সেই চীনা বেলুনে গোয়েন্দা ডিভাইস পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত :  ০৭:৪৩, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৫৮, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

সেই চীনা বেলুনে গোয়েন্দা ডিভাইস পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলিনার আকাশে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ভূপাতিত করা চীনা বেলুন থেকে গোয়েন্দা ডিভাইস পাওয়ার দাবি করেছেন মার্কিন সেনারা।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী সোমবার জানিয়েছে, চীনা সেই বেলুনটি থেকে খুবই সংবেদনশীল ইলেকট্রনিক ডিভাইস পাওয়া গেছে, যা গোয়েন্দা কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

মার্কিন সেনাবাহিনীর নর্দান কমান্ড এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, বেলুনে সন্নিবেশিত স্পর্শকাতর ডিভাইস দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, গোয়েন্দা নজরদারির জন্যই এ বেলুন ব্যবহার করা হয়েছে।

এদিকে বেলুন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছে চীন। চীন বলেছে— ২০২২ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমেরিকা বিনা অনুমতিতে তাদের আকাশসীমায় অন্তত ১০টি বেলুন উড়িয়েছে।

আমেরিকার আকাশে চীনের বেলুন ওড়ানো নিয়ে যখন ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে, তখন চীনের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ তোলা হলো। খবর সিনহুয়ার।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন সোমবার নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে আমেরিকার বেলুন সম্পর্কে অভিযোগ করেন।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, সম্প্রতি কানাডার আকাশ থেকে আমেরিকা ও কানাডা সম্মিলিতভাবে যে উড়ন্ত বস্তু ভূপতিত করেছে, সে সম্পর্কে বেইজিংয়ের কোনো ধারণা নেই। তবে আমেরিকা প্রথম যে বেলুনটি ভূপাতিত করেছে সেটি চীনের।

এ সময় তিনি বলেন, দুর্ঘটনাবশত চীনের বেলুনটি আমেরিকার আকাশে চলে গেছে। সপ্তাহখানেক আগে আমেরিকার আকাশ থেকে চীনের একটি বেলুন ভূপাতিত করা হয়।

আমেরিকার দাবি, গোয়েন্দা তৎপরতা চালানোর জন্য চীন ওই বেলুন পাঠিয়েছে, তবে চীনা তা অস্বীকার করে চলেছে।

এর পর আমেরিকা ও কানাডার আকাশ থেকে আরও তিনটি উড়ন্ত বস্তু ভূপাতিত করা হয়। এ নিয়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে মারাত্মক কূটনৈতিক টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে।

ডিপফেক ভিডিও থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে

প্রকাশিত :  ১০:১৪, ২৮ মার্চ ২০২৪

বিজ্ঞানের উৎকর্ষকালে প্রযুক্তি যেমন মানুষের উপকার করছে, তেমনি কিছু প্রযুক্তি মানুষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি প্রযুক্তি হলো ডিপফেক প্রযুক্তি বা ডিপফেক ইন্টেলিজেন্সি।

অনেকে ডিপফেক এআইকে একুশ শতকের ফটোশপিং বলে থাকে। সহজ ভাষায় ডিপফেক হলো এআই নির্ভর এমন এক প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে যেকোনো ভিডিও, ছবি এবং অডিও রেকর্ডিংয়ে বিশ্বাসযোগ্যভাবে মানুষের মুখমণ্ডল বা কণ্ঠস্বর নকল করা যায়।

দিন দিন বাড়ছে ডিপফেক প্রযুক্তির অপব্যবহারের সংখ্যা। প্রথম প্রথম বিশ্বের নামকরা সেলিব্রিটি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ডিপফেক ইন্টেলিজেন্সি দিয়ে তৈরি নকল ভিডিও দ্বারা হেনস্তার শিকার হন।

ডিপফেক প্রযুক্তি থেকে নিজের ডেটার সুরক্ষার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যায়। সেগুলো উঠে এসেছে এনডিটিভির প্রতিবেদনে। 

১. যতদূর সম্ভব নিজের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য কোনো পাবলিক প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। এসব প্ল্যাটফর্মে প্রাইভেসি সেটিংসগুলো সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে। 

২. শক্তিশালী ও অনন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অনলাইন অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। ফলে ছবি ও ভিডিওগুলোয় অননুমোদিত অ্যাকসেস লাভ করা হ্যাকারদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে এবং ডিপফেক প্রযুক্তি দিয়ে নিজের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের সম্ভাবনা কমে যায়। 

৩. কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ডেটা ও ছবি চুরি করতে পারে। এসব ডেটা ও ছবি দিয়ে ডিপফেক কনটেন্ট তৈরি করে হ্যাকাররা। এজন্য কম্পিউটারে ভালোমানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা উচিত। এভাবে ব্যক্তিগত মিডিয়াতে ক্ষতিকারক টুলগুলোর অ্যাকসেস পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

৪. ডিপফেক কনটেন্টের সাধারণ লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। যদি কোনো ভিডিও, ছবি ও কণ্ঠ খুবই নিখুঁত বা অবাস্তব বলে মনে হয় তবে এটি শেয়ার করা বা বিশ্বাস করার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার মাধ্যমে এ ধরনের কারসাজি ভিডিও শনাক্ত করা যাবে। 

৫. নিজের ছবি ও ভিডিওতে জলছাপ বা ওয়াটারমার্ক যুক্ত করুন। এসব ওয়াটারমার্ক অনেক সময় সম্পূর্ণ মুছে ফেলা যায় না। আর সম্পূর্ণ মুছে ফেলার সময় ছবি ও ভিডিও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফলে এসব ছবি ও ভিডিও দিয়ে ডিপফেক তৈরি কঠিন হয়ে পড়ে। জলছাপ একটি অতিরিক্ত সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে।

৬. নিজের ফাইলগুলোয় মেটাডেটা সঠিকভাবে এম্বেড করা হয়েছে নাকি তা নিশ্চিত করতে হবে। মেটাডেটা হলো ফাইল সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক তথ্য। যেমন- কে তৈরি করেছে, কবে তৈরি করা হয়, কোথায় তৈরি হয়েছে, কবে এডিট করা হয়েছে, টাইটেল ইত্যাদি। মিডিয়া ফাইল ব্যবহার নিয়ে বিরোধ বা দ্বন্দ্বের ক্ষেত্রে এটি মালিকানার প্রমাণ হিসেবে কাজ করতে পারে। 

তবে এসব পদ্ধতি নিজের ডেটা সুরক্ষা দেবে তার শতভাগ নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না।