img

এক পাউন্ডে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের যুক্তরাজ্য শাখা কিনল এইচএসবিসি

প্রকাশিত :  ০৬:৩০, ১৫ মার্চ ২০২৩

এক পাউন্ডে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের যুক্তরাজ্য শাখা কিনল এইচএসবিসি

জনমত ডেস্ক: ধসে পড়া মার্কিন সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের (এসভিবি) যুক্তরাজ্য শাখা মাত্র এক পাউন্ডে কিনে নিয়েছে এইচএসবিসি। মূলত দেশটির স্টার্টআপগুলোর গুরুত্বপূর্ণ এক ঋণদানকারীকে সংকট থেকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে এই প্রতীকী মূল্যে ব্যাংকটির যুক্তরাজ্য শাখা কার্যক্রম কিনেছেন তারা।

সোমবার (১৩ মার্চ) আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রযুক্তি খাতের বড় ঋণদানকারী এসভিবির পতনের পর এর যুক্তরাজ্য শাখা নিয়ে কী করা যায়, সে বিষয়ে সপ্তাহান্তে দেশটির সরকার, রেগুলেটর (নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা) এবং সম্ভাব্য ক্রেতাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। যা এইচএসবিসির ব্যাংকটির যুক্তরাজ্য শাখা কিনে নেয়ার মধ্যদিয়ে আপাতত অবসান হলো।

উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যতম বড় ব্যাংক এইচএসবিসির ২ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলারের সম্পদ রয়েছে। 

এইচএসবিসির এই অধিগ্রহণের বিষয়টি ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রীরা, নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ও প্রযুক্তি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলো ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। কেননা, এতে গ্রাহকরা স্বাভাবিকভাবে ব্যাংকিং লেনদেন করতে পারবেন বলে মনে করেন তারা।

ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেন, ‘এইচএসবিসি ইউরোপের সবচেয়ে বড় ব্যাংক। এসভিবির যুক্তরাজ্য শাখার গ্রাহকরা এখন নিশ্চিন্তে লেনদেন করতে পারবেন। কেননা, একটি ব্যাংকের শক্তি ও নিরাপত্তা এখন তাদের সঙ্গে রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমন একটি পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলাম যে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কিছু কোম্পানি, যেগুলো কি-না কৌশলগত কারণে বেশ গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলো ধ্বংস হয়ে যেতে পারত। আর এমনটা হলে আমাদের জন্য তা অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থাই হতো।’

এসভিবিকে উদ্ধারে এইচএসবিসির ভূমিকা নিয়ে হান্ট জানান, এক্ষেত্রে আমরা ব্রিটেনের করদাতাদের অর্থ ব্যবহার না করার দিকে অগ্রাধিকার দিয়েছি।

এদিকে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বলছে, তারা আর্থিক ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা বজায় রাখতে এবং ব্রিটিশ প্রযুক্তি সংস্থাগুলোকে রক্ষা করতে এসভিবির যুক্তরাজ্য শাখা বিক্রির পদক্ষেপ নিয়েছিল। এতে করে ব্যাংকে রাখা আমানত নিরাপদ হওয়ার পাশাপাশি পুরো ব্যাংকিং ব্যবস্থাও নিরাপদ হয়েছে।

মূলত এ বিক্রির পদক্ষেপের মধ্যদিয়ে এসভিবির যুক্তরাজ্য শাখাকে তার মার্কিন মূল কোম্পানি থেকে আলাদা করা হয়েছে। এ বিষয়ে এইচএসবিসির সিইও নোয়েল কুইন এক বিবৃতিতে বলেন,  ‘এই অধিগ্রহণটি যুক্তরাজ্যে আমাদের ব্যবসার জন্য একটি ভালো কৌশলগত পদক্ষেপ হয়ে উঠবে।’

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এসভিবির যুক্তরাজ্য শাখার প্রায় ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন পাউন্ডের ঋণ এবং প্রায় ৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন পাউন্ডের আমানত রয়েছে।

এছাড়া অবিলম্বে অধিগ্রহণের কার্যক্রম শেষ করা হবে বলেও জানিয়েছে এইচএসবিসি।

এদিকে মার্কিন কর্তৃপক্ষ বর্তমানে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকটির জন্য তহবিল সংগ্রহের চেষ্টার করছে। সেই সঙ্গে ব্যাংকটির ধসের কারণে যাতে আর্থিক খাতে বড় রকমের ক্ষতি না হয়, তা নিশ্চিতেরও চেষ্টা করছেন তারা।

 

img

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫

প্রকাশিত :  ০৩:৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:০৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর চেষ্টাকালে ফরাসি উপকূল থেকে শিশুসহ অন্তত পাঁচ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। 

গত সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে নৌকাডুবির ঘটনাটি ঘটেছে ধারণা করা হচ্ছে।

পুলিশের সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

তবে ওই সময়ে ঠিক কয়টি নৌকা যাত্রা করেছিল তা এখনো নিশ্চিত নয়।

দুর্ঘটনাকবলিত নৌকাটি উত্তর ফ্রান্সের ভিমুরু সৈকত থেকে যুক্তরাজ্যের দিকে যাত্রা করার কিছুক্ষণ পরেই ডুবে যায়। এ দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে ২০২৪ সালে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে নিহত অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা বেড়ে ১৫তে দাঁড়িয়েছে।

ফরাসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর ৫টায় ১১০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী নিয়ে একটি ছোট নৌকা ভিমুরু উপকূল থেকে যাত্রা করেছিল। যাত্রার পর প্রথমে নৌকাটি একটি বালির তীরে আটকা পড়ে। পরে আবার যাত্রা করে সেটি। নৌকাটি অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই ছিল বলে জানা গেছে।

নৌকাডুবির পর ভিমুরু সৈকতে কান্নারত একটি কন্যাশিশুকে দেখতে পান ফরাসি উদ্ধারকর্মীরা। জীবিত উদ্ধার হওয়া লোকদের মধ্যে চার বয়সী ওই শিশুটির বাবাও ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত শিশুটি মারা যায় বলে জানিয়েছেন ভিমুরুর মেয়র জঁ লুক দুবায়েল।

স্থানীয় পা দ্যো কালে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পরেও নৌকাটিতে থাকা ৫৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী যুক্তরাজ্যের দিকে তাদের যাত্রা অব্যাহত রাখেন। তারা ফরাসি কর্তৃপক্ষের উদ্ধার অভিযান প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালে ২৯ হাজার ৪৩৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছোট নৌকায় চড়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। ২০২২ সালে এ সংখ্যাটি ছিল রেকর্ড ৪৫ হাজার ৭৭৪ জন।

সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস, এএফপি