img

কমলগঞ্জে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

প্রকাশিত :  ১২:০৯, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩

 কমলগঞ্জে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আদমপুর এলাকায় ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের পিটে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত যুবক বিল্লাল হোসেন (২৬) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) ভোর পৌনে ৬টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। সে উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের  উত্তরভাগ গ্রামের মৃত হামিদ মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব নিয়ে গত ২২ জানুয়ারি বিকেলে আদমপুর বাজারে শাহিনের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সামনে বিল্লালের সাথে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব নিয়ে একই গ্রামের বসই মিয়ার পুত্র শাহীন এর কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত শাহীন ছুরি দিয়ে বিল্লালের বুকে ও পিটে ছুরিকাঘাত করে। এসময় তাকে বাঁচাতে বিল্লালের বড় ভাই মন্নান মিয়া (৪১) এগিয়ে গেলে তার উপরও হামলা চালায় শাহীন।

পরে এলাকাবাসী ছুরিসহ শাহীনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। গুরুতর আহত হওয়া বিল্লাল ও তার বড় ভাই মন্নানকে উদ্ধার করে প্রথমে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল ও পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর পৌনে ৬টায় বিল্লাল মারা যায়।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, তারা সকলেই আদম ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা মধ্যপ্রাচ্যে লোকজন পাঠায়, বিশেষ করে মহিলা পাঠানোর বিষয়ে তারা জড়িত। কয়েকদিন থেকে টাকার ভাগাভাগি নিয়ে শাহিনের সাথে মন্নান ও বিল্লালের মনোমালিন্য চলছিল। ঘটনার দিন শাহিনের কাছে বিল্লাল ও মান্নান দুই ভাই টাকা চাইতে আসলে কথা কাটাকাটির জের ধরে শাহিন দুই ভাইকে ছুরিকাঘাত করে।

আদমপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোস্তফা মিয়া জানান, গত কয়েকদিন থেকে তাদের মধ্যে লেনদেন নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল। বিষয়টি তিনি সমাধান করার কথা বলে রাখলেও তারা না মেনে ঝগড়ায় জড়িত হয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে।

কমলগঞ্জ থানার এসআই মহাদেব বাছার বলেন, এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। ছুরিসহ আটক হওয়া শাহীনকে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে।

কমলগঞ্জ থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ছুরিকাঘাত হওয়া বিল্লালের জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামী বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।


সিলেটের খবর এর আরও খবর

img

হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ১০

প্রকাশিত :  ১৫:১৮, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

হবিগঞ্জে হারুন আহমেদ হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে আসামিদের এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক মো. আজিজুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।  

মোট ৪৭ আসামির মধ্যে সাজার আদেশপ্রাপ্ত একজন পলাতক। সাজাপ্রাপ্ত বাকি ১৬ জনসহ ৩৮ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলা চলাকালে মারা গেছেন আটজন। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বাকি আসামিরা খালাস পেয়েছেন।   

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হুরগাঁও গ্রামের রফিক মিয়া, আব্বাস উদ্দিন, জাকির হোসেন, ফজল মিয়া, রুহুল আমিন মিলন, জালাল মিয়া ও কুতুব উদ্দিন।

 যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-জজ মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া, ইছাক মিয়া, জিয়াউর রহমান, কালাম মিয়া, কুতুব উদ্দিন, আব্দুল মতলিব, মিজাজ মিয়া, আয়াত আলী ও সায়েদ আলী। তাদের মধ্যে আয়াত আলী পলাতক।

বিকেলে সাড়ে ৫টায় হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

তিনি জানান, পূর্ব বিরোধের জেরে ২০০৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার হুরগাঁও গ্রামে সামাজিক বিচারক ও এলাকার মুরুব্বি হারুণ মিয়াকে রাস্তায় পথরোধ করে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত হারুন মিয়ার ভাই সুমন আহমেদ ৪৭ জনের নামে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মঙ্গলবার এ রায় দেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় আদালতপাড়ায় সহস্রাধিক মানুষের ভিড় ছিল। পরে কঠোর নিরাপত্তায় আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়।