img

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং আইএসআই এর উন্নয়নের প্রধান বাধা

প্রকাশিত :  ১৮:২৬, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং আইএসআই এর উন্নয়নের প্রধান বাধা

পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনা, মূলত সেনাবাহিনী এবং ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) এর সমন্বয়ে গঠিত। ১৯৪৭ সালে তার সূচনা থেকেই দেশের রাজনীতি ও সমাজে একটি প্রভাবশালী শক্তি। এটি উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সামরিক বাহিনী পাকিস্তানের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার প্রাথমিক উপায়গুলির মধ্যে একটি হল দেশের সম্পদের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে। সামরিক বাহিনী পাকিস্তানের বাজেটকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে এবং উন্নয়ন প্রকল্প থেকে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা উদ্যোগের দিকে তহবিল সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর ফলে দেশের দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অবকাঠামোর মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে কম বিনিয়োগ হয়েছে।

সামরিক বাহিনী পাকিস্তানের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার আরেকটি উপায় হল রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ। সামরিক বাহিনী কর্তৃক গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ এবং সামরিক শাসন আরোপ করার ইতিহাস রয়েছে। পাকিস্তান সৃষ্টির পর হতে আজও কোন গণতান্ত্রিক সরকার তাদের সাংবিধানিক ৫ বছর মেয়াদের সময়কাল পর্যন্ত দেশ পরিচালনা করতে পারে নাই । এর ফলে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। 

সামরিক বাহিনীকে গণমাধ্যমে কারসাজি এবং ভিন্নমত দমন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সুশীল সমাজকে আঘাত করার অভিযোগও আনা হয়েছে।

পাকিস্তানের সমাজে সেনাবাহিনীর আধিপত্য একটি শক্তিশালী নাগরিক সমাজের বিকাশকেও বাধাগ্রস্ত করেছে। সামরিক বাহিনী ভিন্নমতকে দমন করার এবং স্বাধীন কণ্ঠস্বরকে দমিয়ে রাখার, একটি প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজের উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মানবাধিকারের প্রচার, গণতন্ত্রের প্রচার এবং সরকারকে জবাবদিহি করার জন্য নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলি অপরিহার্য। তবে, সামরিক বাহিনীর আধিপত্য সুশীল সমাজের পক্ষে কার্যকরভাবে কাজ করা কঠিন করে তুলেছে।

অবশেষে, আঞ্চলিক সংঘাতে সেনাবাহিনীর জড়িত থাকার কারণে পাকিস্তানের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধ, কাশ্মীর সংঘাত এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মতো সংঘাতে পাকিস্তানের জড়িত থাকার ফলে উচ্চ অর্থনৈতিক ও মানবিক খরচ হয়েছে। এই দ্বন্দ্বগুলো উন্নয়ন প্রকল্প থেকে সম্পদকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে এবং দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তান বর্তমান বাংলাদেশে সেনাবাহিনী এবং এর গভীর রাষ্ট্রযন্ত্রের নিন্দনীয় ও অবমাননাকর আচরণ বাঙ্গালী গণহত্যা ও ধর্ষণ বিশ্ব মঞ্চে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মর্যাদাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ১৯৪৭  থেকে ১৯৭১  সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাঙালিদের নির্মূল করার এই অমানবিক, বর্বর প্রচেষ্টা, ৭৫ মিলিয়ন বাঙালির উপর প্রান্তিকতা এবং বৈষম্যের একটি দীর্ঘ সময়, যাবত এই বাহিনী এবং তার দোসররা চালিয়েছে । ১৯৭১ সালের যুদ্ধে  ভারতের কাছে অত্যন্ত লজ্জাজনক পরাজয় বরন করেছে এবং ৯২০০০ সৈনিক দের অবমাননাকর আত্মসমর্পণ পাকিস্তানের জন্য ছিল অত্যন্ত লজ্জাস্কর । যার ফলশ্রুতিতে দেশটির ওপর সামরিক নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘ সময় ধরে চলে এবং দেশ এর উন্নয়ন এবং অর্থনীতি শুকিয়ে যায় ক্রমাগত । এর ফলে জাতি গঠনের প্রক্রিয়ায় ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।

উপসংহারে বলা যায়, সেনাবাহিনী এবং আইএসআই-এর সমন্বয়ে গঠিত সামরিক স্থাপনা পাকিস্তানের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্যভাবে বাধা সৃষ্টি করেছে। সম্পদের ওপর সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ, সুশীল সমাজকে দমন করা এবং আঞ্চলিক সংঘাতে জড়িত হওয়া দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। পাকিস্তানকে তার পূর্ণ সক্ষমতা অর্জন করতে হলে, সামরিক প্রতিষ্ঠানের প্রভাব রোধ করতে হবে, এবং গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সুশীল সমাজকে উন্নীত করার জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে।


মতামত এর আরও খবর

img

গাজা যুদ্ধ বন্ধে বাইডেন কেন এতটা মরিয়া

প্রকাশিত :  ১১:৪১, ১২ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৪৮, ১২ মে ২০২৪

