ক্যামিলার মুকুটে থাকছে না কোহিনূর

প্রকাশিত :  ১৪:২৮, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:৩৩, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ক্যামিলার মুকুটে থাকছে না কোহিনূর

ভারতবর্ষে উপনিবেশ স্থাপন করতে এসে ভারত থেকে অনেক কিছুই ব্রিটেনে পাচার করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ব্রিটেনের রানির মুকুটে ব্যবহৃত বিখ্যাত কোহিনূর হীরা তার অন্যতম উদাহরণ বলে বিবেচনা করা হয়।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও মূল্যবান পাথরের মধ্যে অন্যতম হলো কোহিনূর হীরা। অভিযোগ রয়েছে, ভারতবর্ষ শাসনকালে, তৎকালীন রানি ভিক্টোরিয়াকে খুশি করতে ভারত থেকে এই হীরা নিয়ে রানির সামনে প্রদর্শন করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এরপর থেকেই মূলত এই হিরা ব্রিটিশ রানির মুকুটে স্থান পায় এবং যুগ যুগ ধরে সেই মুকুট রানিদের রাজ্যাভিষেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবার রাজ্যাভিষেকে রানি ম্যারির মুকুট পুনরায় ব্যবহার হতে চলেছে। এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে বাকিংহাম প্রাসাদ। 

তবে, এবার হয়ত ঘটতে চলেছে ব্যতিক্রম। ১৯৪৭ সালে ঔপনিবেশিক শাসন অবসানের পরে ভারত এখন ব্রিটেনের কাছে ফেরত চাইছে মূল্যবান এই হীরা। তৎকালীন ভারতবর্ষের অংশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানও এর অংশীদারিত্ব নিয়ে দাবি তুলেছে।

ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের স্ত্রী ক্যামিলা কুইন কনসোর্ট হতে চলেছেন। এ বছর মে মাসে বাকিংহাম প্রাসাদে হতে চলেছে তার রাজ্যাভিষেক। তবে বিপত্তি ঘটলো মুকুট নিয়ে। ভারতের দাবিকৃত ১০৫ ক্যারেটের এই কোহিনূর হীরার মুকুট দিয়ে রাজ্যাভিষেকে নারাজ ক্যামিলা। ১৯১১ সালে রানি ম্যারির ব্যবহৃত মুকুটে নিজের মতো করে কিছু পরিবর্তন করে সেটি দিয়েই রাজ্যাভিষেক চান তিনি।

সূত্র: রয়টার্স


ক্যান্সারের আক্রান্ত ব্রিটিশ রাজকুমারী কেট

প্রকাশিত :  ০৯:১৪, ২৩ মার্চ ২০২৪

ব্রিটিশ রাজবধূ প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট মিডলটন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় নিজেই এই তথ্য জানান তিনি। বর্তমানে তিনি প্রতিরোধমূলক কেমোথেরাপি নিচ্ছেন। 

বুধবার উইন্ডসরে বিবিসি স্টুডিওর রেকর্ড করা একটি ভিডিও বার্তায় কেট বলেন, গত জানুয়ারিতে তার পেটে অস্ত্রোপচারের পরে তার ক্যানসার ধরা পড়ে।

তিনি বলেন, ‘অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। তবে অপারেশনের পর পরীক্ষায় ক্যান্সার পাওয়া গেছে। তাই আমার মেডিকেল টিম পরামর্শ দিয়েছে যে আমাকে প্রতিরোধমূলক কেমোথেরাপির কোর্স করা উচিত এবং আমি এখন সেই চিকিৎসার প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’

তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে কয়েক সপ্তাহ ধরে জল্পনা-কল্পনার বিষয়ে কেট আরও বলেন, তিনি এবং তার স্বামী প্রিন্স উইলিয়াম তাদের সন্তানদের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করার জন্য সময় প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এটি একটি বিশাল ধাক্কা হিসাবে এসেছিল আমাদের কাছে এবং উইলিয়াম এবং আমি আমাদের সন্তান ও পরিবারের স্বার্থে ব্যক্তিগতভাবে এটি প্রক্রিয়াকরণ এবং পরিচালনা করার জন্য আমরা যা যা করতে পারি তা করছি।’

প্রিন্সেস অব ওয়েলস আরও বলেন, ‘আমার কাজ সবসময় আমাকে আনন্দের গভীর অনুভূতি এনেছে এবং আমি যখন সক্ষম হব তখন আমি ফিরে আসার অপেক্ষায় আছি, কিন্তু আপাতত আমাকে এই রোগ থেকে সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, এই নিয়ে গত তিন মাসের মধ্যে ব্রিটিশ রাজপরিবারের তিন সদস্যের ক্যানসারের খবর পাওয়া গেলো। গত ৬ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ রাজা চার্লস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এর আগে জানুয়ারিতে, প্রিস অ্যান্ড্রুর সাবেক স্ত্রী ডাচেস অব ইয়র্ক সারাহ ফার্গুসন স্কিন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন বলেও জানা যায়।