img

বয়স ৩০ পেরোলে নারীর প্রজননক্ষমতা ৫০ শতাংশ কমে যায়

প্রকাশিত :  ০৭:৪৮, ১৫ মার্চ ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৪৯, ১৫ মার্চ ২০২৩

বয়স ৩০ পেরোলে নারীর প্রজননক্ষমতা ৫০ শতাংশ কমে যায়

সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্তটা নারী ও তার সঙ্গীর। তবে সময়মতো সন্তান না নিলে পরবর্তী সময়ে অনেক জটিলতা দেখা দেয়। 

একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের শরীরে প্রতিদিন প্রায় ৩০ কোটি শুক্রাণু তৈরি হয়। একটি মেয়েশিশু জন্মের সময়ে নির্দিষ্টসংখ্যক ডিম্বাণুগুলো নিয়ে জন্মে। প্রতি মাসের মাসিক চক্রে একটি করে ডিম্বাণু পরিপক্ব হয়, এর সঙ্গে আরও কিছু ডিম্বাণু এই প্রক্রিয়ায় পরিপক্ব হওয়ার আগেই নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ডিম্বাণুর সংখ্যা কমতে থাকে।

জন্মের পর নারীদের শরীরে নতুন কোনো ডিম্বাণু তৈরি হয় না। তাই বয়স বেড়ে চলার সঙ্গে সঙ্গে প্রজনন ক্ষমতা কমতে থাকে। একটি মেয়েশিশুর জন্মের সময় প্রথম দিকে ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু পরিমাণ থাকে ১০ থেকে ২০ লাখ। 

ধীরে ধীরে সেই শিশু প্রাপ্তবয়স্ক হয় বা মাসিকের সময় হয়, তখন মেয়েদের ডিম্বাণুর পরিমাণ হয় ৪০ হাজার।

মেয়েরা এখন নিজের ক্যারিয়ারের জন্য কিছুটা দেরিতে বিয়ে করছে। তবে প্রথম সন্তানটি ২৫ বছর বয়সের আগে নিলে ভালো। 

৩০ বছর পেরিয়ে গেলে প্রজননক্ষমতা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যায়। ৩৫ বছর পর ডিম্বাণুর সংখ্যা কমে যায় বেশি।

যদি মায়ের বয়স বেশি হয়ে যায় 

যদি প্রথম সন্তান জন্মদান করে ৩২-এ পড়ে, তা হলে জন্মগত ত্রুটিযুক্ত এবং ডাউন সিনড্রোম বেশি হয়।

৩২ বছর বয়স থেকেই উর্বরতা কমতে শুরু করে। ৩৭ বছর বয়সে গিয়ে তা আরও কমতে শুরু করে।

বেশি বয়সে গর্ভধারণের কারণে উচ্চরক্তচাপ ও গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের মতো ঝুঁকি বাড়তে শুরু করে।

৪০ বছরের বেশি বয়স্কদের গর্ভপাতের ঝুঁকি বেশি থাকে। নানা ধরনের জটিলতা তখন তৈরি হয়।

লেখক: পরিচালক, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতাল।

img

মিসড কলেই গায়েব হতে পারে ব্যাংকের টাকা

প্রকাশিত :  ১১:২৪, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

মিসড কলেই গায়েব হতে পারে ব্যাংকের টাকা। নানাধর্মী অনলাইন স্ক্যামারের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। এতদিন আপনি নিশ্চয়ই ওটিপি শেয়ার করে বা কোনো অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে স্ক্যামের কথা শুনেছেন। তবে আজকাল আবার স্ক্যামাররা সিম সোয়্যাপ করেও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খালি করে ফেলছে। গত মাসের শুরুতেই নর্থ দিল্লির একজন আইনজীবী সিম সোয়্যাপ স্ক্যামারের শিকার হয়েছেন। আননোন নম্বর থেকে তিনবার মিসডকল পেতেই তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খালি হয়ে যায়।

তিনি জানান, অপরিচিত একটি ফোন নম্বর থেকে পরপর তিনটি মিসড কল আসে। তবে তিনি রিটার্ন ফোন করেননি। তারপরই ওই নারীর ফোনে একটি মেসেজ আসে। সেখানে লেখা অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। তবে চিন্তার বিষয় হলো তিনি কখনও কারো সঙ্গে ওটিপি বা অন্য কোনো ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করেননি। কিন্তু তারপরেও তার অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা গায়েব।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ধরনের প্রতারণার নাম ‘সিম সোয়্যাপ স্ক্যাম’। ফোনে মিসড কল আসা এবং পরবর্তীতে কোনো একবার সেই কল রিসিভ করলেই এই প্রতারণা কাজ করে। চক্রটি এভাবে আপনার ডুপ্লিকেট সিমের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং তা দিয়ে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে অন্য অনেক কিছুই ব্যবহার করে। কীভাবে এই প্রতারণা চক্র কাজ করে, কীভাবেই বা আপনি সুরক্ষিত থাকবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক করণীয়গুলো-

এই প্রতারণা চক্র কাজ করে যেভাবে ?

এই প্রতারণা চক্র কীভাবে কাজ করে, তা জানতে হলে প্রথমে বুঝতে হবে ওই নারীর সাথে ঠিক কী ঘটেছিল? ওই আইনজীবীর অভিযোগ, গত ১৮ অক্টোবর তার সাথে এ ঘটনা ঘটেছিল। স্থানীয় প্রশাসনকে তিনি জানান, কয়েক লাখ টাকা তার অ্যাকাউন্ট থেকে মুহূর্তের মধ্যেই গায়েব হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, মোট তিনবার একই নম্বর থেকে তার ফোনে কল আসে। পরবর্তীতে তিনি যখন অন্য একটি নম্বর থেকে কল ব্যাক করেন, তখন তাকে বলা হয় এটি কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারির নম্বর। ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তিনি অভিযুক্তের সাথে শুধু তার বাড়ির ঠিকানা শেয়ার করেছিলেন। তিনি মনে করেছিলেন, বন্ধু কোনো উপহার পাঠিয়েছে এবং তিনি পেয়েও গিয়েছেন। তারপরেই তার ব্যাংক থেকে একটি মেসেজ আসে, সেখানে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

প্রশাসনের কর্মকর্তা জানান, তদন্তে ওই নারী ফোন থেকে কিছু অস্বাভাবিক ব্রাউজিং হিস্ট্রি লক্ষ্য করা যায়, যা তিনি কখনও করেননি। তিনি কিছু ফিশিং লিঙ্ক এবং কিছু UPI রেজিস্ট্রেশন টেক্স পেয়েছিলেন বলে ওই অফিসার উল্লেখ করেছেন। এখান থেকে একটি বিষয় বোঝা যায়, সিমটি দিয়ে প্রতারকরা ওই নারীর ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়েই যাবতীয় কাজ করে। সেই তথ্য তারা কারো সহযোগিতায় মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহার করে ডুপ্লিকেট সিমের অ্যাক্সেস পেতে পারে।

সুরক্ষিত থাকবেন যেভাবে-

১. কখনও আপনার ব্যক্তিগত তথ্য কারো সাথে শেয়ার করবেন না।

২.বিভিন্ন ব্যক্তিগত নথি ও তার নম্বর অনলাইনে কোনো প্ল্যাটফর্মেই শেয়ার করবেন না।

৩.আপনার সিম কার্ড কাজ না করলে টেলিকম অপারেটরকে বিষয়টি জানান।

৪. ওটিপি কখনো ব্যাংকের কর্মী, ব্যাংকিং এজেন্টের সাথে ফোনে বা অনলাইনে শেয়ার করবেন না।