ওয়েব সিরিজ ‘হীরামান্দি’তে যৌনকর্মী চরিত্রে ৬ নায়িকা

প্রকাশিত :  ১৫:৩২, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:৩৪, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ওয়েব সিরিজ ‘হীরামান্দি’তে যৌনকর্মী চরিত্রে ৬ নায়িকা

উজ্জ্বল চোখে ছুরির থেকেও তীক্ষ্ণ ধার। ঠোঁটের হাসিতে যতটা কোমলতা, ততটাই নিষ্ঠুর মনের ছাপ স্পষ্ট। এমনই মেজাজ পাওয়া গেল সঞ্জয়লীলা বানসালির প্রথমবার ওয়েব সিরিজ ‘হীরামান্দি’তে।

কিছুদিন আগেই সঞ্জয়লীলা বানসালির মুন্সিয়ানার ছোঁয়ায় ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াবাড়ি’ হয়ে উঠেছিলেন আলিয়া ভাট। বক্স অফিসে সাফল্যও পেয়েছিল সিনেমাটি। এবারে পতিতাপল্লির কাহিনি নিয়ে ওয়েব সিরিজ তৈরি করছেন পরিচালক। আর তাতে রয়েছেন মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, অদিতি রাও হায়দারি, রিচা চাড্ডা, শারমিন সিগাল ও সানজিদা শেখ। বড়পর্দা ও ছোটপর্দার এই ছয় নায়িকাই এবার বানসালির তুরুপের তাস।

স্বাধীনতার আগে লাহোরের বারবনিতাদের জীবন কেমন ছিল? কারা রানির মতো জীবন অতিবাহিত করতেন? কারাই বাবা প্রতিমুহূর্তে সমাজের চোখে চোখ রেখে নিজের শর্তে চলতেন, সেই কাহিনিই বনসালির এই নতুন সিরিজে দেখা যাবে। জানা গেছে, ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি’র শুটিংয়ের সেটকেই নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। আর সেখানেই ‘হীরামান্দি’র শুটিং করা হচ্ছে।

সিরিজের দু’টি ফার্স্টলুক টিজার প্রকাশ করা হয়েছে। একটিতে নায়িকারা সোনালি পোশাকে রয়েছেন, আরেকটিতে কালো পোশাকে। এর আগে ‘হীরামান্দি’ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সঞ্জয় লীলা বানসালি জানিয়েছিলেন, এটি তার ড্রিম প্রজেক্ট। অনেক পরিকল্পনা, প্রস্তুতির পর কাজটি শুরু করছেন। এই সিরিজের মাধ্যমে বারবনিতার জীবনের চালচিত্র সারাবিশ্বের দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে চান তিনি। তাই কোনো খামতি রাখতে চান না। নেটফ্লিক্সে দেখা যাবে ‘হীরামান্দি’। তবে কবে থেকে, তা এখনো জানা যায়নি।

চুপিসারে বিয়ে সারলেন অভিনেত্রী!

প্রকাশিত :  ০৪:৩৮, ২৮ মার্চ ২০২৪

চুপিসারে বিয়ে সারলেন বলিউড অভিনেত্রী তাপসী পান্নু। ঢাকঢোল তো দূরের কথা, ‘ডানকি’ নায়িকা তাপসী পান্নুর বিয়ের খবর যেন জানল না কাকপক্ষীও। দুই দিন আগেই নাকি এক দশকের পুরোনো প্রেমিক ম্যাথিয়াস বোয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন নায়িকা। শোনা যাচ্ছে, ‘রং দে বসন্তী’ অভিনেতা সিদ্ধার্থের সঙ্গে সাত পাক ঘুরেছেন অদিতি রাও হায়দরি। 

তেলেঙ্গনার রঙ্গনয়কস্বামী মন্দিরেই বিয়ে সেরেছেন যুগল। তবে তাদের যে পুরোহিত বিয়ে দিয়েছেন তাকে নিয়ে আসা হয় তামিলনাড়ু থেকে। যদিও অদিতি বা সিদ্ধার্থ, কেউই বিয়ে নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি। 

সিদ্ধার্থ ও অদিতি, দু’জনেরই এটা দ্বিতীয় বিয়ে। ২০০৩ সালে ছোটবেলার বান্ধবী মেঘনাকে বিয়ে করেছিলেন সিদ্ধার্থ। দীর্ঘস্থায়ী হয়নি সেই বিয়ে। তিন বছরের মধ্যেই ভাঙে বিয়ে। ২০০৭ সালে আইনত বিবাহবিচ্ছেদ হয় সিদ্ধার্থের। অদিতির গল্পটাও খানিক এক রকমের। মাত্র ২১ বছরেই উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা সত্যদীপ মিশ্রের সঙ্গে বিয়ে হয় অদিতির। তবে চার বছর পর সংসার ভাঙে নায়িকার। ২০১৩ সালে আলাদা হন দু’জনে। তার প্রায় ১১ বছর পর ফের বিয়ের পিঁড়িতে অদিতি।

২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দক্ষিণী সিনেমা ‘মহা সমুদ্রম’-এর সেটে আলাপ অদিতি ও সিদ্ধার্থের। সিনেমার সেট থেকেই তাদের বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। সোশ্যাল সাইটে ছবি ও ভিডিও পোস্ট করলেও নিজেদের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি দু’জনের কেউই।  

অদিতির জন্মদিনে অভিনেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন সিদ্ধার্থ। সেই পোস্টে অদিতিকে ‘প্রিন্সেস অফ হার্ট’ বলেও সম্বোধন করেন তিনি। মায়ানগরীতে ডেটেও যেতে দেখা গিয়েছে চর্চিত যুগলকে। রেস্তোরাঁ থেকে বেরিয়ে আলোকচিত্রীদের ক্যামেরায় বহু বার ধরা পড়েন অদিতি ও সিদ্ধার্থ। জনসমক্ষে প্রেমের ইস্তেহার না দিলেও ক্যামেরা দেখে লুকিয়ে পড়েননি কখনওই। তবে বিয়েটা হঠাৎ এমন চুপিসারে সারলেন কেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।