ডাকসুতে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে ভিসি কার্যালয়ে অবস্থান

প্রকাশিত :  ০৫:২১, ১৮ মার্চ ২০১৯

ডাকসুতে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে ভিসি কার্যালয়ে অবস্থান

জনমত রিপোর্ট ।। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন বাতিল করে পুনঃতফসিল ঘোষণার দাবিতে ফের আন্দোলনে যাচ্ছে ভোট বর্জন করা ৫টি প্যানেল। আজ তারা উপাচার্যের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।

গতকাল সন্ধ্যায় মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে ৫ প্যানেলের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়।এই আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেন ডাকসুর নির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুরও।

৫ প্যানেলের সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন স্বতন্ত্র জোট প্যানেলের ভিপি প্রার্থী অরণী সেমন্তি খান।তিনি বলেন, পুনঃভোট দাবিতে আমরা ৫টি প্যানেল একসঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যাব। ৫ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ৫দফা দাবি হচ্ছে- জালিয়াতির ডাকসু নির্বাচন বাতিল, পুনঃতফসিল ঘোষণা, ব্যর্থ ভিসির অপসারণ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হামলাকারীদের ডাকসু আর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার।

ভিপি প্রার্থী অরণী বলেন, এই ৫টি দাবি আদায়ে আমরা সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা করছি। বেলা ১১টায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে জমায়েত হয়ে সেখান থেকে ভিসি কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেব।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ফারুক বলেন, ৫টি প্যানেলে একসঙ্গেই আন্দোলন করবে। আমাদের মধ্যে কোনো বিভক্তি নেই। সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক করার কারণে মিলিতভাবে কর্মসূচি দিতে দেরি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্যানেলগুলো হলো- কোটা সংস্কার সংস্কার আন্দোলনের দাবিতে গড়ে ওঠা প্লাটফর্ম সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য জোট, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ, স্বতন্ত্র জোট ও ছাত্র ফেডারেশন সমর্থিত প্যানেল।

এর আগে দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে একক কর্মসূচি দেয় বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য।

সংবাদ সম্মেলনে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী বলেন, এই ডাকসু আমাদের না। পুনর্নির্বাচনের দাবিতে সোমবার ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছি, এদিন বেলা ১১টায় আমরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে মিলিত হব। সেখান থেকে ভিসির বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেব।

এদিকে ১১ মার্চের ডাকসু নির্বাচন বাতিল চেয়ে ফের ডাকসু নির্বাচনের দাবি করেছেন ভিপি নুরুল হক নুর।রোববার বিকালে মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।

ভিপি নুর বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা চাইলে আমি দায়িত্বগ্রহণ করব। না চাইলে করব না।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি। তার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকে আমি গণভবনে গিয়েছি। সেটি আমার সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেই গণভবনে গিয়েছি।

বস্তুত, ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে ভিপি এবং সমাজসেবা সম্পাদক ছাড়া বাকি ২৩টি পদে জয়ী হয়েছে ছাত্রলীগ। ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে তা বর্জন করেছে ছাত্রলীগ ছাড়া সবকটি প্যানেল। 

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ

প্রকাশিত :  ১০:০৩, ২৮ মার্চ ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:১৩, ২৮ মার্চ ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পাসের হার ১০ দশমিক ০৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন ১০ হাজার ২৭৫ জন।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ৩টার পর অধ্যাপক আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এ ফলাফল প্রকাশ করেন।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা ঢাকাসহ দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরের প্রায় ৮০টি কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ ইউনিটে ২ হাজার ৯৩৪টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ২২৫টি। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার অংশগ্রহণ করেছেন। 

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি ইউনিটের ৫ হাজার ৯৬৫ আসনের জন্য মোট আবেদন জমা পড়েছে ২ লাখ ৭৯ হাজার ২টি। সে অনুযায়ী, আসন প্রতি পরীক্ষা দিয়েছেন প্রায় ৪৭ জন শিক্ষার্থী। 

ফলাফল যেভাবে দেখা যাবে 

কলা আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী তার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ডের নাম, পাসের সন এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বরের মাধ্যমে https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফল জানতে পারবেন।

এছাড়া, টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে 'কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট'-এর জন্য DU ALS , 'বিজ্ঞান ইউনিট'-এর জন্য DU SCI , 'ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট'-এর জন্য DU BUS এবং 'চারুকলা ইউনিট'-এর জন্য DU FRT টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফল জানা যাবে।

উল্লেখ্য, গত ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এই ইউনিটে মাত্র ১১ হাজার ১৬৯ জন শিক্ষার্থী পাস করেন। পাসের হার ছিলো মাত্র ৯.৬৯ শতাংশ।