জনাথন ফ্রিডল্যান্ড

দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিত হবেন কি না তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্বেগ একেবারে প্রান্তে এসে পৌঁছেছে। জো বাইডেনের পরামর্শ বারবার উপেক্ষা করে আসছিলেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এই উপেক্ষার মূল্য কী হতে পারে, এই সপ্তাহে ইসরায়েল সেটা দেখতে পেল।

ইসরায়েলের ৩ হাজার ৫০০ বোমার চালান আটকে দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এই অস্ত্র ইসরায়েল গাজার দক্ষিণের শহর রাফা আক্রমণে ব্যবহার করবে, সেই বিবেচনায় অস্ত্রের চালানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাফায় এখন ১০ লাখের বেশি শরণার্থীর আশ্রয়শিবির।

ইসরায়েলের প্রতি জো বাইডেন তাঁর ‘লৌহদৃঢ়’ সমর্থন থেকে সরে আসছেন না। কিন্তু ইসরায়েল রাফা হামলার জন্য যে হুমকি দিয়ে চলেছে, সেটা সফল করতে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করবেন না। সিএনএনকে বাইডেন বলেছেন, ‘ইসরায়েলের নিরাপত্তা দেওয়া থেকে আমরা সরে আসছি না। অন্যখানে যুদ্ধ করার সক্ষমতা তৈরির পথ থেকে সরে আসছি আমরা।’

ইসরায়েলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আইজাক রবিন বলতেন, তাঁর দেশের ১ নম্বর কৌশলগত সম্পদ এই সব অস্ত্র, এমনকি পারমাণবিক অস্ত্র নয়; বরং ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক। দশকের পর দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অস্ত্রের জোগানদাতা ও কূটনৈতিক অভিভাবক। 

কিন্তু মাত্র ছয় সপ্তাহের ব্যবধানে ওয়াশিংটন এমন দুটি পদক্ষেপ নিল, যা পুরোপুরি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গেল। গত মার্চ মাসে নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভেটো দেওয়া থেকে বিরত থাকে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ইসরায়েল প্রস্তাবটি আটকে দিতে চাইলেও ব্যর্থ হয়। আর এখন তো ওয়াশিংটন অস্ত্রের চালান আটকে দিল।

এর থেকেও বড় বিষয় হলো, এই সিদ্ধান্তগুলো এমন একজন রাজনীতিবিদ নিয়েছেন, যিনি ব্যক্তিগতভাবে ইসরায়েলের খুব নিবেদিতপ্রাণ সমর্থক। বাইডেন সেই যুগের একজন ডেমোক্র্যাট, যখন দুই সহস্রাব্দের নির্বাসন ও শাস্তির পর মধ্যপ্রাচ্যে ইহুদিদের আদি বাড়ি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি গতি পেতে শুরু করেছে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের উদারপন্থীদের চোখ তখন রহস্যজনকভাবে বন্ধ ছিল।  

গোল্ডা মেয়ার থেকে শুরু করে ইসরায়েলের প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাইডেন দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতি বাইডেনের টান বাড়ার ক্ষেত্রে এর একটার ভূমিকা আছে। পূর্বতন প্রেসিডেন্টদের মতো বাইডেনের ইসরায়েলের প্রতি ভ্রাতৃত্ববোধ শুধু নির্বাচনী হিসাব-নিকাশের বিষয় নয়।  

গাজা নিয়ে কোনো চুক্তি হচ্ছে না। কেননা, নেতানিয়াহু কিংবা সিনাওয়ারা কেউই বিশ্বাস করেন না, চুক্তি করলে তাঁদের স্বার্থ রক্ষিত হয়। যেমনটা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা অ্যারন ডেভিড মিলার বলেছেন, ‘এই সংঘাত বন্ধে একটি পক্ষেরই কেবল সত্যিকারের তাড়া আছে, সেই পক্ষটি হলেন জো বাইডেন।’

অন্যদিকে ১৯৮০-এর দশকে নেতানিয়াহু প্রথম আলোচনার পাদপ্রদীপে উঠে আসেন। তিনি এমন একজন কূটনীতিক, যিনি আমেরিকানদের সঙ্গে সাবলীলভাবে কথা বলতেন। সে সময় থেকেই তিনি নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে দাঁড় করান। ইসরায়েলের একজন হবু নেতার জন্য এই দক্ষতা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। 

কয়েক দশক ধরে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাঁর ভোটারদের এই বার্তা দিয়ে আসছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যকার সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনিই একমাত্র বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তি।

কিন্তু বাস্তব অবস্থাটা এখন কী দাঁড়াল?  চার দশকের বেশি সময়ের মধ্যে বাইডেনই প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করলেন। (১৯৮২ সালে ইসরায়েলের লেবানন অভিযানের সময় রোনাল্ড রিগ্যান যুদ্ধবিমান দিতে বিলম্ব করেছিলেন।) বাইডেন কেন এটা করলেন? কারণ, নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের একটি অংশের জনগোষ্ঠীর মধ্যে এমন তিক্ততা তৈরি করেছেন, যেটা আগে দেখা যায়নি।

