img

সরকারকে ভারাক্রান্ত হয়ে চলে যেতে হবে : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত :  ১২:২৩, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩

সরকারকে ভারাক্রান্ত হয়ে চলে যেতে হবে : মির্জা ফখরুল

জনমত ডেস্ক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই পদযাত্রার মধ্য দিয়ে সরকারকে জানিয়ে দিতে চাই- আর কাল বিলম্ব না করে পদত্যাগ করুন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন, নতুন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণকে তার ভোটের অধিকার প্রয়োগ করার ক্ষমতা দিন। অন্যথায় আপনাদের (সরকার) ভারাক্রান্ত হয়ে চলে যেতে হবে। পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না।’

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা ২টায় রাজধানীর বাড্ডায় সুবাস্তু মার্কেটের সামনের সড়কে পদযাত্রা কর্মসূচির আগে দেয়া বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ১০ দফার দাবিতে রাজধানীতে চার দিনের পদযাত্রার আজ প্রথম দিনের কর্মসূচি রাজধানীর উত্তর বাড্ডা সুবাস্তু টাওয়ার থেকে দুপুর ২টা ৩২ মিনিটে শুরু হয়েছে। মালিবাগের আবুল হোটেল পর্যন্ত গিয়ে শেষ হওয়ার কথা।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঢাকার এই নীরব পদযাত্রার মধ্যদিয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে এই দানবীয় সরকারকে চলে যেতে বাধ্য করব।’

তিনি বলেন, ‘শ্রমিক ভাইয়েরা এখন জীবনযাপন করতে পারছে না। তারা চাল, ডাল, তেল, লবণ কিনতে পারছেন না। আজকে কথা বলতে গেলেই গ্রেফতার, প্রতিবাদ করতে গেলে মামলা। মিথ্যে মামলা, গায়েবি মামলা দিয়ে সমস্ত বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের আটক করে রাখা হয়েছে। সমগ্র বাংলাদেশকে এরা একটি কারাগারে পরিণত করেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের ভোটের অধিকার নেই। সেই ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদের কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া, যিনি মানুষের অধিকারের জন্য সারা জীবন কথা বলেছেন, এখনো তিনি গৃহবন্দী হয়ে রয়েছেন, তাকে মুক্ত করতে হবে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মিথ্যে মামলায় বিদেশে নির্বাসিত হয়ে রয়েছেন, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যে মিথ্যে মামলা রয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে, যারা কারা ঘরে রয়েছেন তাদের মুক্ত করতে হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য আমরা বলেছি, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনোদিন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। সেজন্য এই হাসিনা সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে একটি নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে।’

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হকের পরিচালনায় এতে আরো বক্তব্য দেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সপু, তাবিথ আউয়াল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নাসহ দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছিলেন।

কর্মসূচির মধ্যে আরো রয়েছে- ৩০ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থেকে শ্যামপুর এবং ১ ফেব্রুয়ারি মুগদা থেকে মালিবাগে পদযাত্রা করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। এ ছাড়া ৩১ জানুয়ারি গাবতলী থেকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।


img

এক বন্ধুকে খুশি করতে অন্যের বিরাগভাজন হতে পারি না : সেনাপ্রধান

প্রকাশিত :  ১৪:৪৮, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:০৫, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এক বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) আয়োজিত প্রতিরক্ষা কূটনীতিবিষয়ক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। 

এ সময় সেনাপ্রধান বলেছেন, মিয়ানমারের নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। কিন্তু আপনারা জানেন, মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা নিজেদের ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়ার মতো। কারণ, সব দেশই আমাদের বন্ধু। কাজেই একটি বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না। এই বাস্তবতা আমাদের বিবেচনায় রাখতে হয়।

তিনি আরও বলেন, দেশের স্বার্থ ও কৌশলের জন্য সামরিক কৌশল দরকার এবং এটির মাধ্যমে বিভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের অবস্থান ঠিক করি। বিচ্ছিন্নভাবে এটি অর্জন করার সুযোগ নেই। মাঝেমধ্যে আমাদের তাই ভাবনা আসে, কে নেতৃত্ব দেবে বা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কার হাতে থাকবে। এটি কখনো কখনো সমস্যার তৈরি করে।

এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রিমিয়াম টিম বলে মনে করা হয়। জাতিসংঘের যেকোনো শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ এখন আলাদা সম্মানের জায়গা দখল করে আছে। 

শান্তিরক্ষা মিশনে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে যখন মধ্য আফ্রিকায় মিশনে গেলাম, তার এক মাস পর অর্থাৎ অক্টোবরে বড় রকমের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিলাম। শুধু আমার গাড়ি বুলেট প্রুফ হওয়ার কারণে সেদিন জানে বেঁচে ফিরতে পেরেছি। সেদিন আমার আশেপাশের অনেক সৈন্য আহত হয়েছিল। এভাবেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জীবন বাজি রেখে শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করে দেশের জন্য সুনাম কুড়িয়ে এনেছে।

সেনাপ্রধান বলেন, অনেক বিষয় আছে, যেটি আমরা শুরু করেছিলাম কিন্তু শেষ করতে পারিনি। কারণ, পরবর্তীতে সেটি আমাদের হাতে থাকেনি। যখনই আমি ব্যবসা খাতের জন্য একটি সম্ভাবনা খুঁজে বের করলাম, সেটি পরবর্তীতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চলে যায়। কাজেই এখানে যে প্রস্তাব এসেছে, সেটি আমি সমর্থন করি এবং মনে করি, একটি সংস্থা দরকার, যেটি সমন্বিত উদ্যোগ নিশ্চিত করবে যার মাধ্যমে যেটি অর্জন করা হয়েছে, সেটি হারিয়ে যাবে না এবং এর ভবিষ্যৎ কার্যক্রম ঠিক করবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসের চেয়ারম্যান এ এফ এম গাওসোল আযম সরকার এবং স্বাগত বক্তব্য দেন বিস মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবু বকর সিদ্দিক খান। সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।