img

পাতালরেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ০৫:৩৬, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

পাতালরেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

জনমত ডেস্ক: 

অর্থনীতি ডেস্ক: পাতালরেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপগঞ্জের জনতা উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন রাজউকের কমার্শিয়াল প্লট মাঠে বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে একই স্থানে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন। 

প্রকল্প তথ্য অনুযায়ী, বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পাতাল রেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধন হবে। এ পথে দৈনিক আট লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারবে। এ পাতাল রেল নির্মাণে ব্যয় হবে ৫২ হাজার কোটি টাকা। জাপানি ঋণ ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। আর বাকি অর্থ সরকারি তহবিল থেকে মেটানো হবে।

এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানায়, ২০৩০ সালের মধ্যে এই ছয়টি মেট্রো রেলের নির্মাণ কাজ পর্যায়ক্রমে তিন ধাপে শেষ করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০২৮ সালের মধ্যে এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুটের নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে। তৃতীয় পর্যায়ে ২০৩০ সালের মধ্যে এমআরটি লাইন-৫: সাউদার্ন রুট, এমআরটি লাইন-২ এবং এমআরটি লাইন-৪ নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।


img

চালের বস্তা নিয়ে সরকারি নির্দেশনার বাস্তবায়ন নেই বাজারে

প্রকাশিত :  ০৩:১৮, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

চালের বস্তা নিয়ে সরকারি নির্দেশনার বালাই নেই বাজারে। পহেলা বৈশাখ থেকে চালের বস্তার গায়ে ধানের জাত, মিলের ঠিকানা ও দাম লেখা বাধ্যতামূলক করা হলেও সেই নির্দেশনা মানতে পারেনি  চালকল মালিকেরা।

সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর মিলাররা সময় বাড়ানোর আবেদন করেছেন। তারা বলছেন, চালের বস্তায় এসব তথ্য ছাপানোর ডাইস বানাতে অনেক অর্থ ও সময় দরকার। চাল বা ধানের জাত নিশ্চিত করারও বিষয় আছে। তবে ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকেরা বলছেন, মূলত সময়ক্ষেপণের উদ্দেশ্যেই এসব যুক্তি দেখানো হচ্ছে।

একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল বাজারে ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হওয়ায় ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রতারিত হচ্ছেন। সেজন্য চাল বিপণনের আগে সব চালের বস্তায় চালকল মালিকদের নাম, ঠিকানা, উৎপাদনের তারিখ, মূল্য ও জাত সুস্পষ্টভাবে প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করে সরকার। ২১ ফেব্রুয়ারি দেওয়া সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ব্যবসায়ীদের সময় দেওয়া হয় ৫৩ দিন। সরকারের দেওয়া সেই সময় শেষ হয় গত ১৩ এপ্রিল শনিবার।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এপ্রিলের ১৪ তারিখ অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকরের বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৪ এপ্রিল থেকে চালের বস্তায় ধানের জাত ও মিল গেটের মূল্য লিখে বাজারে বিক্রি করার নির্দেশনা ছিল। একইসঙ্গে বস্তার গায়ে লিখতে হবে চাল উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা না হলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন, (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন ২০২৩ এর ধারা-৬ ও ধারা-৭ অনুযায়ী শাস্তি পেতে হবে। কিন্তু চার দিন পেরিয়ে গেলেও সরকারের সেই নির্দেশনা কেউ মানেননি। উল্টো চালকল মালিকেরা সময় বাড়াতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন।

খাদ্যসচিব মো. ইসমাইল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যাগের গায়ে জাত ও দাম উল্লেখ করার নির্দেশনার বিষয়ে মিলমালিকেরা সময় বাড়ানোর আবেদন করেছেন। তবে কত দিনের সময় তারা চান, সেটি উল্লেখ করেননি আবেদনে। খুব শিগগির মিলমালিক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের সঙ্গে বৈঠক করে আইনটি কার্যকর করা হবে।

বাংলাদেশ অটোমেজর ও হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, জাত ও দাম উল্লেখ করার নির্দেশনা ইতিবাচক। চালের বস্তার ডাইস তৈরি করতে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়। এ জন্য ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে ধানের জাত নিশ্চিত করতে। এছাড়া ডাইসটি যথাযথ কি না, সেটি নিশ্চিত করার জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।

বাবুবাজারের এক রাইস এজেন্সির মালিক বলেন, মিনিকেট চালের সঙ্গে বিআর-২৮ মিশিয়ে মিল থেকে পাঠানো হতো। এতে ভোক্তারা প্রতি বস্তা চালে ২০০-২৫০ টাকা ঠকতেন। চালের জাত ও দাম উল্লেখ থাকলে প্রতারণা বন্ধ হবে।

একই বাজারের আরেক চাল ব্যবসায়ী বলেন, চালের ব্যাগে দাম উল্লেখ থাকলে বাজারে ব্যবসা বলে কিছু থাকবে না। দাম অনেক সময় কমলে বা বাড়লে তখন কী হবে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।