ইসরায়েলের প্রতি যে যুক্তরাষ্ট্রের সমাজের নিরেট সমর্থন, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেভাবে ছাত্র আন্দোলন আছড়ে পড়েছে, সেটা বিস্ময়করই। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা গ্যালাপের মার্চ মাসের জরিপ বলছে, ৫১ শতাংশ ইসরায়েলের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে, ২৭ শতাংশ সমর্থন দিয়েছে ফিলিস্তিনের পক্ষে। কিন্তু ডেমোক্র্যাট ও তরুণ জনগোষ্ঠী—দুই ক্ষেত্রেই ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সমর্থন অনেকটাই বেড়েছে।

জরিপের এই তথ্য বাইডেন ও তাঁর নির্বাচনী প্রচারণা দলকে চিন্তার মধ্যে ফেলেছে। এই অংশের দ্ব্যর্থহীন সমর্থনই ২০২০ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করতে ভূমিকা রেখেছিল। গাজাবাসীর দুর্ভোগ সেই ভোটারদের সমর্থন অনিশ্চিত করে তুলেছে। হোয়াইট হাউস নেতানিয়াহুর কাছে পরিকল্পনা চেয়েছিলেন, বেসামরিক জনসাধারণকে হতাহত না করে কীভাবে রাফায় অভিযান করতে পারে ইসরায়েল। 

কিন্তু নেতানিয়াহু সেই পরিকল্পনা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সেই কারণে ইসরায়েলকে থামানোর জন্য অস্ত্রের চালান আটকে দেওয়ার সরাসরি পথ বেছে নিয়েছে ওয়াশিংটন।

রাফা বাইডেনের জন্য শক্তি পরীক্ষার জায়গাও হয়ে উঠেছে। বাইডেন রাফাকে বিপদরেখা হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। নেতানিয়াহু যদি সেই বিপদরেখা অতিক্রম করেন, তাহলে বাইডেন দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত হবেন।

কিন্তু নেতানিয়াহু এখন পর্যন্ত রণেভঙ্গ দিতে অস্বীকার করেছেন। ইসরায়েলের স্বাধীনতা আন্দোলনকে সামনে রেখে জনগণের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ছাড়া আমরা একাই লড়ে যাব। প্রয়োজনে আমরা আমাদের নখ দিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাব।’ 

নেতানিয়াহু চার্চিলের মতো আওয়াজ তুলতে চাইছেন। কিন্তু তাঁর কথাগুলো দুর্বলের কণ্ঠস্বর, সবলের নয়। ওয়াশিংটন চায়, নেতানিয়াহু যেন রাফা অভিযান থেকে সরে আসেন। কিন্তু জোট সরকারের অতি ডানপন্থী মিত্ররা তাঁকে আরও কঠোর হতে বলছেন, রাফা অভিযানের মাধ্যমে হামাসের বিরুদ্ধে পুরোপুরি বিজয়ের জন্য বলছেন।

এই নিরানন্দ নাটকে বাইডেন ও নেতানিয়াহুই কেবল কুশীলব নন; হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনাওয়ারেরও নিজস্ব হিসাব-নিকাশ আছে, নেতা হিসেবে টিকে থাকার সংকল্প রয়েছে। খুব ঘনিষ্ঠভাবে যাঁরা সিনাওয়ারকেও পাঠ করেছেন তাঁরা বিশ্বাস করেন, নির্দোষ মানুষের জীবন রক্ষা করা তাঁর অগ্রাধিকার নয়; বরং যত বেশি গাজাবাসী নিহত হবেন, আন্তর্জাতিক পরিসরে তাঁর শত্রু ইসরায়েলে অবস্থান ততই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেই পরিস্থিতি তাঁকে বিজয়ী দাবি করতে সহায়তা করবে। সম্প্রতি হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে নেওয়ার ঘোষণার পেছনে সিনাওয়ারের এই ভাবনায় কাজ করেছে। 

সিনাওয়ারা সাময়িক কোনো যুদ্ধবিরতি (তাতে অনেক মানুষের প্রাণরক্ষা হয়, দুর্ভোগ কমে) চান না, তিনি চান স্থায়ী যুদ্ধবিরতি। আর তার জন্য সিনাওয়ারা অপেক্ষা করতেও রাজি।

গাজা নিয়ে কোনো চুক্তি হচ্ছে না। কেননা, নেতানিয়াহু কিংবা সিনাওয়ারা কেউই বিশ্বাস করেন না, চুক্তি করলে তাঁদের স্বার্থ রক্ষিত হয়। যেমনটা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা অ্যারন ডেভিড মিলার বলেছেন, ‘এই সংঘাত বন্ধে একটি পক্ষেরই কেবল সত্যিকারের তাড়া আছে, সেই পক্ষটি হলেন জো বাইডেন।’


জনাথন ফ্রিডল্যান্ড, ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের খ্যাতিমান কলামিস্ট

মতামত এর আরও খবর