img

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল নেতা-নেত্রীর যে ছবি ভাইরাল

প্রকাশিত :  ০৬:০১, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল নেতা-নেত্রীর যে ছবি ভাইরাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের পা টিপে দিচ্ছেন দলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রুমা রায় পাল

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ‘তৃণমূল’ বিধায়ক অসিত মজুমদারের একটি ছবি, যা নিয়ে শাসক দলটিকে তীব্র কটাক্ষ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে তীব্র সমালোচনা ও ক্ষোভ।

ছবিতে দেখা যায়, দলীয় কর্মীর বাড়িতে বিছানায় হেলান দিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। তার পা টিপে দিচ্ছেন দলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রুমা রায় পাল।

জানা গেছে, গত ২০ জানুয়ারি চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সুরক্ষা কবজ কর্মসূচি করেন তারই বিধানসভার দেবানন্দপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। সারাদিনের কাজ শেষে এলাকার দলীয় সদস্য পীযূষ ধরের বাড়িতে রাতও কাটান। বাড়ির বিছানায় হেলান দিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার সময় রুমা রায় পাল বিধায়কের পা টিপে দেন।

বিধায়কের পা টিপে দেওয়ার সেই ছবি রুমা পাল নিজেই তার ফেসবুক প্রোফাইলে আপলোড করে লেখেন, “no caption, শুধু বলি আমার গুরু, আমার ভগবান, যার সেবা করে আমি ধন্য।”

এ ঘটনায় বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক সুরেশ সাউ কটাক্ষ করে বলেন, “বিধায়কের পদসেবা করলে তবেই পদ এবং ভোটের টিকিট পাওয়া যায়।”

যদিও ঘটনা প্রসঙ্গে বিধায়ক অসিতের সাফাই, তার পায়ে অস্ত্রোপচার হয়েছে, সেলাই পড়েছে ১০৮টি। সেই অবস্থায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে গিয়ে প্রচণ্ড পা ব্যথা হয় তার। অসিত বলেন, “দলের কর্মী হিসেবে নয়, একজন মেয়ে, একজন বোন হিসেবে পা টিপে দিয়েছেন রুমা। এতে অন্যায় কিছু নেই। বিজেপির আহাম্মকরা কোনও শিক্ষা পায়নি তাই এসব বলছে।” সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে যাচ্ছে ৪৩ দেশ

প্রকাশিত :  ০৮:০৬, ১৫ মার্চ ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সারাবিশ্বে হৈচৈ ফেলে দিচ্ছেন। এবার সেই ধারাবাহিকতায়  ৪৩টি দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ওপর নানা মাত্রায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।

জানা গেছে, তিনধাপের নিষেধাজ্ঞার নিয়মাবলী তৈরি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। 

শনিবার (১৫ মার্চ) নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। 

প্রতিবেদনে এই পরিকল্পনা নিয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা কর্মকর্তাদের বরাতে জানানো  হয়, এবারের নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে আরোপিত বিধিনিষেধের চেয়েও ব্যাপক হতে পারে। 

অবশ্য, রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার অধীনে পড়তে যাচ্ছে ৪১টি দেশ। সংবাদ সংস্থাটি তাদের হাতে আসা অভ্যন্তরীণ এক মেমোর বরাতে এই সংবাদ প্রকাশ করেছে।

এই দেশগুলোকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ভাগের দেশগুলোর ওপর সম্পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, দ্বিতীয় ভাগের দেশগুলোর ওপর নতুন ভিসা দেওয়া বন্ধ ও তৃতীয় ধাপের দেশগুলোকে ৬০ দিনের সময় দেওয়া হবে ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্বেগ দূর করতে।

রয়টার্সের তথ্য মতে, সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছে আফগানিস্তান, ইরান, সিরিয়া, কিউবা ও উত্তর কোরিয়া।

তবে, নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, এই পাঁচ দেশ ছাড়াও সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে ভুটান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ভেনিজুয়েলা ও ইয়েমেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, দ্বিতীয় ভাগে বা আংশিক নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকা দেশগুলো হলো—ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাওস, মিয়ানমার ও দক্ষিণ সুদান। এই ভাগের দেশগুলোর ক্ষেত্রে ভ্রমণ ও শিক্ষার্থী ভিসার পাশাপাশি অন্যান্য অভিবাসী ভিসার ওপরও নিষেধাজ্ঞা থাকবে। তবে কিছু ব্যতিক্রমও থাকবে।

নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, এই ভাগে আরও থাকছে বেলারুশ, পাকিস্তান, রাশিয়া, সিয়েরা লিওন ও তুর্কমিনিস্থান।

তৃতীয় ভাগে রয়টার্সের তালিকায় রয়েছে ২৬টি দেশ এবং নিউইয়র্ক টাইমসের তালিকায় রয়েছে ২২টি দেশ। এসব দেশের নাগরিকদের মার্কিন ভিসা আংশিকভাবে স্থগিত করা হতে পারে। তবে দেশগুলো যদি ৬০ দিনের মধ্যে ভিসা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার ঘাটতি দূর করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়, তাহলে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করা হবে।

এক মার্কিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এই তালিকা পরিবর্তন হতে পারে। এটি এখনো মার্কিন প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এর জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সম্মতিও প্রয়োজন।

তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।

উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ২০১৭ সালে সাতটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। কয়েকবার সংশোধন করার পর ২০১৮ সালে সেটি দেশটির সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন পায়। দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর পরপরই তিনি কঠোর অভিবাসন নীতি বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন।