প্রকাশিত : ০৯:৫৯, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া
কাজ না করলে তো চলবে না!
শনিবার এবং রবিবার লেখার কাজ
তবে ঘরে বসে নয়,
বাইরে গিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে।
বৃষ্টি ছিল শনিবার,
রবিবার তুষারপাত।
বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে এবং
তুষারপাতে কাঁপতে কাঁপতে
সেই সাথে মাইনাস তাপমাত্রায়
প্রচণ্ড শীতের চাবুক।
দিন শেষে, সন্ধ্যা শেষে- রাত বাড়তে থাকে।
পরের দিনের জেগে থাকা এবং যাপিত জীবনের
কাজের প্রস্তুতিতে ঘুমাতে হয়।
গভীর রাতে হঠাৎ করেই
গলা ব্যথা করছে-
ঘুমের ভাবটা হুট করেই
নীল পরী হয়ে কোন সুদূরের তিমির আকাশে উড়াল দিল!
মাইনাস দুই ডিগ্রি তাপমাত্রায়
হঠাৎ করেই মনে হলো
শীতের ভেতর থেকে যেন
ভ্যাপসা গরম বেরিয়ে আসছে।
হঠাৎ করেই কপালে এবং
ঘাড়ের ওপরে চুলের গোড়ায়
বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে লাগল।
মনে হলো, অস্থির লাগছে
শিরদাঁড়া বেয়ে শীতল স্রোত প্রবাহিত হলেও
তেমন শীত লাগছিল না।
ভয়!
হয়তো বা!
তবে, নিজের জন্য নয়!
কিসের জন্য, কার জন্য!
উঠে চা বানালাম
একটা কমলা লেবু কাটলাম।
ঠাণ্ডা লেগে গলা ব্যথা হয়েছে
তেমন বেশি না, অল্প অল্প
কিন্তু, আশেপাশে ওঁত পেতে থাকা মৃত্যুর বিভীষিকা কেমন অজানা কাঁপন ধরিয়ে দেয়।
বাইরের তাপমাত্রা এখনো মাইনাস দুই ডিগ্রি
এবং শব্দহীন বৃষ্টি ঝরছে।
কেমন অপার্থিব পরিবেশ
কী রকম এক সুনসান নীরবতা
যেন মৃত্যুও সযত্নে এড়িয়ে চলছে।
আমি সেই নীরবতাকে
চাদর বানিয়ে
বুকের উপর চেপে ধরলাম।
নীরবতাও মাঝে মাঝে মানুষের সহযাত্রী হয়ে ওঠে
নীরবতার আলিঙ্গনও মাঝে মাঝে মানুষের জন্য এতটা উষ্ণ, এমন আপন এবং তুলনাহীন সঞ্জীবনী হয়ে ধরা দেয়,
তা অনুভব করা সব সময়
সব মানুষের হয়ে ওঠে না।
মনে হল, আজ সেই অনুভবের
অপরূপ ক্ষণ সমাগত।
আমি সেই নীরবতাকেই
জড়িয়ে ধরি
নীরবতার সাথেই শব্দহীন
নীরব ভাষায়
কথা বলি।
(০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, লন্ডন।)