‘ইউএনও-ডিসিরাই মনে হয় দেশটার মালিক, আমরা তাদের দয়ায় চলছি’

প্রকাশিত :  ১৮:০৪, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

‘ইউএনও-ডিসিরাই মনে হয় দেশটার মালিক, আমরা তাদের দয়ায় চলছি’

জনমত ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম বলেছেন, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা অনেক এলাকায় রাজত্ব চালাচ্ছেন। এসব সরকারি কর্মকর্তাদের ভাবটা এমন যেন তাদের কথায় যুদ্ধ করে দেশটা স্বাধীন হয়েছে এবং জনপ্রতিনিধিরা অবাঞ্চিত ব্যক্তি। 

তিনি আরও বলেন, আমরা ইউএনও ও সরকারি কর্মকর্তাদের দয়ায় চলছি। বর্তমানে আমাদের এলাকায় যে সরকারি কর্মকর্তা আছেন ইউএনও, ডিসি, তারাই মনে হয় দেশটার মালিক। তারা যা করে সেটাই চলে। 

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদের ভাষণের উপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

দবিরুল ইসলাম সরকারি ত্রাণ বিতরণের জন্য জনপ্রতিনিধি দেওয়া হয় না দাবি করে বলেন, একটা কম্বল, সরকারি ত্রাণ পর্যন্ত আমরা দিতে পারি না। আমরা চাই, তারা (সরকারি কর্মকর্তা) দয়া করে বলে একটা স্লিপ দিয়ে লোকটারে পাঠিয়ে দিন আমি কম্বলটা দিয়ে দেব। এই হচ্ছে আমাদের অবস্থা। 

তিনি আরও বলেন, আমরা কিছু চাইলে, কোন কাজ করতে বললে, কোন লোক পাঠালে আমাদের কথা শোনা হয় না। শুধু আমি না, এই সংসদে অনেকই আছেন যাদের এলাকায় সরকারি কর্মকর্তারা রাজত্ব চালাচ্ছেন। আমরা নামমাত্র নির্বাচিত হয়েছি। বাস্তবে প্রকৃত ক্ষমতার মালিক তারাই।


নাটোরে স্কুলছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা

প্রকাশিত :  ০৫:৫৬, ২৯ মার্চ ২০২৪

নাটোরের নলডাঙ্গায় হিমেল হোসেন (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হাত-মুখ বেঁধে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে সহপাঠীদের বিরুদ্ধে।

নিহত হিমেল হোসেন পিপরুল গ্রামের টিসিবি ডিলার ফারুক সরদারের ছেলে। সে পাটুল-হাঁপানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।

এ ঘটনায় হিমেলের দুই সহপাঠীসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— একই এলাকার পার্থ, মেহেদি, সুজন ও শিমুল। এদের মধ্যে পার্থ ও মেহেদী নিহত হিমেলের সহপাঠী।

গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এ টি এম মাইনুল ইসলাম।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে হিমেলকে তার  বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় সহপাঠী পার্থ। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিল হিমেল। এ ঘটনায় হিমেলের বাবা ফারুক সরদার নলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ করলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ রাতেই পার্থকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অপর সহপাঠী মেহেদী এবং এলাকার ‘সিনিয়র’ বন্ধু সুজন ও শিমুলকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের সাথে নিয়ে রাত দেড়টার দিকে  পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পেছনে পরিত্যক্ত ইউনিয়ন পরিষদের পাশের একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে হিমেলের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  

নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এ.টি.এম. মাইনুল ইসলাম বলেন, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর হিমেলের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছিল না পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি পুলিশকে জানালে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হিমেলের মুঠোফোনের সূত্র ধরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। নলডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।