img

শাল্লায় ঘুমন্ত সন্তানের ‘গলায় দা ধরে’ মাকে ধর্ষণের চেষ্টা

প্রকাশিত :  ০৭:৫৫, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:০৮, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

 শাল্লায় ঘুমন্ত সন্তানের ‘গলায় দা ধরে’ মাকে ধর্ষণের চেষ্টা

জনমত ডেস্ক: সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় এক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে হিমাদ্রী দাস (৪০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত শনিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। তবে ঘটনার চার দিন পরেও গ্রেপ্তার হননি আসামি।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২৬ জানুয়ারি দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে একই গ্রামের হিমাদ্রী দাস হিমু (৪০) ওই নারীর ভাঙাচোরা বসতঘরের পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে পড়েন। এরপর ঘুমন্ত ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ওই দিন সরস্বতীপূজার রাত হওয়ায় ঘরের পাশে পূজামণ্ডপের সাউন্ড বক্সে গান বাজছিল। ফলে ওই নারী চিৎকার করলেও কেউ শুনতে পাননি।

এ সময় হিমাদ্রী রান্নাঘর থেকে দা হাতে নিয়ে ওই নারীর ৫ বছরের ঘুমন্ত শিশুর গলায় চেপে ধরে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘চিৎকার করলে তোর ৫ বছরের শিশুকে খুন করে ফেলব।’ তখন ভয়ে ওই নারী কৌশলে লম্পট হিমাদ্রীর কাছ থেকে এক দিন সময় চেয়ে নেন।

এরপর ওই নারীর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে তাকে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কের জন্য নানা প্রলোভন দেখান। ভুক্তভোগী নারীকে মামলা না করার ভয়ভীতিও দেখান। যার একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। কথোপকথনের ৬ মিনিট ৯ সেকেন্ডের একটি অডিও রেকর্ড এ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।

ভুক্তভোগী ওই নারী মোবাইল ফোনে বলেন, ‘থানায় অভিযোগ করার পর থেকে প্রাণসংশয়ে আছি। হিমাদ্রী এলাকার খারাপ প্রকৃতির লোক। যেকোনো সময় আমার ছেলেকে মেরে ফেলতে পারে।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে হিমাদ্রী দাসের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে। পরে তার বাড়িতে গিয়েও পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।

শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগটি নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। আসামি পলাতক থাকায় ধরতে পারছি না। তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

img

হবিগঞ্জে পরীক্ষায় ফেল করায় তিন শিক্ষার্থীর বিষপান, একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত :  ১৯:৩০, ১২ মে ২০২৪

হবিগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় ৩ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এর মধ্যে মায়িশা আক্তার নামে এক শিক্ষার্থীর মারা যান। রোববার (১২ মে) বিকেলে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে তারা বিষপান করেন।

জানা যায়, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর গ্রামের মজিদ মিয়ার মেয়ে মায়িশা আক্তার (১৭)। সে সম্প্রতি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে আসে। আজ (রোববার) এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলে এতে সে অকৃতকার্য হয়। খবর পেয়ে সে ইঁদুর মারার ওষুধ খেয়ে ফেলে। স্বজনরা বিষয়টি টের পেয়ে দ্রুত হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এছাড়া পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় জেলার বাহুবল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে রসুলপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান রুমি (১৬) ও সদর উপজেলার পইল গ্রামের লিলু মিয়ার ছেলে পইল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শুভ মিয়া (১৬) ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তারা সকলেই হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, নিহত মায়িশার লাশ তার আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওপর দু’জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।