যাক্সেস সীমিত করেছে তারা।

অন্যদিকে গুগলের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো ৪৯০টি অনুরোধে মোট ৫ হাজার ৮২৭টি কনটেন্ট সরানোর কথা বলা হয়। তবে বছরের প্রথমার্ধে গুগল ৬৮.২ শতাংশ এবং দ্বিতীয়ার্ধে ৪৫.৮ শতাংশ অনুরোধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।