img

ফতুল্লায় ছেলের হাত-পা বেঁধে বাবাকে খুন, ২০ লাখ টাকা ডাকাতি

প্রকাশিত :  ০৭:১৯, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ফতুল্লায় ছেলের হাত-পা বেঁধে বাবাকে খুন, ২০ লাখ টাকা ডাকাতি

জনমত ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ছেলের হাত-পা বেঁধে আব্দুল হালিম (৭২) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে তার ঘর থেকে ২০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ডাকাতি করেছে দুর্বৃত্তরা।

মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকে ২টার মধ্যে ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের মাওলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আব্দুল হালিম মাওলাবাজার এলাকার মৃত মহব্বত আলীর ছেলে।

বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিহতের ছেলে হাফেজ মো: মাসুদ জানান, পরিবারের লোকজন মঙ্গলবার আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে যান। রাতে তার বাবা নিজ রুমে ও সে তার রুমে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত প্রায় ১১টার সময় ঘুমন্ত অবস্থায় তিনজন লোক তার হাত, পা ও চোখ বেঁধে মারধর করে। তার বাবার রুমে কয়জন ছিল তার জানা নেই। তবে দুর্বৃত্তরা রাত ২টায় যাওয়ার সময় জমি বিক্রির ২০ লাখের বেশি টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। দুর্বৃত্তরা কিভাবে রুমে প্রবেশ করেছে তা বলতে পারেন না মাসুদ।

ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার এসআই হুমায়ুন কবির জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর বুঝা যাবে মৃত্যুর কারণ। তবে যে ঘরে ঘটনা ঘটেছে ওই ঘরে বাইর থেকে ভেতরে প্রবেশ করার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। ঘরটিতে চারটি সিসি টিভি ক্যামেরা রয়েছে। তবে ক্যামেরার মেশিন থেকে হার্ড ডিক্স খুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

নিহতের ছোট মেয়ে নুরুননেছা জানান, রাত আড়াইটার দিকে তাদের ভাড়াটিয়ার মেয়ে তাকে ফোন করে জানায় যে তাদের বাসায় ডাকাতি হয়েছে। তার ভাইকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে টাকা-স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে এবং তার বাবা কোনো কথা বলছে না। সংবাদ পাওয়ার পরপর তিনি ধর্মগঞ্জস্থ বাসায় ছুটে আসেন।

তিনি আরো জানান, বাসায় ত্রিশ লাখ টাকা ছিল। ওই টাকা নিয়ে গেছে। বাড়ির কাজ করার জন্য ব্যাংক থেকে মাস খানেক আগে এই টাকা উত্তোলন করা হয়েছিল বলে তিনি জানান।

পাশের ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া মাহিনুর বেগম জানান, তার স্বামী কাঁচামাল ব্যবসায়ী। প্রতিরাতে ২টার দিকে তিনি কাঁচামাল সংগ্রহে বাসা থেকে বের হন। রাত ২টার দিকে তার ঘুম ভাঙলে তিনি বাড়িওয়ালার ঘরের দরজায় ঠাসঠাস শব্দ শুনতে পান এবং গোঙ্গানীর শব্দ শুনতে পেয়ে তার স্বামীকে ঘুম থেকে ডেকে তুলেন। তখন তিনি দরজা খুলে দেখতে পান বাড়িওয়ালার ফ্ল্যাটের প্রধান ফটক খোলা। তিনি ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পান বাইরে রুমের ভেতর প্রবেশ করার দুটি দরজা বাইরে থেকে আটকানো। তখন তিনি বাইরের সিটকিনি খুলে দেখতে পান গামছা দিয়ে বাড়িওয়ালার ছেলে হাফেজ মাসুদের হাত-পা বাঁধা এবং অপর একটি কাপড়ের টুকরো দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে রয়েছে। তখন তিনি তার হাত-পা মুখের বাঁধন খুলে দেন। পাশের রুমে গিয়ে দেখতে পান বিছানার ওপর পড়ে রয়েছে নিহতের লাশ।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রিজাউল হক বলেন, নিহতের এক ছেলে দুই মেয়ে। মেয়েরা স্বামীর বাড়ি থাকেন। ছেলের পরিবারের সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম নিজ বাড়িতে থাকেন। ঘটনার সময় ছেলে ও আব্দুল হালিম ছাড়া কেউ বাড়িতে ছিলেন না। ঘটনাটি রহস্যজনক। গুরুত্ব সহকারে তদন্ত চলছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।


img

ফেল করে বহুতল ভবন থেকে লাফ দিয়ে ছাত্রীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত :  ১৫:৫৮, ১২ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:১২, ১২ মে ২০২৪

মাগুরার মহম্মদপুরে এসএসসির রেজাল্টে অকৃতকার্য হওয়ার খবরে কথা সাহা নামের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। চতুর্থতলা থেকে লাফ দিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।

রোববার দুপুরে মাগুরা জেলা শহরের রিমপি সাহা নামের এক স্বজনের বসবাসরত বাড়ির চতুর্থতলার ছাদ থেকে সে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

কথা সাহা (১৬) মাগুরার মহম্মদপুরের বিনোদপুর গ্রামের রাজেশ সাহার মেয়ে। 

মহম্মদপুর থানার ওসি বোরহান উল ইসলাম জানান, কথা সাহা এবারের এসএসসি পরীক্ষা দেয়। রোববার দুপুরে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হলে এক বিষয়ে ফেল করে অকৃতকার্য হয়। বিষয়টি জানতে পেরে সে ভবনের চতুর্থতলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে। সে বিনোদপুর বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী।